দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন বিভাগ ১: চলনের প্রাথমিক ধারণা ও জগদীশচন্দ্র বসু প্রশ্নঃ১. উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনকে কী বলে? (ক) গমন (খ) চলন (গ) রেচন (ঘ) পুষ্টি উত্তর: (খ) চলন প্রশ্নঃ২. যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে তাকে কী বলে? (ক) চলন (খ) বিচলন (গ) গমন (ঘ) উদ্দীপনা উত্তর: (গ) গমন
মেকলের প্রতিবেদন (মেকলে মিনিটস্) ও ইনফিলট্রেশন থিয়োরি—
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ভারতীয়দের জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা ব্যয় করার কথা বলা হয়। সেই টাকা প্রাচ্য না পাশ্চাত্য কোন শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে তা নিয়ে ভারতীয় ও ইউরোপীয়রা প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদী দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই সমস্যার সমাধান কল্পে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক তাঁর আইন সচিব মেকলেকে ‘পাবলিক ইনস্ট্রাকশন কমিটি’র সভাপতি পদে নিয়োগ করেন। মেকলে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের স্বপক্ষে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে একটি প্রস্তাব পেশ করেন। এই প্রতিবেদন মেকলে মিনিটস নামে খ্যাত।
(১) মেকলের প্রস্তাব—
মেকলে মিনিটসের বিভিন্ন প্রস্তাবে বলা হয়—
(i) প্রাচ্যের সভ্যতা দুর্নীতিগ্রস্ত, অনুন্নত ও নির্বুদ্ধিতাসম্পন্ন;
(ii) প্রাচ্য–শিক্ষা নিকৃষ্ট ও বৈজ্ঞানিক চেতনাহীন;
(iii) প্রাচ্যের সভ্যতা ও সংস্কৃতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি ঘটতে পারে একমাত্র পাশ্চাত্য–শিক্ষার হাত ধরেই।
(২) ইনফিলট্রেশন থিয়োরি—
মেকলে বলেন, ভারতীয়দের ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে পাশ্চাত্য শিক্ষা দিলে, তাদের মাধ্যমে আরও বহু ভারতীয় পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠবে। অর্থাৎ সীমিত সংখ্যক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তির মধ্য দিয়ে ইংরেজি শিক্ষা পরিস্রুত হয়ে জনগণের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে যাবে—এই নীতি ইনফিলট্রেশন থিয়োরি (Infiltration theory) নামে পরিচিত।
প্রভাব—
(১) মেকলে মিনিটস–এর প্রস্তাব মেনে কলকাতায় মেডিকেল কলেজ, মাদ্রাজে ইউনিভার্সিটি হাইস্কুল এবং বোম্বাইয়ে এলফিনস্টোন ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হয়।
(২) কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন পুনর্গঠিত করে কাউন্সিল অব এডুকেশন গঠন করা হয়।
পরিণতি—
মেকলের প্রতিবেদনের ফলেই ভারতে ইংরেজি শিক্ষার দ্বার খুলে যায়। ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ মার্চ এই প্রস্তাব সরকারের অনুমোদন পায়।
Comments
Post a Comment