Skip to main content

Posts

Showing posts with the label রোগ ও তার প্রতিকার

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers )

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?          যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়।  প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-  (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ,  (২) মধ্য প্রস্তরযুগ,  (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ:   প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ:   মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ:   এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

জলাতঙ্ক রোগ কি? জানুন এই রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

জলাতঙ্ক রােগের লক্ষণ ::              রােগ প্রকাশের প্রথম দিকে জ্বর , মাথাব্যাথা , বমির ভাব থাকে । অল্প কয়েকদিন পরে মুখ থেকে ঘন চটচটে লালা পড়ে । গলায় ব্যথা ও ঢােক গিলতে অসুবিধা হয় । খাদ্য নালীর সংকোচনের ফলে জল বা কোন কিছু খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে । রােগী আলাে সহ্য করতে পারে না । রােগী প্রায়ই আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং শান্ত থাকতে থাকতে হঠাৎ হঠাৎ রেগে ওঠে । মৃত্যু এগিয়ে আসার সময় খিচুনি , ফিট ও পক্ষাঘাত হতে পারে ।

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধ

 যক্ষ্মা             যে সব সংক্রামক রােগ আমাদের দেশে শিশু মৃত্যু এবং অন্যদের অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী , তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ এই রােগ । মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবার কিউলােসিস নামক একপ্রকার ব্যাক্টেরিয়া এই রােগের কারণ। আরাে দুই প্রকার মাইকো ব্যাক্টেরিয়া আছে , যারা কম হলেও যক্ষ্মা সৃষ্টি করে ।

ডিপথেরিয়া।।রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডিপথেরিয়া এই রােগের জীবাণুর নাম করিণি ব্যাক্টোরিয়াম ডিপথেরি । আক্রমণস্থল শ্লেষ্মা ঝিল্লি ।  প্রধান লক্ষণ :: জ্বর , গলাব্যথা , ক্ষিদের অভাব , গলায় ঘা , শ্বাসের কষ্ট , নাক দিয়ে জল বা রক্ত পড়া । ক্রমশঃ নাকের ও গলার ভিতরে সাদা রঙের পর্দা দেখা যায় । রোগী ক্রমশঃ খুব দুর্বল হয়ে পড়ে । ক্ষতি :: প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় আড়াই হাজার শিশু এই রােগে প্রান  হারায় । বড়দেরও এ অসুখ হয় , তবে সংখ্যা অনেক কম । রােগ জীবাণু নিঃসৃত টক্সিন দ্বারা হার্টের পেশী এবং স্নায়ুর প্রদাহ থেকে মৃত্যু হয় । প্রতিরােধ :: তালিকা অনুযায়ী টিকা প্রদান ।  চিকিৎসা  :: অসুখ হওয়ামাত্র রােগীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে পথ্য :: তরল খাদ্য  সংক্রমণ :: নিঃশ্বাসের সঙ্গে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে এবং শ্বাসের সঙ্গে অন্যের শরীরে ঢোকে । বিড়ালের সঙ্গে এই রােগের আলাদা কোন সম্পর্ক নাই । খাদ্য দ্বারাও এই রােগের জীবাণু বাহিত হতে পারে ।

ধনুষ্টঙ্কার।।রোগ লক্ষণ ও প্রতিকার

ধনুষ্টঙ্কার ধনুষ্টঙ্কার বা টিটেনাস রোগ - জীবাণু সংক্রমণে এই রোগ হয়। প্রতিবছর বহু শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়। রােগের লক্ষণ ::               প্রধান লক্ষণ শিশুর মুখ , গলা ও শরীরের মাংসপেশী ক্রমশ শক্ত হওয়া ও টান ধরা এবং কখনাে কখনাে সারা শরীরে কম্পন । শিশু আক্রান্ত হবার তৃতীয় দিন থেকে স্বাভাবিক ভাবে মুখ খুলতে ও মায়ের দুধ টানতে পারে না এবং চিৎকার করে কাঁদতে থাকে । ক্রমশঃ শরীর ধনুকের মতাে বেঁকে যায় ।                

হুপিং কাশি।।রোগ লক্ষণ ও প্রতিকার

হুপিং কাশি আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় তিন লক্ষ শিশু এই রােগে আক্রান্ত হয় । বর্ডেটেলা পারটুসিস নামক জীবাণু দ্বারা শ্বসনতন্ত্রে যে প্রদাহ হয় , তাকেই হুপিং কাশি বলে ।

টাইফয়েড রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার কি?

 টাইফয়েড রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার কি? রোগের লক্ষণ: সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতাে জ্বর ও মাথাব্যাথা দিয়ে শুরু হয় । প্রথম সপ্তাহ:- প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন জ্বর একটু একটু করে ১০৪/১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত বাড়ে । সঙ্গে পেটের গােলমাল অর্থাৎ পাতলা পায়খানা বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে । নাড়ী ধীরে চলে । জিভের মাঝখানটা সাদা শ্লেষ্মায় ঢাকা থাকে , পাশগুলি টকে টকে লাল হয় । দ্বিতীয় সপ্তাহ:- দ্বিতীয় সপ্তাহে জ্বর বাড়ে ও অবিরাম হয় । বিকার ও হতে পারে । পিলে সামান্য বড় হয় । পায়খানা পাতলা ও সবুজ রঙের হতে পারে ।

আন্ত্রিক কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার কি?

