Skip to main content

Posts

Showing posts with the label ইতিহাস সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সাম্প্রতিক পোস্ট

ইতিহাস MCQs For WBCS EXAM, SET 01

ইতিহাস MCQs For WBCS EXAM প্রশ্নঃ ১.  গৌতম বুদ্ধ কোথায় নির্বাণ লাভ করেছিলেন? (a) লুম্বিনী (b) সারণাথ (c) কুশিনগর (d)  বুদ্ধগয়া উত্তরঃ d প্রশ্নঃ ২.  মৃচ্ছকটিকম নাটকটি কার লেখা? (a) বিসাখদত্ত (b) সুদ্রক (c)  বানভট্ট (d)  ভাস উত্তরঃ b

[SAQ] ইতিহাস–ভারতের সমন্বয়বাদী সংস্কৃতি, সেট–১

ভারতের সমন্বয়বাদী সংস্কৃতি প্রশ্ন:১ ভক্তিবাদ বলতে কী বোঝায় ? উত্তর:  সুলতানি তথা মধ্যযুগে একশ্রেণির সন্ন্যাসীগণ ঈশ্বর আরাধনার মাধ্যম হিসেবে ‘ভক্তি’ কে অবলম্বন করেছিলেন এবং প্রচার করেছিলেন। এটি ইতিহাসে ভক্তিবাদ বা ভক্তি আন্দোলন নামে পরিচিত। প্রশ্ন:২ দাদু কে ছিলেন ? উত্তর:  মধ্যযুগের অন্যতম ভক্তিবাদী সাধক ছিলেন দাদু বা দাদু দয়াল। তিনি রামচন্দ্রের উপাসক ছিলেন। তিনি ফতেপুর সিক্রিতে সম্রাট আকবরের সঙ্গে ধর্ম আলোচনা করেন।

[SAQ] ইতিহাস–ভারতে সুলতানি ও মোগল যুগের ইতিবৃত্ত, সেট–৫

ভারতে সুলতানি ও মোগল যুগের ইতিবৃত্ত প্রশ্ন:১ ‘কবুলিয়ত’ বলতে কী বোঝ ? উত্তর:  প্রজারা রাজস্ব প্রদানের শর্ত স্বীকার করে (কবুল করে) সম্রাটকে যে দলিল দিত তা–ই ‘কবুলিয়ত’। শেরশাহ্ এই ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। প্রশ্ন:২ ‘দীন-ই-ইলাহী’ কে প্রবর্তন করেন ? এর মূল কথা কী ? উত্তর:  সম্রাট আকবর ‘দীন-ই-ইলাহী’ প্রবর্তন করেন। এর মূল কথা হল সর্বধর্মসমন্বয়। সমস্ত ধর্মের সারবস্তু নিয়ে এই ধর্ম গঠিত ছিল। প্রশ্ন:৩ কোন্ যুদ্ধে জয়লাভ করে আকবর দিল্লি অধিকার করেন ? এই যুদ্ধে কে পরাজিত হন ? উত্তর:  পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে জয়লাভ করে আকবর দিল্লি অধিকার করেন। এই যুদ্ধে হিমু পরাজিত হন।

[SAQ] ইতিহাস–ভারতে সুলতানি ও মোগল যুগের ইতিবৃত্ত, সেট–৪

ভারতে সুলতানি ও মোগল যুগের ইতিবৃত্ত প্রশ্ন:১ ভারতের সুলতানি সাম্রাজ্যের পতনের দুটি কারণ উল্লেখ করো। উত্তর:  ভারতে সুলতানি সাম্রাজ্যের পতনের দুটি কারণ হল– (i) অভিজাতশ্রেণি বিলাসব্যসনে নিমগ্ন হলে যে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তা সাম্রাজ্যের পতনের পথ প্রশস্ত করে।  (ii) বাবরের ভারত আক্রমণে ইব্রাহিম লোদির পরাজয় সুলতানি সাম্রাজ্যের পতন সম্পূর্ণ করে। প্রশ্ন:২ কনৌজ বা বিল্বগ্রামের যুদ্ধ কত খ্রিস্টাব্দে এবং কাদের মধ্যে হয়েছিল ? উত্তর:  কনৌজ বা বিল্বগ্রামের যুদ্ধ ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল। এই যুদ্ধ হুমায়ুন ও শের খাঁর মধ্যে হয়। প্রশ্ন:৩ তৈমুর লঙ কে ছিলেন ? তিনি কখন ভারত আক্রমণ করেন ? উত্তর:  তৈমুর লঙ ছিলেন সমরখন্দের অধিপতি। তিনি ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত আক্রমণ করেন।

