দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) বা প্রথম জোড়ার সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়াটি পূরণ : ১. জগদীশচন্দ্র বসু : ক্রেস্কোগ্রাফ :: উদ্ভিদের কাণ্ডের আলোকবৃত্তি : ❓ অক্সিন ২. তীব্র আলোক : ফটোন্যাস্টিক :: আলোক উৎসের গতিপথ : ❓ ফটোট্রপিক ৩. সিসমোন্যাস্টিক : লজ্জাবতী :: প্রকরণ চলন : ❓ বনচাঁড়াল ৪. অনুকূল জিওট্রপিক : উদ্ভিদের মূল :: প্রতিকূল জিওট্রপিক : ❓ সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল ৫. সূর্যমুখী : ফটোন্যাস্টিক :: টিউলিপ : ❓ থার্মোন্যাস্টিক
মহীখাত
জে.হল, জে.ডি.ডানা ও কোবার প্রথম মহীখাত বা Geosyncline ধারণার অবতারণা করেন। তাঁদের মতে, পৃথিবীর আদি ভূভাগ দ্বারা বেষ্টিত ভূপৃষ্ঠের সংকীর্ণ, অবনমিত ও অগভীর সমুদ্রখাত হল মহীখাত। অর্থাৎ, ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এখন যেসব জায়গায় ভঙ্গিল পর্বতগুলো অবস্থান করছে, অতি প্রাচীনকালে সেখানে ছিল বিস্তীর্ণ অবনত অঞ্চল— ভূতাত্ত্বিকগণের ভাষায় যার নাম মহীখাত বা অগভীর সমুদ্র।
পরবর্তীকালে যুগ যুগ ধরে পলি পড়ে এই অগভীর সমুদ্র প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছিল। ক্রমাগত পলি জমার ফলে ভূস্তরে যে নিম্নমুখী চাপের সৃষ্টি হয় তার ফলে নীচের পলিস্তর পাললিক শিলায় পরিণত হয়। এক সময় পলিস্তর বৃদ্ধির ফলে নিম্নমুখী চাপের পরিমাপও বেড়ে যায় এবং মহিখাতের তলদেশ বসে যায়। এর পর প্রবল পার্শ্বচাপের ফলে পাললিক শিলাস্তরে ভাঁজ পড়তে থাকে। পরবর্তীকালে এইসব ভাঁজগুলো দৃঢ়সংঘবদ্ধ ও উঁচু হয়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি করেছে।
মহীখাতের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(১) দীর্ঘদিন ধরে পলি সঞ্চয়ের ফলে মহীখাতের সমুদ্রগর্ভের অবনমন ঘটেছিল।
(২) মহীখাত প্রধানত দুটি প্রাচীন ভূভাগ দ্বারা বেষ্টিত, যাকে ভূবিজ্ঞানী কোবার বলেছেন ‘Foreland’।
(৩) মহীখাত হল ভূত্বকের দীর্ঘায়িত, সংকীর্ণ ও অবনমিত জলভাগ।
(৪) ভূ-আলোড়নের প্রভাবে মহীখাতের প্রকৃতি ও আকৃতি যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে।
(৫) মহীখাত থেকে প্রতিটি ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি হয়েছে বলে ভূবিজ্ঞানীরা মনে করেন। আজ যে স্থানে হিমালয় পর্বত অবস্থান করছে সেইখানে অতীতে টেথিস সাগর নামে একটি ‘মহীখাত’ ছিল বলে অনুমান করা হয়।
Comments
Post a Comment