Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

ইতিহাস MCQs For WBCS EXAM, SET 01

ইতিহাস MCQs For WBCS EXAM প্রশ্নঃ ১.  গৌতম বুদ্ধ কোথায় নির্বাণ লাভ করেছিলেন? (a) লুম্বিনী (b) সারণাথ (c) কুশিনগর (d)  বুদ্ধগয়া উত্তরঃ d প্রশ্নঃ ২.  মৃচ্ছকটিকম নাটকটি কার লেখা? (a) বিসাখদত্ত (b) সুদ্রক (c)  বানভট্ট (d)  ভাস উত্তরঃ b

জানুন সেই ৬ জন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে যারা বারবার মনোনীত হওয়া সত্বেও নোবেল পুরস্কার পাননি

                    আজকের এই পোস্টটিতে আমরা এমন ৬ জন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে জেনে নেব যাঁরা একটুর জন্য নোবেল পুরস্কার পাননি।
কিন্তু তাদের গবেষণা গুলিকে এগিয়ে নিয়ে অনেক বিজ্ঞানী এই চূড়ান্ত সম্মান অর্জন করেছেন।

চলুন দেখে নিই সেই ৬ জন বিখ্যাত বিজ্ঞানীর অবদান।



(১) মেঘনাদ সাহা::



                          মেঘনাদ সাহা ছিলেন একজন অগ্রণী মহাকাশ বিজ্ঞানী। তিনি বিশ্বকে তাপীয় আয়নিকরন সমীকরণের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, যা সাহা সমীকরণ নামে অধিক পরিচিত। এই সমীকরণটি একটি উপাদানের আয়নিক অবস্থার সাথে চাপের ও তাপমাত্রার সম্পর্ক প্রদর্শন করে।
                          এই সমীকরণটি তার বৈজ্ঞানিক উত্তরসূরিদের নানাভাবে সাহায্য করেছিল।
                          মেঘনাদ সাহা ১৮৯২ সালে অবিভক্ত বাংলায় জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তিনি যথেষ্ট কম সুবিধাভুক্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, তবুও কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় এর মাধ্যমে সব বাধা কাটিয়ে উঠে অন্যতম শীর্স্থানীয় বৈজ্ঞানিক পুরুষ হিসাবে আবির্ভূত হন।
                          কলকাতা ইউনিভার্সিটি কলেজ ও সায়েন্সে অধ্যাপক থাকাকালীন তিনি কয়েকটি অসাধারণ রিসার্চ পেপার লেখেন, যা কলেজের বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রকাশ করা যায় নি।
                          ১৯১৯ সালে তার "Harvard Classification of Stellar Spectra" প্রবন্ধের জন্য তিনি প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি অর্জন করেন। এই বৃত্তির টাকায় তিনি দুই বছরের জন্য ইউরোপ যান এবং শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের সাথে কাজ করেন।
                          ১৯২০ সালে ইউরোপে সাহা তার সমীকরণটি আবিষ্কার করেছিলেন।
                          ভারতে ফিরে আসার পর সাহা দেশের প্রথম সাইক্লোট্রন তৈরি করেছিলেন।পাশাপাশি শুরু করেছিলেন "ইন্ডিয়ান সাইন্স নিউজ অ্যাসোসিয়েশন (১৯৩৫)" এবং "ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লেয়ার ফিজিক্স (১৯৫০)"
                          এই মহান বিজ্ঞানী সাতবার নোবেল পুরস্কার এর জন্য মনোনীত হওয়া সত্বেও দুর্ভাগ্যবশত এই চূড়ান্ত সম্মান টি পাননি।



(২) হোমি জাহাঙ্গির ভাবা::



