নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের নীচের দিকে ক্ষয়কাজ বেশি করে বলে নদী-খাত প্রথমে '।'
রাষ্ট্রবিজ্ঞান - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন:১ পঞ্চশীল নীতি কি ? উত্তর: চিন ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ১৯৫৪ সালে পঞ্চশীল নীতি সম্পাদিত হয়। এই পাঁচটি নীতি হল— (i) শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান (ii) রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমিকতার প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন (iii) অনাক্রমণ (iv) অপরের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা এবং (v) পারস্পরিক সুবিধা ও সাম্য। প্রশ্ন:২ সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মুখ্য উদ্দেশ্য কী ? উত্তর: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অশান্তির কারণগুলাে দূর করার জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্বশান্তির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিই হল জাতিপুঞ্জের মুখ্য উদ্দেশ্য।