Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য

বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World)                        ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity)                  ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি:                     উত্...

জানুন সেই ৬ জন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে যারা বারবার মনোনীত হওয়া সত্বেও নোবেল পুরস্কার পাননি

                    আজকের এই পোস্টটিতে আমরা এমন ৬ জন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে জেনে নেব যাঁরা একটুর জন্য নোবেল পুরস্কার পাননি।
কিন্তু তাদের গবেষণা গুলিকে এগিয়ে নিয়ে অনেক বিজ্ঞানী এই চূড়ান্ত সম্মান অর্জন করেছেন।

চলুন দেখে নিই সেই ৬ জন বিখ্যাত বিজ্ঞানীর অবদান।



(১) মেঘনাদ সাহা::



                          মেঘনাদ সাহা ছিলেন একজন অগ্রণী মহাকাশ বিজ্ঞানী। তিনি বিশ্বকে তাপীয় আয়নিকরন সমীকরণের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, যা সাহা সমীকরণ নামে অধিক পরিচিত। এই সমীকরণটি একটি উপাদানের আয়নিক অবস্থার সাথে চাপের ও তাপমাত্রার সম্পর্ক প্রদর্শন করে।
                          এই সমীকরণটি তার বৈজ্ঞানিক উত্তরসূরিদের নানাভাবে সাহায্য করেছিল।
                          মেঘনাদ সাহা ১৮৯২ সালে অবিভক্ত বাংলায় জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তিনি যথেষ্ট কম সুবিধাভুক্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, তবুও কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় এর মাধ্যমে সব বাধা কাটিয়ে উঠে অন্যতম শীর্স্থানীয় বৈজ্ঞানিক পুরুষ হিসাবে আবির্ভূত হন।
                          কলকাতা ইউনিভার্সিটি কলেজ ও সায়েন্সে অধ্যাপক থাকাকালীন তিনি কয়েকটি অসাধারণ রিসার্চ পেপার লেখেন, যা কলেজের বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রকাশ করা যায় নি।
                          ১৯১৯ সালে তার "Harvard Classification of Stellar Spectra" প্রবন্ধের জন্য তিনি প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি অর্জন করেন। এই বৃত্তির টাকায় তিনি দুই বছরের জন্য ইউরোপ যান এবং শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের সাথে কাজ করেন।
                          ১৯২০ সালে ইউরোপে সাহা তার সমীকরণটি আবিষ্কার করেছিলেন।
                          ভারতে ফিরে আসার পর সাহা দেশের প্রথম সাইক্লোট্রন তৈরি করেছিলেন।পাশাপাশি শুরু করেছিলেন "ইন্ডিয়ান সাইন্স নিউজ অ্যাসোসিয়েশন (১৯৩৫)" এবং "ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লেয়ার ফিজিক্স (১৯৫০)"
                          এই মহান বিজ্ঞানী সাতবার নোবেল পুরস্কার এর জন্য মনোনীত হওয়া সত্বেও দুর্ভাগ্যবশত এই চূড়ান্ত সম্মান টি পাননি।



(২) হোমি জাহাঙ্গির ভাবা::



                             তিনি ভারতের পারমাণবিক কার্যক্রমের জনক হিসাবে পরিচিত। হোমি জাহাঙ্গির ভাবা একজন ভারতীয় পারমাণবিক পদার্থ বিজ্ঞানী যিনি ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যে পরপর ৫ বার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
                             কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তিনিও নোবেল পুরস্কার পাননি।
                             বোম্বের এক প্রভাবশালী ব্যাবসায়িক পরিবারে ১৯০৯ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
                             এলফিনস্টন কলেজে পড়াশোনা শেষ করার পর ১৯২৭ সালে রয়াল ইনস্টিটিউট অফ সাইন্সে যোগ দেন।
                             পরে তিনি পরিবারের ইচ্ছাতেই ক্যামব্রিজের কায়ুস কলেজে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।
                             যাইহোক ক্যামব্রিজে তার আগ্রহ পরে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ওপর।
                             তার প্রথম রিসার্চ পেপার টি প্রকাশিত হয় ১৯৩৩ সালে, যেটি হলো "The Absorption of Cosmic Radiations"
                             তিনি Niles Bohr এর সাথেও কাজ করেছিলেন। ১৯৩৫ সালে তিনি ইলেকট্রন - পজিট্রন বিচ্ছুরণের ক্রসসেকশন গণনা করেছিলেন। তার সম্মানার্থে এই ঘটনাটির নামকরণ করা হয় ভাবা স্ক্যাটারিং।
                             ১৯৩৯ সালে তিনি ভারতের ফেরেন এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সাইন্স (IISC) এ স্যার সি ভি রামন এর সাথে কাজ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তার আর ক্যামব্রিজে যাওয়া হয় নি।
                             ১৯৫৫ সালে তিনি সুইজারল্যান্ড এর জেনেভায় শান্তিমূলকভাবে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার সম্পর্কিত জাতিসংঘের সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।


