নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন
আইন প্রবর্তনের কারণ
ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।
শর্তসমূহ
লর্ড লিটনের আমলে ‘গজদানন্দ ও যুবরাজ’ নাটককে কেন্দ্র করে সরকার নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন (১৮৭৬ খ্রি.) জারি করে ও নাটকের স্বাভাবিক প্রদর্শন বন্ধ করে দেয়। এই আইনে—
(i) মঞ্চাভিনয়ের আগে উপযুক্ত সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে নাটকের পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।
(ii) সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো নাটকের প্রকাশ্য অভিনয় নিষিদ্ধ করা হয়।
(iii) সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে এমন যে–কোনো বিষয়ের ওপর নাটক প্রদর্শন দণ্ডযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়।
প্রতিক্রিয়া
নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইনের বিরুদ্ধে বিচারপতি দ্বারকানাথ মিত্রের বাড়িতে (কলকাতার ভবানীপুরে) এক প্রতিবাদ সভা আয়োজিত হয়। এ ছাড়াও লক্ষ্ণৌ, কানপুর, এলাহাবাদ–সহ বিভিন্ন জায়গায় এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ–সমাবেশ আয়োজিত হয়।
ফলাফল
বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান যেমন, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন, ভারতসভা এই দমনমূলক আইনটির বিরুদ্ধে সরব হলে লর্ড রিপন নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন শিথিল করেন।
🔗🔗🔗
Read More ::
Comments
Post a Comment