দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন বিভাগ ১: চলনের প্রাথমিক ধারণা ও জগদীশচন্দ্র বসু প্রশ্নঃ১. উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনকে কী বলে? (ক) গমন (খ) চলন (গ) রেচন (ঘ) পুষ্টি উত্তর: (খ) চলন প্রশ্নঃ২. যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে তাকে কী বলে? (ক) চলন (খ) বিচলন (গ) গমন (ঘ) উদ্দীপনা উত্তর: (গ) গমন
ভারতের সমন্বয়বাদী সংস্কৃতি
প্রশ্ন:১
ভক্তিবাদ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর:
সুলতানি তথা মধ্যযুগে একশ্রেণির সন্ন্যাসীগণ ঈশ্বর আরাধনার মাধ্যম হিসেবে ‘ভক্তি’ কে অবলম্বন করেছিলেন এবং প্রচার করেছিলেন। এটি ইতিহাসে ভক্তিবাদ বা ভক্তি আন্দোলন নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:২
দাদু কে ছিলেন ?
উত্তর:
মধ্যযুগের অন্যতম ভক্তিবাদী সাধক ছিলেন দাদু বা দাদু দয়াল। তিনি রামচন্দ্রের উপাসক ছিলেন। তিনি ফতেপুর সিক্রিতে সম্রাট আকবরের সঙ্গে ধর্ম আলোচনা করেন।
প্রশ্ন:৩
সুফিবাদ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর:
ভারতে মুসলমানদের আগমনের পর খ্রিস্টীয় নবম–দশম শতাব্দীতে ইসলাম ধর্মের এক সংস্কারবাদী উদার মতবাদের প্রসার ঘটে। এটি ইতিহাসে সুফিবাদ বা সুফি আন্দোলন বলে পরিচিত। অনেকের মতে, এই মতবাদের প্রচারকরা আরবি শব্দ সুফ অর্থাৎ পশম বা উলের এক বিশেষ পোশাক পরতেন বলে এঁরা সুফি নামে পরিচিতি লাভ করেন।
প্রশ্ন:৪
নানক কে ছিলেন ?
উত্তর:
নানক ছিলেন মধ্যযুগের ভক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম সাধক। তাঁর শিষ্যরা শিখ নামে পরিচিত। তিনি শিখধর্মের প্রবর্তক।
প্রশ্ন:৫
শ্রীচৈতন্যদেব কে ছিলেন ?
উত্তর:
বাংলায় ভক্তিবাদী আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। তিনি ব্রাহ্মণ্য প্রাধান্য ও জাতিভেদ প্রথা অস্বীকার করে সমগ্র মানবসমাজে ভক্তিধর্ম প্রচার করেন। তাঁর প্রচারিত ধর্ম ‘গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:৬
কবীর কে ছিলেন ?
উত্তর:
কবীর ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম ভক্তিবাদী সাধক। তিনি দু–লাইনের কবিতা বা ‘দোঁহা’-র মাধ্যমে উপদেশ প্রচার করেন। তাঁর অনুগামীদের ‘কবীরপন্থী’ বলা হয়।
প্রশ্ন:৭
ভক্তিবাদী আন্দোলনের চারজন প্রবক্তার নাম করো।
উত্তর:
ভক্তিবাদী আন্দোলনের চারজন প্রবক্তা হলেন—রামানন্দ, কবীর, নানক ও শ্রীচৈতন্যদেব। এরা জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা করেন এবং সর্বধর্মসমন্বয়ের বাণী প্রচার করেন।
প্রশ্ন:৮
ভারতে সুফি আন্দোলনের ফল কী হয়েছিল ?
উত্তর:
ভারতের সুফি আন্দোলনের ফলে—
(i) হিন্দু মুসলিম বিভেদ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছিল।
(ii) হিন্দি ভাষা ও কাওয়ালি সংগীত সমৃদ্ধ হয়েছিল।
প্রশ্ন:৯
ভক্তিবাদের মূল কথা কী ?
উত্তর:
ভক্তিবাদের মূল কথা হল—
(i) অন্তরের ভক্তি ঈশ্বর আরাধনার একমাত্র উপায়,
(ii) একেশ্বরবাদে বিশ্বাস এবং
(iii) ভক্তের সঙ্গে ভগবানের রহস্যময় বা অতীন্দ্রিয় মিলন।
প্রশ্ন:১০
সুফিবাদের মূল কথা কী ?
উত্তর:
সুফিবাদের মূল কথা হল—
(i) একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করা,
(ii) পবিত্র জীবনযাপন করা,
(iii) আল্লার বা ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণ করা।
এছাড়া তওবা, ওয়ারা, জুহুজ, ফকর, সবর ইত্যাদি দশটি নীতি সুফিবাদের অনুগামীদের মেনে চলতে হত।
Comments
Post a Comment