Skip to main content

Posts

Showing posts with the label ভূগোল

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন

  দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন বিভাগ ১: চলনের প্রাথমিক ধারণা ও জগদীশচন্দ্র বসু প্রশ্নঃ১. উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনকে কী বলে?  (ক) গমন (খ) চলন (গ) রেচন (ঘ) পুষ্টি  উত্তর: (খ) চলন প্রশ্নঃ২. যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে তাকে কী বলে?  (ক) চলন (খ) বিচলন (গ) গমন (ঘ) উদ্দীপনা  উত্তর: (গ) গমন

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

কোন মাটিতে কোন ফসল?

কোন মাটিতে কোন ফসল? √ পলিমাটি   ধান, গম-সহ প্রায় সব ধরনের ফসল  √ ল্যাটেরাইট   চা, কফি, রবার √ সিরোজেম   মিলেট জাতীয় শস্য, ভুট্টা  √ কৃষ্ণমৃত্তিকা   তুলা, মিলেট, তৈলবীজ, তামাক √ লোহিত মৃত্তিকা   রাগি, তৈলবীজ, জোয়ার √ পডসল মৃত্তিকা   গম, বার্লি, বিভিন্ন ধরনের ফল √ উপকূলীয় মৃত্তিকা নারকেল, সুপারি, কাজুবাদাম, অল্প পরিমাণে ধান √ ভাবর মৃত্তিকা  তৃণ

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।           সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

জোয়ারভাটার ফলাফল

জোয়ারভাটার ফলাফল জোয়ারভাটার সুবিধা— (১) জোয়ারের জল নদী-খাতে ঢুকে এর বিস্তার ও গভীরতা বৃদ্ধি করে, ফলে নদী-বন্দরে জাহাজ চলাচলে সুবিধা হয়। (২) জোয়ারের জলের প্রভাবে নদী-মোহানা পলিযুক্ত হয় এবং বদ্বীপ গঠনে বাধা পড়ে। (৩) উন্নত দেশগুলোতে আজকাল জোয়ারের জলকে  কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

বাগার অঞ্চল

বাগার অঞ্চল রাজস্থানের থর মরুভূমি অঞ্চলে, মরুস্থলীর পূর্বদিকে মরুপ্রায় অঞ্চল বা অর্ধমরু অঞ্চল ‘বাগার’ নামে পরিচিত। আরাবল্লী পর্বতের পাদদেশে, ভারতীয় মরুভূমির একেবারে পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এই অঞ্চলটি মরুভূমি ও সমভূমির মধ্যবর্তী অল্প বালুকাময় স্থান। এখানকার অধিকাংশ অঞ্চল ঘাসে ঢাকা, এর মধ্যে কোথাও কোথাও কৃষিকাজ হয়। রাজস্থান খাল এই অঞ্চলের কৃষিকাজের প্রসারে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে। এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে লুনি নদী প্রবাহিত হয়েছে।

মালনাদ ও ময়দান

মালনাদ ও ময়দান মালনাদ— কানাড়ি ভাষায় মালনাদকে মাল অর্থাৎ, ‘পাহাড়’, নাদ অর্থাৎ, ‘দেশ’ ‘পাহাড়ি দেশ’ বলা হয়। কর্ণাটক মালভূমির দক্ষিণাংশ ও পশ্চিমাংশের উচ্চতা বেশি এবং এই অঞ্চল কিছুটা বন্ধুর ও পর্বতময়। পর্বতময় এই অঞ্চলকে মালনাদ বলা হয়। এটি ৩২০ কিলোমিটার লম্বা এবং ৩৫ কিলোমিটার চওড়া উঁচুনীচু ঢেউখেলানো প্রকৃতির হয়। এখানকার পাহাড়গুলোর চূড়া গোলাকার। গ্রানাইট ও নাইস পাথরে গড়া এই ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি অঞ্চলটি কর্ণাটক মালভূমির অপেক্ষাকৃত উঁচু অংশ। এখানকার মাটির রং সাধারণত লাল।

