🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:
সাঁওতাল বিদ্রোহ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের পূর্বে সংগঠিত প্রতিবাদী আন্দোলনগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সাঁওতাল উপজাতির অভ্যুত্থান (১৮৫৫ খ্রি.)। ড. কালিকিংকর দত্ত তাঁর “দি সাঁওতাল ইনসারেক্সন অব ১৮৫৫-৫৭' গ্রন্থে লেখেন—“বাংলা ও বিহারের ইতিহাসে এই পর্ব (সাঁওতাল বিদ্রোহ) নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটায়।” সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ— (১) রাজস্বের বোঝা— কর্নওয়ালিশ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করলে সাঁওতালদের বাসভূমি বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম, ছোটোনাগপুর প্রভৃতি অঞ্চল কোম্পানির রাজস্বের অধীনে আসে। ফলে এসব অঞ্চলে বসবাসকারী সাঁওতালরা রাজমহলের পার্বত্য অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে এবং রুক্ষ মাটিকে কৃষিকাজের উপযুক্ত করে জীবনধারণ করতে থাকে। এই অঞ্চল ‘দামিন-ই-কোহ’ (পাহাড়ের প্রান্তদেশ) নামে পরিচিত হয়। কিন্তু কিছুদিন পরে সরকার এই অঞ্চলকেও জমিদারি বন্দোবস্ত ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করে। ফলে সাঁওতালদের ওপর রাজস্বের বোঝা চাপে। এতে সাঁওতালরা ক্ষুব্ধ ও বিদ্ৰোহমুখী হয়৷