                             তিনি ভারতের পারমাণবিক কার্যক্রমের জনক হিসাবে পরিচিত। হোমি জাহাঙ্গির ভাবা একজন ভারতীয় পারমাণবিক পদার্থ বিজ্ঞানী যিনি ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যে পরপর ৫ বার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
                             কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তিনিও নোবেল পুরস্কার পাননি।
                             বোম্বের এক প্রভাবশালী ব্যাবসায়িক পরিবারে ১৯০৯ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
                             এলফিনস্টন কলেজে পড়াশোনা শেষ করার পর ১৯২৭ সালে রয়াল ইনস্টিটিউট অফ সাইন্সে যোগ দেন।
                             পরে তিনি পরিবারের ইচ্ছাতেই ক্যামব্রিজের কায়ুস কলেজে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।
                             যাইহোক ক্যামব্রিজে তার আগ্রহ পরে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ওপর।
                             তার প্রথম রিসার্চ পেপার টি প্রকাশিত হয় ১৯৩৩ সালে, যেটি হলো "The Absorption of Cosmic Radiations"
                             তিনি Niles Bohr এর সাথেও কাজ করেছিলেন। ১৯৩৫ সালে তিনি ইলেকট্রন - পজিট্রন বিচ্ছুরণের ক্রসসেকশন গণনা করেছিলেন। তার সম্মানার্থে এই ঘটনাটির নামকরণ করা হয় ভাবা স্ক্যাটারিং।
                             ১৯৩৯ সালে তিনি ভারতের ফেরেন এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সাইন্স (IISC) এ স্যার সি ভি রামন এর সাথে কাজ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তার আর ক্যামব্রিজে যাওয়া হয় নি।
                             ১৯৫৫ সালে তিনি সুইজারল্যান্ড এর জেনেভায় শান্তিমূলকভাবে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার সম্পর্কিত জাতিসংঘের সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।


(৩) সত্যেন্দ্রনাথ বসু::



                               কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একজন অগ্রণী বিজ্ঞানী হলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তিনি বোস - আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের উদ্ভাবক। কণা - পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে তাঁর নাম চিরস্মরণীয়।
                             
                           তার নামে নামকরণ করা হয়েছে সাব অ্যাটমিক বোসন কণার।
                           পদার্থবিদ্যা তে অসাধারণ কৃতিত্ব থাকা সত্বেও সত্যেন্দ্রনাথ বসু পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পাননি।
                           ১৮৯৪ সালের ১লা জানুয়ারি কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
                           প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে মিশ্রগনিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে তিনি কোয়ান্টম পদার্থবিদ্যার ওপর গবেষণা চালান।
                           ১৯২৪ সালের জুন মাসে, বোস নিজে আইনস্টাইনকে একটি চিঠিতে তার "গ্রাউন্ড ব্রেকিং ডেরিভেশন" সম্পর্কে লেখেন। বোসের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে যান আইনস্টাইন এবং বোসের এই তত্ত্বটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন। আইনস্টাইন বলেন "বোসের এই তত্ত্বটি আমার কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ তত্ব ও এটি আদর্শ গ্যাসের কোয়ান্টাম তত্ত্বের ব্যাখ্যা দেয়"।
                           ১৯৫৬, ১৯৫৯ ও ১৯৬২ সালগুলিতে তিনি নোবেল পুরস্কার এর জন্য মনোনীত হন কিন্তু দুর্ভগ্যজনকভাবে তিনি এই পুরস্কারটি পাননি।


(৪) উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী::



                             মারাত্মক কালাজ্বরের কবল থেকে রক্ষা করতে উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী আবিষ্কার করেন জীবনরক্ষাকারী ঔষধ ইউরিয়া স্টিবামিন
                             তিনি ১৮৭৩ সালে বিহারের জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন বিখ্যাত ডাক্তার।
                             কলকাতার ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুলের অনুশীলনকারী চিকিৎসক হিসাবে কাজ করার সময় পাশাপাশি কালা জ্বরের প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চালিয়ে গেছেন।
                             অবশেষে ১৯২২ সালে প্রতিষেধক আবিষ্কার করার পর সাফল্যের স্বাদ গ্রহণ করেন।
                             তিনি তার এই মহান আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার না পেলেও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে তার জীবনকালীন অবদানের জন্য ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ' নাইটহুড' উপাধি দেন।
                     

(৫) গোপালসমুদ্রম নারায়ণন রামচন্দ্রন::



                                 জৈব রসায়নের যে কোনো শিক্ষার্থীর কাছে রামচন্দ্রন প্লট একটি অতি প্রয়োজনীয় বিষয়। এই রামচন্দ্রন প্লট যিনি তৈরি করেন তিনি হলেন এই গোপালসমুদ্রম নারায়ণন রামচন্দ্রন।
                                 তিনি IISC তে স্যার সি ভি রামন এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা করতেন।
                                 কেরালার এরনাকুলামে ১৯২২ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফস্ কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে B.Sc অনার্স পড়েন ও পরে IISC তে M.Sc এবং Phd করেন।
                                 তিনি রয়েল সোসাইটির ফেলো হিসাবে স্বীকৃতি পান।