কর্ণাটক মালভূমি

কর্ণাটক মালভূমি             মহারাষ্ট্র মালভূমি বা ডেকানট্রাপের দক্ষিণে অবস্থিত কর্ণাটক রাজ্যের মালভূমিটিকে ‘কর্ণাটক মালভূমি’ বলা হয়। ভূ-আন্দোলনের ফলে উপকূলভাগ বসে গিয়ে খাঁড়িযুক্ত উপকূলের সৃষ্টি করেছে। গ্রানাইট ও নাইস পাথরে গঠিত এই মালভূমি অঞ্চলের গড় উচ্চতা ৬০০ মিটার থেকে ৯০০ মিটার। পশ্চিমঘাট থেকে সমুদ্র পর্যন্ত প্রসারিত শৈলশিরা, বালিয়াড়ি, জলাভূমি ও সংকীর্ণ নদী উপত্যকা এই উপকূল সমভূমিকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলেছে। এই মালভূমির বেশিরভাগ অঞ্চলের মাটির রং লাল।

কচ্ছের রণ

কচ্ছের রণ        ‘কচ্ছ’ শব্দের অর্থ ‘জলময় দেশ’। গুজরাট রাজ্যের উত্তরে এবং কচ্ছ উপদ্বীপের উত্তর ও পূর্বাংশের ৭৩,৬০০ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত অগভীর জলাভূমিকে কচ্ছের রণ বলা হয়। উত্তরদিকে, পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত প্রশস্ত অঞ্চলকে কচ্ছের ‘বৃহৎ রণ’ এবং দক্ষিণদিকে, উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বিস্তৃত সংকীর্ণ অঞ্চলকে কচ্ছের ‘ক্ষুদ্র রণ’ বলা হয়। 

শিবালিক পর্বতশ্রেণি

শিবালিক পর্বতশ্রেণি ২০ লক্ষ থেকে ২ কোটি বছর আগে হিমালয়ে প্রবল ভূ-আলোড়নের সময়ে শিবালিক পর্বতশ্রেণির সৃষ্টি হয়। হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণ প্রান্তে এবং উত্তর ভারতের সমভূমির উত্তর প্রান্তে একাধিক ছোটো ছোটো পর্বত পশ্চিম থেকে পূর্বে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করছে। এদের একত্রে শিবালিক পর্বতশ্রেণি বলে।

দুন

দুন         ‘দুন’ কথার অর্থ হল দুই পর্বতের মাঝে নীচু জমি। শিবালিক পাহাড় শিখর দেশ থেকে উত্তরে ক্রমশ নেমে গিয়ে প্রশস্ত উপত্যকায় মিলিত হয়েছে। কুমায়ুন হিমালয় অঞ্চলের নীচু উপত্যকাগুলিকে ‘দুন’ বলে। 

ভাবর অঞ্চল

ভাবর অঞ্চল           উত্তর ভারতের সমভূমি অঞ্চলের উত্তর প্রান্তে অর্থাৎ, শিবালিক পর্বতের পাদদেশ বরাবর ১০-১৫ কিমি চওড়া, ঢেউখেলানো উচ্চভূমিকে ভাবর অঞ্চল বলা হয়। হিমালয় থেকে আগত অসংখ্য নদনদীবাহিত ছোটো নুড়ি, বালি, পাথর সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকার উচ্চভূমির সৃষ্টি করে। এইসব উচ্চভূমি ক্রমাগত সঞ্চয়ের ফলে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উঁচুনীচু , ঢেউখেলানো বিস্তীর্ণ ভূমিরূপের সৃষ্টি করে।

মালাবার উপকূল

মালাবার উপকূল কর্ণাটক রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তবর্তী ম্যাঙ্গালোর থেকে কেরালা উপকূল হয়ে তামিলনাড়ু রাজ্যের কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রসারিত উপকূলবর্তী সমভূমি মালাবার উপকূল সমভূমি নামে পরিচিত। এই উপকূল প্রায় ৭২৫ কিমি দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ৬৫ কিমি চওড়া।

কোঙ্কণ উপকূল

কোঙ্কণ উপকূল পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম দিকে আরব সাগরের উপকূল বরাবর বিস্তৃত এবং উত্তরে দমন থেকে দক্ষিণে গোয়া পর্যন্ত প্রসারিত প্রায় ৫৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও প্রায় ৫০ কিমি প্রশস্ত সমভূমিকে কোঙ্কণ উপকূল সমভূমি বলা হয়।

করমণ্ডল উপকূল

করমণ্ডল উপকূল কৃষ্ণানদীর বদ্বীপের পশ্চিমভাগ থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলভাগকে করমণ্ডল উপকূল বলে। এছাড়া, পুলিকট উপহ্রদ থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলকে তামিলনাড়ু উপকূলও বলা হয়।