আন্ত্রিক কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার কি?

কলেরা রোগ - লক্ষণ ও প্রতিকার

কলেরা রোগ - লক্ষণ ও প্রতিকার                কলেরাও একটি আন্ত্রিক রােগ । ভিব্রিও কলেরি নামক এক প্রকার ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে কলেরা রােগ হয় । আগেকার দিনে কলেরা কোথাও শুরু হলে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত । কলেরা কিভাবে ছড়ায় তা জানা ছিল না। রােগীর মলমূত্রসহ কাপড় - চোপড় সাধারণের ব্যবহার্য পুকুরে কাচা হতো । সেই জল ব্যবহারকারীরা রােগে আক্রান্ত হতাে । অধিকাংশই মারা যেতো , কারণ এর কোন প্রকার চিকিৎসা তখন জানা ছিল না । কোথাও কলেরা হয়েছে শুনলে লােকে সেদিকে যেতো না । এমনকি , ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যেতো । কলেরা মানেই ছিল ভয়ানক এক মহামারী । আজ কলেরা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত । বিতাড়িত হলে তবেই আমরা কলেরা কী , তা আর জানতে চাইব না । যেমন গুটি বসন্ত কী তা আমরা আর জানতে চাই না

জলবসন্ত - লক্ষণ ও প্রতিকার

জলবসন্ত - লক্ষণ ও প্রতিকার        HZV নামক এক প্রকার ভাইরাসের সংক্রমণে এই রােগ হয় । এ রােগ ভয়ানক কোন রােগ নয় ।  রােগের লক্ষণ :         প্রথমে সামান্য সর্দি , গা ম্যাজ-ম্যাজ বা অল্প জ্বর হয় । তার ১ - ২ দিনের মধ্যে মুখমণ্ডল, বুক, পিঠ, পেটে লাল লাল গােটা দেখা যায় । অল্প সময় পরে এই গােটাগুলি জল ভরা ফোস্কার আকার নেয় এবং ভেতরটা পাতলা পুঁজে পরিণত হয়। বেশ চুলকায় । দিন ১৫ মধ্যে গােটাগুলি শুকিয়ে যায় । তারপর আস্তে আস্তে চুমটি খসে পড়ে । তিন সপ্তাহ মধ্যে রােগী সুস্থ হয়ে যায় । চুমটির জায়গায় কালো কালো দাগ হয় । ক্রমশঃ তাও মিলিয়ে যায় ।

কুষ্ঠ রোগ - লক্ষণ ও প্রতিকার

কুষ্ঠ রোগ - লক্ষণ ও প্রতিকার           সারা পৃথিবীতে প্রায় দেড় কোটি কুষ্ঠ রােগী আছে । তার মধ্যে প্রায় ৪৫ লক্ষ ভারতবাসী । প্রতি গ্রাম - শহরে গড়ে ১০০০ জন লােকের মধ্যে ৫ জনের কুষ্ঠ আছে । অথচ প্রকাশ্যে এত বিশাল সংখ্যক রােগীর এক দশমাংশও নজরে আসে না । সমাজচ্যুতির ভয়ে রােগী ও তার পরিবারের লােকজন রােগ গােপন করে ।  রােগের লক্ষণ          রােগের প্রধান লক্ষণ আক্রান্ত স্থানের অসাড়তা । প্রথমে আক্রান্ত জায়গার রঙ স্বাভাবিক রঙ থেকে একটু আলাদা — সাধারণতঃ সাদাটে , কখনাে কখনাে কালচে হয় এবং অন্য জায়গা থেকে ঐ জায়গার চামড়া একটু উঁচু হতে পারে ।  চিকিৎসা           কুষ্ঠ রােগের চিকিৎসা আছে । সে চিকিৎসায় সম্পূর্ণ আরােগ্য লাভ হয় । তবে ইতিমধ্যে যে অঙ্গহানি হয়ে যায় , তা ফেরে না । প্লাষ্টিক সার্জারিতে অবশ্য কিছুটা ফেরানাে যায় ।  চিকিৎসা যত দেরীতে আরম্ভ হবে , সারতে তত বেশীদিন সময় লাগবে । অঙ্গহানি বা বিকৃতির সম্ভাবনাও বাড়বে । প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা আরম্ভ হলে একটানা ৬ মাস ওষুধ খেতে হয় । দেরীতে আরম্ভ হলে ৩ ব...