[SAQ] ইতিহাস–ভারতে সুলতানি ও মোগল যুগের ইতিবৃত্ত, সেট–৩

ভারতে সুলতানি ও মোগল যুগের ইতিবৃত্ত প্রশ্ন:১ সুলতান মামুদ কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম ভারত আক্রমণ করেন ? তাঁর ভারত আক্রমণের উদ্দেশ্য কী ছিল ? উত্তর:  সুলতান মামুদ ১০০০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ভারত আক্রমণ করেন। তাঁর ভারত আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ধনসম্পদ লুঠ করা। প্রশ্ন:২ তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ কত খ্রিস্টাব্দে এবং কাদের মধ্যে হয়েছিল ? উত্তর:  তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল। এই যুদ্ধ হয় তৃতীয় পৃথ্বিরাজ চৌহান ও মহম্মদ ঘুরির মধ্যে। প্রশ্ন:৩ আরব মুসলমানরা কত খ্রিস্টাব্দে সিন্ধুদেশ জয় করেন ? সেই সময় সিন্ধুদেশের রাজা কে ছিলেন ? উত্তর:  আরব মুসলমানরা ৭১২ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধুদেশ জয় করেন। সেই সময় সিন্ধুদেশের রাজা ছিলেন দাহির।

[SAQ] ইতিহাস–ভারতে সুলতানি ও মোগল যুগের ইতিবৃত্ত, সেট–২

ভারতে সুলতানি ও মোগল যুগের ইতিবৃত্ত প্রশ্ন:১ মনসবদারী প্রথা কী ? উত্তর:  ‘মনসব’ কথাটির আক্ষরিক অর্থ ‘পদমর্যাদা’।কুরেশীর মতে কার্যকরী অর্থে ‘মনসব’ এমন একটি পদ ছিল যার সঙ্গে বেশ কিছু নিয়ম ও দায়িত্ব সংযুক্ত হয়। আকবরের আমলে বিশেষ পদমর্যাদাযুক্ত ও দায়িত্বপূর্ণ কর্মচারী নিয়োগের যে প্রথা চালু হয় তা–ই ‘মনসবদারী প্রথা’ নামে পরিচিত।   প্রশ্ন:২ ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের পতনের দুটি কারণ উল্লেখ করো। উত্তর:  মোগল সাম্রাজ্যের পতনের একটি কারণ হল ঔরঙ্গজেবের পরবর্তী সম্রাটদের দুর্বলতা। আর একটি কারণ হল ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে নাদির শাহের ভারত আক্রমণ। প্রশ্ন:৩ শাহজাহানের পর কে দিল্লির সিংহাসন দখল করেন ? কত খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয় ? উত্তর:  শাহজাহানের পর ঔরঙ্গজেব দিল্লির সিংহাসন দখল করেন। ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু হয়।

