নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের নীচের দিকে ক্ষয়কাজ বেশি করে বলে নদী-খাত প্রথমে '।'
১৮৯৮ খ্রীষ্টাব্দের ২৪ শে জুলাই বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম। পিতা হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতা প্রভাবতী দেবী পূণ্যলগ্নে জন্ম দিয়েছিলেন এই বিশ্ববরেণ্য বাংলা সাহিত্যিকের। তারাশঙ্কর বাবু এখন আমাদের মধ্যে জীবিত না থাকলেও তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে সাহিত্য পিপাসু প্রতিটি বাঙালীর অন্তরে তিনি জীবিত আছেন। তাঁর নব নব সাহিত্যসৃষ্টির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে উত্তর শরৎচন্দ্র যুগের তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী। শুধুমাত্র বাংলা বা বাঙালী নয়, তারাশঙ্কর বাবু জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বাংলার বাইরে ভিন্ন প্রদেশের ভিন্নভাষাভাষী পাঠক-পাঠিকাদের কাছেও।