(৬) তিরুভেঙ্গদম রাজেন্দ্র শেশাদি::



                             তিনি ছিলেন একজন পদ্মভূষণ ভারতীয় রসায়নবিদ। ১৯৬৬ সালে জৈব রসায়নে অসাধারণ গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
                             তিনি ১৯০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তামিলনাড়ুর কুলিথলাই গ্রামে, সাতজনের এক পরিবারে। তিনি মাদ্রাজের প্রেসিডেন্সি কলেজে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
                             এই মহান বিজ্ঞানীও নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।



Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিরস্মরণীয় কিছু উক্তি

          বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। অগ্নিবীণা হাতে তার প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তার প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি"

রামমোহন রায়কে কেন ‘ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ’ মনে করা হয় ?

ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রাজা রামমোহন রায়ই প্রথম আধুনিক যুক্তিবাদী মনন ও ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠন ও সংস্কারমুক্ত ধর্মপ্রচারের কথা বলেন। এ ছাড়া পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি তাঁর সমর্থন ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর রাজনৈতিক বিচার–বিশ্লেষণ তাঁকে ‘প্রথম আধুনিক মানুষ’ অভিধায় ভূষিত করেছে। এ প্রসঙ্গে রামমোহন রায়ের মৃত্যুশতবর্ষে (১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক ইংরেজি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, “রামমোহন তাঁর আমলের বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যে ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সম্পূর্ণরূপে আধুনিক যুগের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন”।  রামমোহন রায়–ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ    (১) সমাজসংস্কারের প্রথম উদ্যোগের জন্য—  ‘সতীদাহ’ প্রথা রোধের লক্ষ্যে রামমোহন রায় সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর সংবলিত এক আবেদনপত্র বড়োলাট উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে পাঠান। বেন্টিঙ্ক রামমোহনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১৭ নং রেগুলেশন (Regulation–XVII) জারি করে সতীদাহ প্রথা রদ করেন। এ ছাড়াও তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলীন্য প্রথা, জাতিভেদ প্রথা, কন্যাপণ, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প

জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কী ?

          বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–৯৪ খ্রি.) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অগ্রণী ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল স্বদেশ ও দেশপ্রেম। বঙ্কিমচন্দ্রের সৃষ্টি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁর ‘বন্দেমাতরম্’–মন্ত্র ছিল বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র। অরবিন্দ ঘোষ তাই বঙ্কিমকে ‘জাতীয়তাবোধের ঋত্বিক’ বলেছেন।

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে। এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা। 

মানব জীবনের ওপর মালভূমির প্রভাব আলোচনা করো

মানুষের জীবনধারণ ও জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রে মালভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন—  (১) মালভূমি সাধারণত স্বাভাবিক উদ্ভিদে সমৃদ্ধ হয়। যেমন—ছোটোনাগপুর মালভূমিতে প্রচুর শাল ও সেগুন গাছ জন্মে থাকে। (২) কোনোকোনো মালভূমির কঠিন শিলার ওপর উর্বর মৃত্তিকার আবরণ থাকলে সেই অঞ্চল কৃষিকার্যে উন্নতি লাভ করে। যেমন—ভারতের কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চল। (৩) মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বন্ধুর এবং ভূভাগ কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত বলে চাষ-আবাদ, রাস্তাঘাট ও শিল্পস্থাপনে প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে।

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত

শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত        উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু তার প্রবাহপথে কোনো পর্বত বা উচ্চভূমি দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে, পর্বতের ঢাল বরাবর ঊর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত হয় এবং শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পর্বতের প্রতিবাত ঢালে যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে৷

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। হিমব

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা ‘মেখলা’ শব্দের মানে হল ‘কোমর বন্ধনী’। অসংখ্য আগ্নেয়গিরি মেখলা বা কোমর বন্ধনীর আকারে কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যখন অবস্থান করে, তখন তাকে ‘আগ্নেয় মেখলা’ বলা হয়। ভূবিজ্ঞানীর মতে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে ও এশীয় মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে পাত সীমায় ফাটল বরাবর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়।