[SAQ] ইতিহাস–ভারতে সুলতানি ও মোগল যুগের ইতিবৃত্ত, সেট–১

ভারতে সুলতানি ও মোগল যুগের ইতিবৃত্ত প্রশ্ন:১ 'নব মুসলমান’ কাদের বলা হয় ? উত্তর:  ১২৯২ খ্রিস্টাব্দে মোঙ্গল বাহিনী ভারত আক্রমণ করলে সুলতান জালালউদ্দিন খলজি তাদের পরাজিত করেন। এই সময় হলাগু–র নেতৃত্বে কয়েক হাজার মোঙ্গল ইসলামধর্ম গ্রহণ করে ভারতে বসবাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। সুলতানের অনুমতি অনুসারে দিল্লির উপকণ্ঠে বসবাসকারী এই ইসলাম ধর্মাবলম্বী মোঙ্গলরা ‘নব মুসলমান’ নামে পরিচিত হয়। প্রশ্ন:২ আলাউদ্দিন খলজির মূল্য নিয়ন্ত্রণ নীতির উদ্দেশ্য কী ছিল ? উত্তর:  আলাউদ্দিন খলজি স্বল্প ও নির্দিষ্ট বেতনে বিশাল সংখ্যক সেনাবাহিনীর ব্যয়নির্বাহের জন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না হওয়ায় সৈন্যরা একই বেতনে বছরের পর বছর কাজ করত। প্রশ্ন:৩ কুতুবউদ্দিনের মৃত্যুর পর কে দিল্লির সুলতানি সিংহাসনে বসেন ? উত্তর:  কুতুবউদ্দিনের মৃত্যুর পর দিল্লির সিংহাসনে বসেন আরম শাহ্। 

[SAQ] ইতিহাস–প্রাচীন ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি, সেট–২

প্রাচীন ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি প্রশ্ন:১ ‘পঞ্চমজাতি’ বলতে কী বোঝায় ? উত্তর:  সাধারণ শূদ্রদের নীচে আদিবাসী, উপজাতি ও চণ্ডালদের স্থান ছিল। তারা সমাজে ‘পঞ্চমজাতি’ বলে পরিচিত ছিল। পঞ্চমজাতির মধ্যে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব ছিল বেশি। প্রশ্ন:২ মৌর্য যুগের দুটি বিখ্যাত বন্দরের নাম উল্লেখ করো। উত্তর:  মৌর্য যুগের দুটি বিখ্যাত বন্দর হল—(i) তাম্রলিপ্ত ও (ii) ভৃগুকচ্ছ। এই বন্দরগুলির মাধ্যমে বিদেশের সঙ্গে ভারতের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য চলত। প্রশ্ন:৩ কৌলীন্য প্রথা কে চালু করেন ? কোন্ কোন্ জাতির মধ্যে এর প্রচলন ছিল ? উত্তর:  বল্লাল সেন কৌলীন্য প্রথা চালু করেন। ব্রাক্ষ্মণ ও ক্ষত্রিয় শ্রেণির মধ্যে কৌলীন্য প্রথার প্রচলন ছিল।

[SAQ] ইতিহাস–প্রাচীন ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি, সেট–১

প্রাচীন ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি প্রশ্ন:১ শংকরাচার্য কে ছিলেন ? উত্তর:  কেরলের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান শংকরাচার্য ছিলেন ধর্মসংস্কারক ও বেদান্ত দর্শনের প্রচারক। তিনি পুরী, দ্বারকা, বদ্রিনাথ ও মহীশূরে চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রশ্ন:২ সঙ্গমেশ্বর মন্দির ও বিরূপাক্ষ মন্দির কে নির্মাণ করেন ? উত্তর:  সঙ্গমেশ্বর মন্দির নির্মাণ করেন চালুক্যরাজ বিজয়াদিত্য। বিরূপাক্ষ মন্দির নির্মাণ করেন চালুক্যরাজ দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্য। প্রশ্ন:৩ পল্লব শিল্পের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। উত্তর:  (i) বৌদ্ধ বিহারের অনুকরণে পাহাড় কেটে গুহা মন্দির নির্মাণ।  যেমন—একম্বরনাথের মন্দির।  (ii) বৃহদাকৃতি পাথর কেটে রথ মন্দির নির্মাণ।  যেমন—সপ্তরথ মন্দির।

[SAQ] ইতিহাস–গুপ্তোত্তর যুগে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেট–৩