(৩) সত্যেন্দ্রনাথ বসু::



                               কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একজন অগ্রণী বিজ্ঞানী হলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তিনি বোস - আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের উদ্ভাবক। কণা - পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে তাঁর নাম চিরস্মরণীয়।
                             
                           তার নামে নামকরণ করা হয়েছে সাব অ্যাটমিক বোসন কণার।
                           পদার্থবিদ্যা তে অসাধারণ কৃতিত্ব থাকা সত্বেও সত্যেন্দ্রনাথ বসু পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পাননি।
                           ১৮৯৪ সালের ১লা জানুয়ারি কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
                           প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে মিশ্রগনিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে তিনি কোয়ান্টম পদার্থবিদ্যার ওপর গবেষণা চালান।
                           ১৯২৪ সালের জুন মাসে, বোস নিজে আইনস্টাইনকে একটি চিঠিতে তার "গ্রাউন্ড ব্রেকিং ডেরিভেশন" সম্পর্কে লেখেন। বোসের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে যান আইনস্টাইন এবং বোসের এই তত্ত্বটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন। আইনস্টাইন বলেন "বোসের এই তত্ত্বটি আমার কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ তত্ব ও এটি আদর্শ গ্যাসের কোয়ান্টাম তত্ত্বের ব্যাখ্যা দেয়"।
                           ১৯৫৬, ১৯৫৯ ও ১৯৬২ সালগুলিতে তিনি নোবেল পুরস্কার এর জন্য মনোনীত হন কিন্তু দুর্ভগ্যজনকভাবে তিনি এই পুরস্কারটি পাননি।


(৪) উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী::



                             মারাত্মক কালাজ্বরের কবল থেকে রক্ষা করতে উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী আবিষ্কার করেন জীবনরক্ষাকারী ঔষধ ইউরিয়া স্টিবামিন
                             তিনি ১৮৭৩ সালে বিহারের জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন বিখ্যাত ডাক্তার।
                             কলকাতার ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুলের অনুশীলনকারী চিকিৎসক হিসাবে কাজ করার সময় পাশাপাশি কালা জ্বরের প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চালিয়ে গেছেন।
                             অবশেষে ১৯২২ সালে প্রতিষেধক আবিষ্কার করার পর সাফল্যের স্বাদ গ্রহণ করেন।
                             তিনি তার এই মহান আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার না পেলেও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে তার জীবনকালীন অবদানের জন্য ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ' নাইটহুড' উপাধি দেন।
                     

(৫) গোপালসমুদ্রম নারায়ণন রামচন্দ্রন::



                                 জৈব রসায়নের যে কোনো শিক্ষার্থীর কাছে রামচন্দ্রন প্লট একটি অতি প্রয়োজনীয় বিষয়। এই রামচন্দ্রন প্লট যিনি তৈরি করেন তিনি হলেন এই গোপালসমুদ্রম নারায়ণন রামচন্দ্রন।
                                 তিনি IISC তে স্যার সি ভি রামন এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা করতেন।
                                 কেরালার এরনাকুলামে ১৯২২ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফস্ কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে B.Sc অনার্স পড়েন ও পরে IISC তে M.Sc এবং Phd করেন।
                                 তিনি রয়েল সোসাইটির ফেলো হিসাবে স্বীকৃতি পান।