মেঘালয় মালভূমি

মেঘালয় মালভূমি                 উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যে মেঘালয় মালভূমি অবস্থিত। মেঘালয় মালভূমি পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই মালভূমি অঞ্চলের আয়তন প্রায় ২২৫০০ বর্গকিলোমিটার। মেঘালয় প্রদেশে অবস্থিত গারো, খাসি, জয়ন্তিয়া ও মিকির পাহাড়ি অঞ্চল নিয়ে গঠিত মেঘালয় মালভূমিটি হল দাক্ষিণাত্য মালভূমির একটি বিচ্ছিন্ন অংশ। ক্রমাগত ভূ-আন্দোলন ও চ্যুতির ফলে ছোটোনাগপুর ও মেঘালয় মালভূমি দুটি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দূরে সরে যায়। মধ্যবর্তী অংশ গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের পলি দ্বারা ভরাট হওয়ায় মেঘালয় মালভূমিটি বর্তমানে দাক্ষিণাত্যের মালভূমি থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছে। এই মালভূমির গড় উচ্চতা ৬০০-১,৬০০ মিটার।

মানব জীবনের ওপর মালভূমির প্রভাব আলোচনা করো

মানুষের জীবনধারণ ও জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রে মালভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন—  (১) মালভূমি সাধারণত স্বাভাবিক উদ্ভিদে সমৃদ্ধ হয়। যেমন—ছোটোনাগপুর মালভূমিতে প্রচুর শাল ও সেগুন গাছ জন্মে থাকে। (২) কোনোকোনো মালভূমির কঠিন শিলার ওপর উর্বর মৃত্তিকার আবরণ থাকলে সেই অঞ্চল কৃষিকার্যে উন্নতি লাভ করে। যেমন—ভারতের কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চল। (৩) মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বন্ধুর এবং ভূভাগ কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত বলে চাষ-আবাদ, রাস্তাঘাট ও শিল্পস্থাপনে প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে।

ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— (১) বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে কোমল পাললিক শিলায় ঢেউ-এর মতো ভাঁজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়। (২) প্রধানত সমুদ্রগর্ভ থেকে সৃষ্টি হয় বলে ভঙ্গিল পর্বতে জীবাশ্ম দেখা যায়। (৩) ভঙ্গিল পর্বতগুলি সাধারণত পাললিক শিলায় গঠিত হলেও অনেক সময় ভঙ্গিল পর্বতে আগ্নেয় এবং রূপান্তরিত শিলার সহাবস্থান চোখে পড়ে (কারণ—ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় শিলাস্তরে ফাটল সৃষ্টি হলে, সেই ফাটল দিয়ে ভূগর্ভের ম্যাগমা লাভারূপে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে যা ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে। এর পর কালক্রমে প্রচণ্ড চাপ ও তাপের ফলে আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলা রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়)

সমভূমির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

সমভূমির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অল্প উঁচু এবং সামান্য ঢালযুক্ত বিস্তৃত সমতল ক্ষেত্রকে সমভূমি বলে। তবে পৃথিবীর অধিকাংশ সমভূমিই সমুদ্র সমতল থেকে ৩০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে অবস্থান করে। সমভূমির বৈশিষ্ট্য—

মালভূমির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

মালভূমির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। সাধারণত সমুদ্র সমতল থেকে ৩০০ মিটারের অধিক উচ্চতাসম্পন্ন চারপাশে খাড়া ঢালযুক্ত, তরঙ্গায়িত বা প্রায় তরঙ্গায়িত বিস্তীর্ণ ভূমিভাগকে মালভূমি বলে।  মালভূমির বৈশিষ্ট্য—

মোনাড্‌নক

মোনাড্‌নক ক্ষয়চক্রের শেষ পর্যায়ে সমপ্রায়ভূমির ওপর কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত টিলা বা অবশিষ্ট পাহাড়গুলিকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয় প্রতিরোধ করে বিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ওই গম্বুজাকৃতির টিলাগুলিকে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মোনাড্‌নক পাহাড়ের নাম অনুসারে মোনাড্‌নক বলা হয়।

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা : ১. গ্রস্ত উপত্যকার সংজ্ঞা :                দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে।              এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা।