নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
থিয়োজফিক্যাল সোসাইটি
অর্থ
‘থিওস’ (ঈশ্বর) ও ‘সোফিয়া’ (জ্ঞান)—এই দুটি গ্রিক শব্দের মিলিত রূপ হল ‘থিওসফি’। সংস্কৃত ভাষায় এর অর্থ হল ব্রহ্মবিদ্যা। খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে গ্রিক দার্শনিক ইয়ামব্লিকাস সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন।
প্রতিষ্ঠা
সর্বপ্রথম আমেরিকার নিউইয়র্কে (১৮৭৫ খ্রি.) কর্নেল এইচ. এস.ওলকট ও মাদাম এইচ.পি.ব্লাভাটস্কি ‘থিয়োজফিক্যাল সোসাইটি’ গড়ে তোলেন। ঊনবিংশ শতকের ধর্ম ও সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে থিয়োজফিক্যাল সোসাইটির অবদান কম নয়। পরে তাঁরা মাদ্রাজের আদিয়ারে থিয়োজফিক্যাল সোসাইটির একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন (১৮৮৬ খ্রি.)। শ্রীমতী অ্যানি বেসান্ত ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে এই সোসাইটিতে যোগ দিলে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
উদ্দেশ্য
ভারতীয় ধর্ম ও দর্শনের প্রতি এঁদের গভীর আস্থা ছিল। এঁরা প্রাচীন হিন্দু, বৌদ্ধ ও পারসিক ধর্মের পুনরুজ্জীবন ঘটানোর চেষ্টা করেন। এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল—
(১) সমস্ত মানুষকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করা;
(২) প্রাচীন ধর্ম, বিজ্ঞান ও দর্শনের চর্চা করা;
(৩) মানুষের মধ্যেকার আধ্যাত্মিক ক্ষমতার বিকাশ ঘটানো এবং
(৪) সতীদাহ, পণপ্রথা, জাতিভেদ প্রথা ইত্যাদির বিরোধিতা করা।
বিশ্বাস
থিয়োজফিস্টরা তিনটি সত্যে বিশ্বাস করতেন—
(১) আত্মা অমর ও শাশ্বত;
(২) মানুষের হৃদয়ে পরমাত্মার অধিষ্ঠান;
(৩) মানুষ নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে তোলে।
প্রভাব
শ্রীমতী বেসান্তের উদ্যোগে বারাণসীতে সেন্ট্রাল হিন্দু স্কুল স্থাপিত হয়। পরে পণ্ডিত মদনমোহন মালব্যের চেষ্টায় এটি বারাণসীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। পাশ্চাত্য থিয়োজফিস্টরা হিন্দুধর্ম ও ঐতিহ্যের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে তার পক্ষে প্রচার করলে ভারতীয়রা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
🔗🔗🔗
Read More ::
Comments
Post a Comment