গুপ্তোত্তর যুগে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রশ্ন:১ চোল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ? উত্তর:  চোল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিজয়ালয়। প্রশ্ন:২ কোন্ চোল রাজা বাংলা দেশ আক্রমণ করেন ? সেই সময়ে বাংলা দেশের শাসক কে ছিলেন ? উত্তর:  চোল রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল বাংলা আক্রমণ করেছিলেন। সেই সময়ে বাংলার শাসকদের মধ্যে ছিলেন—পূর্ববঙ্গের গোবিন্দ চন্দ্র এবং বঙ্গের প্রথম মহীপাল। প্রশ্ন:৩ কোন্ চালুক্যরাজ হর্ষবর্ধনকে পরাস্ত করেন ? তাঁর রাজধানী কোথায় ছিল ? উত্তর:  চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশী হর্ষবর্ধনকে পরাস্ত করেন। বাদামি (বাতাপি) ছিল দ্বিতীয় পুলকেশীর রাজধানী।

[SAQ] ইতিহাস–গুপ্তোত্তর যুগে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেট–২

গুপ্তোত্তর যুগে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রশ্ন:১ গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর উদ্ভূত দুটি স্বাধীন রাজ্যের নাম উল্লেখ করো। উত্তর:  গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর উদ্ভূত দুটি স্বাধীন রাজ্য হল—(i) কনৌজ ও (ii) গৌড়। গুপ্ত পরবর্তীকালে কনৌজ আর্যাবর্তের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। প্রশ্ন:২ বাণভট্ট কে ছিলেন ? তাঁর কোন্ গ্রন্থ থেকে হর্ষবর্ধনের আমল সম্পর্কে জানা যায় ? উত্তর:  বাণভট্ট ছিলেন হর্ষবর্ধনের সভাকবি। তাঁর রচিত ‘হর্ষচরিত’ থেকে হর্ষবর্ধনের আমল সম্পর্কে জানা যায়। প্রশ্ন:৩ গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের দুটি কারণ উল্লেখ করো। উত্তর:  গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের দুটি কারণ হল— (i) বর্বর হূণদের আক্রমণ,  (ii) স্কন্দগুপ্তের পর শক্তিশালী রাজার অভাব।

[SAQ] ইতিহাস–গুপ্তোত্তর যুগে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেট–১

গুপ্তোত্তর যুগে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রশ্ন:১ বল্লাল সেন রচিত দুটি গ্রন্থের নাম কী ? উত্তর:  বল্লাল সেন রচিত দুটি গ্রন্থের নাম হল—(i) ‘দানসাগর’ ও (ii) ‘অদ্ভুতসাগর’।  গ্রন্থ দুটি থেকে হিন্দুধর্মের ক্রিয়াকর্ম ও আচার পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়। প্রশ্ন:২ ‘অরিরাজ-মদন-শঙ্কর’ কার উপাধি ? উত্তর:  ‘অরিরাজ-মদন-শঙ্কর’ লক্ষ্মণ সেনের উপাধি ছিল।  প্রশ্ন:৩ ‘মাৎস্যন্যায়’ কাকে বলে ? উত্তর:  শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলাদেশে প্রায় একশো বছর ধরে যে অরাজক অবস্থা চলেছিল তাকে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলা হয়। ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে গোপাল সিংহাসনে আরোহণ করলে মাৎস্যন্যায়–এর অবসান ঘটে।

[SAQ] ইতিহাস–বিভিন্ন রাজশক্তির উত্থান ও পতন, সেট–৩

বিভিন্ন রাজশক্তির উত্থান ও পতন প্রশ্ন:১ অশোক কেন কলিঙ্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ?  উত্তর:  মৌর্য সাম্রাজ্যের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যের স্বার্থে এবং সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব চরিতার্থ করার জন্য অশোক কলিঙ্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। প্রশ্ন:২ শিশুনাগ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও শেষ রাজা কে ছিলেন ? উত্তর:  শিশুনাগ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শিশুনাগ। এই বংশের শেষ রাজা ছিলেন কালাশোক। প্রশ্ন:৩ চাণক্য কে ছিলেন ? উত্তর:  চাণক্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান পরামর্শদাতা। তিনি কৌটিল্য নামে ‘অর্থশাস্ত্র’ রচনা করেন।