(৬) তিরুভেঙ্গদম রাজেন্দ্র শেশাদি::



                             তিনি ছিলেন একজন পদ্মভূষণ ভারতীয় রসায়নবিদ। ১৯৬৬ সালে জৈব রসায়নে অসাধারণ গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
                             তিনি ১৯০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তামিলনাড়ুর কুলিথলাই গ্রামে, সাতজনের এক পরিবারে। তিনি মাদ্রাজের প্রেসিডেন্সি কলেজে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
                             এই মহান বিজ্ঞানীও নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।



Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে। এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা। 

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা ‘মেখলা’ শব্দের মানে হল ‘কোমর বন্ধনী’। অসংখ্য আগ্নেয়গিরি মেখলা বা কোমর বন্ধনীর আকারে কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যখন অবস্থান করে, তখন তাকে ‘আগ্নেয় মেখলা’ বলা হয়। ভূবিজ্ঞানীর মতে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে ও এশীয় মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে পাত সীমায় ফাটল বরাবর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়। 

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য

  আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য Sl. No. আবহবিকার ক্ষয়ীভবন 1 আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন—উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, জলীয় বাষ্প, তুষারপাত ও বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান দ্বার শিলাসমূহের চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া বা বিয়োজনকে আবহবিকার বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, যেমন—নদী, বায়ু, হিমবাহ, ইত্যাদি দ্বারা আবহবিকারপ্রাপ্ত চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহের অপসারণকে ক্ষয়ীভবন বলে। 2 আবহবিকারের ফলে মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের (গঠন, আকৃতি, খনিজের আণবিক সজ্জা প্রভৃতি) পরিবর্তন ঘটে । ক্ষয়ীভবনের ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধিত হয়। কিন্তু মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। 3 আবহবিকার কোনোভাবে ক্ষয়ীভবনের ওপর নির্ভরশীল নয়। ক্ষয়ীভবন সম্পূর্ণরূপে আবহবিকারের ওপর নির্ভরশীল। আবহবিকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না। 4 আবহবিকারের ফলে চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহ শিলাস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপরেই অবস্থান করে। ক্ষয়ীভবনের ফলে আবহবিকার প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ স্থানান্তরি...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা

  কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা       জলের আর এক নাম জীবন, কিন্তু মাঝে মাঝে এই জলই আমাদের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নৌকাডুবি, লঞ্চডুবি, জলের ঘূর্ণিতে পড়া, সাঁতার কাটতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে, বন্যা, চোরাবালি ইত্যাদি কারণে জলে ডোবার ঘটনা ঘটে থাকে।   

স্প্রিং তুলা ও সাধারণ তুলার মধ্যে পার্থক্য কী ?

স্প্রিং তুলা ও সাধারণ তুলার মধ্যে পার্থক্য - স্প্রিং তুলা সাধারণ তুলা 1. স্প্রিং তুলা দিয়ে বস্তুর ভার বা ওজন মাপা হয়। 1. সাধারণ তুলায় বস্তুর ভর মাপা হয়। 2. খুব ভারী বস্তুর ওজন মাপা যায় না। 2. ভারী বস্তুর ভর মাপা যায়। 3. স্প্রিং তুলায় একটি বস্তুর ওজনের পাঠ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হয়। 3. সাধারণ তুলায় একটি বস্তুর ভরের ক্ষেত্রে সব স্থানে একই পাঠ পাওয়া যায়। 4. স্প্রিং তুলা যে স্থানে অংশাঙ্কিত হয় শুধু সেই স্থানে সঠিক পাঠ দেয়। 4. সাধারণ তুলা সব স্থানে সঠিক পাঠ দেয়। 5. স্প্রিং তুলার কার্যনীতি পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের জন্য স্প্রিং-এর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির ওপর নির্ভরশীল। 5. সাধারণ তুলা প্রথম শ্রেণির লিভারের নীতি অনুযায়ী কাজ করে।