ম্যালেরিয়া

ম্যালেরিয়া              স্ত্রী অ্যানােফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রােগাক্রান্ত মানুষের রক্ত টেনে নেওয়ার সময় ম্যালেরিয়ার জীবাণুও টেনে নেয় । ঐ জীবাণু মশার শরীরে গিয়ে মরে না । পরবর্তী ১০ থেকে ২০ দিনে রােগজীবাণুর নানা পরিবর্তন হয় । তাতে তাদের রােগ বিস্তারের ক্ষমতা যায় না । এরপর ঐ মশা কোন সুস্থ মানুষকে কামড়ালে পরবর্তিত জীবাণুগুলির মধ্যে কিছু সংখ্যক জীবাণু সুস্থ মানুষের শরীরে ঢােকে এবং তাকে অসুস্থ করে তােলে । 

হেপাটাইটিস

হেপাটাইটিস ভাইরাস এই রোগে আক্রান্ত হলে কি কি সমস্যা হয় ?                হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হলে আহারে অরুচি , বমির ভাব বা বমি , দুর্বলতা , জ্বর , মাথাব্যথা প্রভৃতি হয় । ১/২ সপ্তাহের মধ্যে চোখের কোলে ও গায়ের রঙে হলদে ভাব হয় । প্রস্রাবও হলদে - হলদে হতে পারে । এই হলদে হওয়াকে বলে জনডিস । আসলে জনডিস কোন রােগ নয় , কয়েকটি রােগের লক্ষণ মাত্র । রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেশী হলে ' জনডিস দেখা যায় । কিছু ভাইরাল হেপাটাইটিসে জনডিস নাও হতে পারে । হেপাটাইটিস হলে পেটের ডানদিকে ( লিভারে ) ব্যাথা হয় । 

এইডস

এইডস ( AIDS )        এইডস ( AIDS ) এর  পুরো নাম Acquired immunodeficiency syndrome. অর্থাৎ ইংরেজী শব্দগুলাের আদ্যক্ষর নিয়ে এইডস । আমাদের দেহের স্বাভাবিক এক জবরদস্ত প্রতিরােধ ব্যবস্থা আছে । টি - লিম্পােসাইট নামে রক্তের এক প্রকার শ্বেত কণিকা এই প্রতিরােধ ব্যবস্থার সেনাপতি । এই কণিকার পরােক্ষ এবং প্রত্যক্ষ আক্রমণে প্রতি নিয়ত দেহে আগত অসংখ্য রোগ জীবাণু ধ্বংস প্রাপ্ত হচ্ছে । প্রতিষেধক টিকা এই কণিকাদের ও তাদের সহকারী সৈন্যদের প্রতিরােধ ক্ষমতা অনেক গুণ বাড়ায় । 

মৃগী

মৃগী            এই রোগের আক্রমণ হঠাৎ আরম্ভ হয় । কয়েক সেকেণ্ডে বা মিনিটের সমধ্যে দেহের সব মাংস পেশী শক্ত হয়ে যায় । রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় , মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরোয় । তাছাড়াও একটা আর্তনাদের মতো শব্দ হতে পারে । অল্প কিছুক্ষণ পর তার সব মাংস পেশীর প্রসারণ ও সংকোচন হতে পারে।           আস্তে আস্তে দেহ শিথিল হয় ও রোগী ঘুমিয়ে পড়ে । তখন অসাড়ে প্রস্রাব পায়খানা হতে পারে। 

আমাশা

আমাশা  এই রোগের জীবাণু অ্যামিবা, এককোষী পরজীবী প্রাণী। অ্যামিবা দেহে থাকলেই যে আমাশা হবে তেমনটা নয়। অন্যরোগ, অজীর্ণ বা অপুষ্টিতে দুর্বল হয়ে থাকলে দেহস্থিত অ্যামিবা দেহে আমাশা রোগ বাধায়।               পেট মোচড়ানো ব্যথা, বার বার পায়খানা যাওয়া, সঙ্গে মিউকাস পড়া ইত্যাদি হয়। কখনও কখনও রক্তের ছিট্ সহ পাতলা পায়খানাও হতে পারে।  সাংঘাতিক অবস্থায় শুধু মিউকাস ও রক্ত পরে। 

জিয়ারজিয়াসিস

জিয়ারজিয়াসিস          এই রোগের কারণ জিয়ারডিয়া লামব্লিয়া নামক একপ্রকার এককোষী পরজীবী।  উপসর্গ ::        মল দুর্গন্ধযুক্ত, ফ্যানা ফ্যানা এবং পরিমানে বেশি হয়। পেটে ব্যাথা থাকে , বায়ু বা গ্যাস হয়। অরুচি বমি বমি ভাব এবং অল্প জ্বরও থাকতে পারে। রোগী কিছুদিন ভালো থাকার পর আবার অসুস্থ হয়ে পরে। 

থ্যালাসেমিয়া

থ্যালাসেমিয়া               জিন বাহিত এবং বংশগত একটি রোগের উদাহরণ হলো থ্যালাসেমিয়া। মা ও বাবার কাছ থেকে একটি করে মোট দুটি রোগবাহক জিন জন্মের সময় গ্রহণ করে সন্তান এই রোগের শিকার হয়। একটি করে রোগ বাহক জিন থাকা সত্ত্বেও মা বা বাবা কেউই এই রোগে আক্রান্ত হয় না।