দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) বা প্রথম জোড়ার সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়াটি পূরণ : ১. জগদীশচন্দ্র বসু : ক্রেস্কোগ্রাফ :: উদ্ভিদের কাণ্ডের আলোকবৃত্তি : ❓ অক্সিন ২. তীব্র আলোক : ফটোন্যাস্টিক :: আলোক উৎসের গতিপথ : ❓ ফটোট্রপিক ৩. সিসমোন্যাস্টিক : লজ্জাবতী :: প্রকরণ চলন : ❓ বনচাঁড়াল ৪. অনুকূল জিওট্রপিক : উদ্ভিদের মূল :: প্রতিকূল জিওট্রপিক : ❓ সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল ৫. সূর্যমুখী : ফটোন্যাস্টিক :: টিউলিপ : ❓ থার্মোন্যাস্টিক
স্ত্রীশিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়
স্ত্রীশিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিদ্যাসাগর মহাশয় বিশ্বাস করতেন যে, স্ত্রীজাতির উন্নতি ছাড়া দেশের ধর্ম, সমাজ ও জীবনধারার স্থায়ী বা প্রকৃত উন্নতি সম্ভব নয়।
(১) বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা–
সরকারি সাহায্য ছাড়াই নিজের উদ্যোগে তিনি ৩৫ টি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি গ্রামাঞ্চলে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনের ওপর জোর দেন। নারীদের পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে তিনি ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুনের সঙ্গে মিলিতভাবে বেথুন স্কুল তৈরি করেন।
(২) কলেজ প্রতিষ্ঠা–
নারীদের উচ্চশিক্ষার আলোয় নিয়ে আসার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বেথুন কলেজ, মেট্রোপলিটান কলেজ (যার এখন নাম ‘বিদ্যাসাগর কলেজ’)।
(৩) শিক্ষা সংগঠন প্রতিষ্ঠা–
স্ত্রীশিক্ষার সুষ্ঠু প্রসারের লক্ষ্যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মেদিনীপুর, হুগলি, বর্ধমান–সহ বিভিন্ন জেলায় ‘স্ত্রীশিক্ষা সম্মিলনী’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন।
মহাদেব গোবিন্দ রানাডে বিদ্যাসাগরের নারীকল্যাণকর ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন— “ গবেষণা ও মৌলিকত্ব এবং জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ও শ্রেষ্ঠ সম্পদ দিয়ে তাঁর দেশের স্ত্রীজাতির বন্ধনমুক্তির কাজ করে বিদ্যাসাগর আগামী দিনের ভারতের ঘরে ঘরে আদর্শ ব্যক্তি ও মানবকল্যাণের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।”

Comments
Post a Comment