দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন বিভাগ ১: চলনের প্রাথমিক ধারণা ও জগদীশচন্দ্র বসু প্রশ্নঃ১. উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনকে কী বলে? (ক) গমন (খ) চলন (গ) রেচন (ঘ) পুষ্টি উত্তর: (খ) চলন প্রশ্নঃ২. যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে তাকে কী বলে? (ক) চলন (খ) বিচলন (গ) গমন (ঘ) উদ্দীপনা উত্তর: (গ) গমন
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের পরিচয়
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব (১৮৩৬–৮৬ খ্রি.) ছিলেন আধুনিক ভারতের, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের এক অন্যতম আধ্যাত্মিক পুরুষ। রানি রাসমনি প্রতিষ্ঠিত কলকাতার দক্ষিণেশ্বরের দেবী ভবতারিণীর পূজারি এই ব্রাহ্মণকেই অধিকাংশ হিন্দু বিষ্ণুর এক অবতার হিসেবেই মানে।
ধর্মসমন্বয়ের আদর্শ প্রচার—
বিভিন্ন ধর্ম যখন মত ও পথের দ্বন্দ্বে লিপ্ত, তখনই শ্রীরামকৃষ্ণ ধর্মসমন্বয়ের বাণী প্রচার করেন।
🌼যত মত, তত পথ—
তাঁর এই বাণী মানবজাতিকে নতুন পথের সন্ধান দেয়। তিনি বলেন যে, সমস্ত ধর্মের একটাই লক্ষ্য এবং তা হল ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করা। তাঁর মতে, সব ধর্মই সত্য। তিনি বলতেন, ঈশ্বর এক—কেবল নামে আলাদা।
🌼শিবজ্ঞানে জীবসেবা—
শ্রীরামকৃষ্ণ শিবজ্ঞানে জীবসেবার পরামর্শ দেন। তিনি বলতেন “জীব হল ঈশ্বরের সৃষ্টি। জীবের মধ্যেই ঈশ্বরের অধিষ্ঠান। তাই জীবসেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়”।
🌼ধর্মের সহজবোধ্য ব্যাখ্যা—
সহজসরল দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি ধর্মশাস্ত্রের জটিল তত্ত্ব বুঝিয়ে দিতেন। তিনি বলতেন জল এক, কিন্তু কেউ তাকে বলে ওয়াটার, কেউ বলে জল, আবার কেউ বলে পানি। অর্থাৎ নাম আলাদা, কিন্তু বস্তুটি এক।
গান্ধিজি শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মূল্যায়নে বলেন—তাঁর জীবন আমাদের ভগবানকে সামনাসামনি প্রত্যক্ষ করতে সাহায্য করে। শ্রীরামকৃষ্ণ যে কত বড়ো লোকশিক্ষক ছিলেন তা বোঝা যায় তাঁর প্রিয়তম শিষ্য নরেনের(স্বামী বিবেকানন্দ) উক্তি থেকে—“আমি আমার গুরুদেবের ভাষাকে অনুসরণ করি”।
সবশেষে বলা যায় যে, ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে হিন্দুধর্ম যখন অনেকদিক থেকেই কোণঠাসা এবং বিভিন্ন সংস্কারে আচ্ছন্ন তখন শ্রীরামকৃষ্ণের হাত ধরে হিন্দুধর্মের পুনর্জাগরণ ঘটে এবং শিকাগো ধর্মসম্মেলনে তাঁর শিষ্য বিবেকানন্দের মাধ্যমে তা বিশ্বজয় করে।
Comments
Post a Comment