[SAQ] ইতিহাস–বিভিন্ন রাজশক্তির উত্থান ও পতন, সেট–২

বিভিন্ন রাজশক্তির উত্থান ও পতন প্রশ্ন:১ খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে একটি বৃহৎ শক্তি হিসেবে মগধের উত্থানের দুটি কারণ উল্লেখ করো। উত্তর:  মগধের উত্থানের দুটি কারণ হল— (i) মগধে ধারাবাহিকভাবে সুদক্ষ শাসকদের ও মন্ত্রীদের আবির্ভাব।  (ii) মগধে প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য। প্রশ্ন:২ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য প্রতিষ্ঠিত বংশের নাম ‘মৌর্য’ হল কেন ? উত্তর:  চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য প্রতিষ্ঠিত বংশ ‘মৌর্য বংশ’ নামে খ্যাত। ‘মৌর্য’ নামকরণ নিয়ে বিতর্ক আছে। (i) ‘মুদ্রারাক্ষস’ অনুযায়ী চন্দ্রগুপ্তের ঠাকুরমার এবং ‘বিষ্ণুপুরাণ’ অনুযায়ী চন্দ্রগুপ্তের মায়ের নাম ‘মুরা’ থেকে ‘মৌর্য’ নামকরণ হয়েছে।  (ii) কারও মতে, চন্দ্রগুপ্তের পূর্বপুরুষরা ছিলেন ময়ূরপোষক, আবার কারও মতে চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন পিপ্পলিবনের মৌরিয় ক্ষত্রিয় গোষ্ঠীভুক্ত—এ থেকেই চন্দ্রগুপ্ত প্রতিষ্ঠিত বংশের নাম হয়েছে ‘মৌর্য’। প্রশ্ন:৩ ‘মহাজনপদ’ শব্দের অর্থ কী ? মহাজনপদগুলির মধ্যে কোন্‌টি সাম্রাজ্যবাদের সূচনা করে ? উত্তর:  ‘মহাজনপদ’ শব্দের অর্থ ‘বৃহৎ রাজ্য’। মহাজনপদগুলির মধ্যে মগধ সাম্রাজ্যবাদের সূচনা করে।

[SAQ] ইতিহাস–বিভিন্ন রাজশক্তির উত্থান ও পতন, সেট–১

বিভিন্ন রাজশক্তির উত্থান ও পতন প্রশ্ন:১ গুপ্ত বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ? গুপ্ত বংশের প্রথম সার্বভৌম রাজার নাম কী ? উত্তর:  গুপ্ত বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীগুপ্ত। গুপ্ত বংশের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। প্রশ্ন:২ ফা–হিয়েন কে ছিলেন ? উত্তর:  দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে আগত চৈনিক পরিব্রাজক। প্রশ্ন:৩ ‘সর্বোরাজোচ্ছেত্তা’ ও ‘কবিরাজ’ উপাধি কে গ্রহণ করেছিলেন এবং কেন ? উত্তর:  ‘এলাহাবাদ প্রশস্তি’ থেকে জানা যায় গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত ‘সর্বোরাজোচ্ছেত্তা’ ও ‘কবিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। উত্তরদিকের সবকটি স্বাধীন রাজ্যকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে তিনি ‘সর্বোরাজোচ্ছেত্তা’ উপাধি গ্রহণ করেন। আবার, সুকবি, সঙ্গীতজ্ঞ ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হওয়ায় ‘এলাহাবাদ প্রশস্তি’-তে তাকে ‘কবিরাজ’ বলে অভিহিত করা হয়।

