ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন
আইন প্রবর্তনের কারণ
ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।
শর্তসমূহ
লর্ড লিটনের আমলে ‘গজদানন্দ ও যুবরাজ’ নাটককে কেন্দ্র করে সরকার নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন (১৮৭৬ খ্রি.) জারি করে ও নাটকের স্বাভাবিক প্রদর্শন বন্ধ করে দেয়। এই আইনে—
(i) মঞ্চাভিনয়ের আগে উপযুক্ত সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে নাটকের পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।
(ii) সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো নাটকের প্রকাশ্য অভিনয় নিষিদ্ধ করা হয়।
(iii) সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে এমন যে–কোনো বিষয়ের ওপর নাটক প্রদর্শন দণ্ডযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়।
প্রতিক্রিয়া
নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইনের বিরুদ্ধে বিচারপতি দ্বারকানাথ মিত্রের বাড়িতে (কলকাতার ভবানীপুরে) এক প্রতিবাদ সভা আয়োজিত হয়। এ ছাড়াও লক্ষ্ণৌ, কানপুর, এলাহাবাদ–সহ বিভিন্ন জায়গায় এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ–সমাবেশ আয়োজিত হয়।
ফলাফল
বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান যেমন, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন, ভারতসভা এই দমনমূলক আইনটির বিরুদ্ধে সরব হলে লর্ড রিপন নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন শিথিল করেন।
🔗🔗🔗
Read More ::

Comments
Post a Comment