[SAQ] ইতিহাস-ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন, সেট–৫

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন প্রশ্ন:১ হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে বৈদিক সভ্যতার দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো। উত্তর:  হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে বৈদিক সভ্যতার দুটি পার্থক্য হল— (i) হরপ্পা সভ্যতা ছিল নগরকেন্দ্রিক, কিন্তু বৈদিক সভ্যতা ছিল গ্রামীণ। (ii) হরপ্পা সভ্যতায় সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক, কিন্তু বৈদিক সভ্যতায় সমাজ ছিল পিতৃতান্ত্রিক। প্রশ্ন:২ বৈদিক যুগে স্তোত্র রচনা করেছেন এমন দুজন নারীর নাম করো। উত্তর:  বৈদিক যুগে স্তোত্র রচনাকারী দুজন নারী হলেন—(i) ঘোষা এবং (ii) লোপামুদ্রা। বেদের মন্ত্র রচনা করতেন বলে তাঁদের ব্রহ্মবাদিনী বলা হত। প্রশ্ন:৩ আর্যরা ভারতের কোথায় প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল ? উত্তর:  আর্যরা ভারতে প্রথম সপ্তসিন্ধু অঞ্চলে তাদের বসতি স্থাপন করেছিল। সপ্তসিন্ধু বলতে আফগানিস্তান, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের পশ্চিম সীমান্ত নিয়ে এক অখণ্ড অঞ্চলকে বোঝায়।

[SAQ] ইতিহাস-ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন, সেট–৪

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন প্রশ্ন:১ ত্রিপিটক কী কী ? উত্তর: ত্রিপিটক হল— (i) বিনয় পিটক,  (ii) সুত্ত পিটক বা সূত্র পিটক,  (iii) অভিধর্ম পিটক।  তিনটি পিটক একত্রে ত্রিপিটক নামে খ্যাত। প্রশ্ন:২ শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর কাদের বলা হয় ? উত্তর:  জৈনদের দুটি সম্প্রদায় হল শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর। যাঁরা সাদা কাপড় পরতেন তাঁদের শ্বেতাম্বর বলা হয়। যাঁরা সম্পূর্ণ বন্ধনমুক্তির জন্য পরিধেয় বস্ত্র পর্যন্ত ত্যাগ করেছিলেন তাঁদের দিগম্বর বলা হয়। প্রশ্ন:৩ ‘ব্রাত্য’ কারা ? উত্তর:  যে সমস্ত শৈব আর্য বনের ফলমূল ও পশুপাখিরা মাংস খেয়ে জীবনধারণ করত তারা ‘ব্রাত্য’ নামে পরিচিত। এরা আর্যদের আদি জীবিকা পশুপালনকে অবলম্বন করে যাযাবর জীবন যাপন করত।

[SAQ] ইতিহাস-ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন, সেট–৩

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন প্রশ্ন:১ হরপ্পা সভ্যতার কয়েকটি প্রধান কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করো। উত্তর:  হরপ্পা সভ্যতার কয়েকটি প্রধান কেন্দ্র হল—(i) হরপ্পা, (ii) মহেন-জো-দারো, (iii) আলমগীরপুর (উত্তরপ্রদেশ), (iv) কালিবঙ্গান (রাজস্থান), (v) লোথাল (গুজরাট), (vi) রূপার (হরিয়ানা), (vii) সুতকাজেন-দোর ইত্যাদি। প্রশ্ন:২ হরপ্পা ও মহেন-জো-দারো কোথায় অবস্থিত ? উত্তর:  হরপ্পা বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের পশ্চিম পাঞ্জাবের মন্টগোমারি জেলায় অবস্থিত। মহেন-জো-দারো বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় অবস্থিত। প্রশ্ন:৩ মেহেরগড় কোথায় অবস্থিত ? উত্তর:  মেহেরগড় বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের বালুচিস্তানের বোলান নদীর তীরে (বোলান গিরিপথের কাছে এবং কোয়েটা শহর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ৫০০ একর এলাকা জুড়ে) অবস্থিত।

[SAQ] ইতিহাস-ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন, সেট–২

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন প্রশ্ন:১ বৌদ্ধধর্মে ‘নির্বাণ’ বলতে কী বোঝায় ? উত্তর:  নির্বাণ শব্দের অর্থ ‘মোক্ষলাভ’। বৌদ্ধধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে দুঃখকষ্টের হাত থেকে মুক্তির পথ দেখানো। গৌতম বুদ্ধের মতে, মানুষ অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণ করলেই জন্মান্তর থেকে অর্থাৎ দুঃখকষ্টের হাত থেকে মুক্তি লাভ করবে বা নির্বাণ লাভ করবে। প্রশ্ন:২ মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধ কোথায় দেহত্যাগ করেন ? উত্তর:  মহাবীর পাবা নগরীতে দেহত্যাগ করেন। গৌতম বুদ্ধ কুশি নগরে দেহত্যাগ করেন। প্রশ্ন:৩ ‘সিদ্ধ শিলা’ কী ? উত্তর:  মহাবীরের মতে, সত্য বিশ্বাস, সত্য জ্ঞান এবং সত্যকে উপলব্ধি—এই ত্রিরত্নের সাহায্যে পরমশুদ্ধ আনন্দ বা আত্মার মুক্তিলাভ সম্ভব। একে ‘সিদ্ধ শিলা’ বলা হয়।

[SAQ] ইতিহাস-ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন, সেট–১

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন প্রশ্ন:১ উপনিষদকে বেদান্ত বলা হয় কেন ? উত্তর:  বেদের শেষ ভাগ হল উপনিষদ। তাই উপনিষদকে বেদের অন্ত বা বেদান্ত বলা হয়। প্রশ্ন:২ শ্রেষ্ঠী কারা ? উত্তর:  ব্যাবসাবাণিজ্যের প্রসারের ফলে বৈশ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে এক ধনশালী বণিকশ্রেণির উদ্ভব হয়, এরা শ্রেষ্ঠী নামে পরিচিত। শ্রেষ্ঠীরা সাধারণত নগরে বসবাস করত। প্রশ্ন:৩ বৈদিক যুগের গণপ্রতিনিধিত্বমূলক সংস্থাগুলির নাম কী ? উত্তর:  ঋগ্‌বৈদিক যুগের গণপ্রতিনিধিত্বমূলক সংস্থাগুলির নাম হল— (i) সভা ও (ii) সমিতি। ‘সভা’ বয়োজ্যেষ্ঠদের দ্বারা এবং ‘সমিতি’ সর্বসাধারণের দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত হত।

[SAQ]ভারত ইতিহাসের ভৌগলিক উপাদান ও তার প্রভাব, সেট–৩

ভারত ইতিহাসের ভৌগলিক উপাদান ও তার প্রভাব প্রশ্ন:১ ‘অর্থশাস্ত্র’ কে রচনা করেন ? এতে কোন রাজাদের রাজত্বকাল সম্পর্কে জানা যায় ? উত্তর:  কৌটিল্য বা চাণক্য ‘অর্থশাস্ত্র’ রচনা করেন।এতে মৌর্য রাজাদের ইতিহাস জানা যায়। প্রশ্ন:২ ‘হর্ষচরিত’ এর রচয়িতা কে ? হর্ষবর্ধন রচিত দুটি গ্রন্থের নাম উল্লেখ করো। উত্তর:  ‘হর্ষচরিত’–এর রচয়িতা হলেন বাণভট্ট।হর্ষবর্ধন রচিত দুটি গ্রন্থের নাম হল— (i) ‘নাগানন্দ’ ও  (ii) ‘রত্নাবলী’। প্রশ্ন:৩ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বলতে কী বোঝায় ? দুটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের উদাহরণ দাও। উত্তর:  প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হল উৎখননের ফলে মাটির তলা থেকে বা মাটির ওপর থেকে আবিষ্কৃত অতীতকালে তৈরি বা অতীতে ব্যবহৃত জিনিসপত্র। দুটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হল— (i) শিলালিপি ও (ii) মুদ্রা।