দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন বিভাগ ১: চলনের প্রাথমিক ধারণা ও জগদীশচন্দ্র বসু প্রশ্নঃ১. উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনকে কী বলে? (ক) গমন (খ) চলন (গ) রেচন (ঘ) পুষ্টি উত্তর: (খ) চলন প্রশ্নঃ২. যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে তাকে কী বলে? (ক) চলন (খ) বিচলন (গ) গমন (ঘ) উদ্দীপনা উত্তর: (গ) গমন
স্বামী বিবেকানন্দের নানা প্রবন্ধ ও বক্তৃতা তরুণ দেশপ্রেমিকদের মধ্যে উদ্দীপনার সঞ্চার করে। অধঃপতিত ভারতবাসীকে তিনি আত্মবলে বলীয়ান হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। স্বামীজী পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের জন্য যুবসমাজকেই এগিয়ে আসতে বলেছিলেন।
যুবশক্তির ওপর স্বামীজির প্রভাব—
(১) স্বদেশসেবায়—
হতাশাগ্রস্ত যুবসমাজকে তিনি দেশের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। বিবেকানন্দ উপলব্ধি করেছিলেন যে, দেশের যুবশক্তি জাগ্রত না–হলে দেশ ও সমাজের মঙ্গলসাধন সম্ভব নয়। তাই তিনি দৃপ্তকণ্ঠে ডাক দেন, “ওঠো, জাগো–লক্ষ্যে পৌঁছোবার আগে থেমো না”।
(২) পাশ্চাত্যের অনুশীলনে—
স্বামীজি সকলকে পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞান, দৃঢ়তা, সাহস, আত্মবিশ্বাস ও কঠোর মনোবল রপ্ত করার পরামর্শ দেন।
(৩) নব ভারত গঠনে—
স্বামীজি তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এক নতুন ভারত গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “তরুণেরা আগুন ছড়িয়ে দেবে হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত আর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত”।
(৪) কুসংস্কার ও অনাচারের বিরোধিতায়—
জাতিভেদ, ধর্মীয় কুসংস্কার, সামাজিক অনাচার, অশিক্ষা, অসাম্য ইত্যাদির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি তরুণ সমাজকে উদ্দীপিত করেন।
(৫) রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠায়—
স্বামীজি মানুষ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন (১৮৯৭ খ্রি.)। যার দ্বারা তিনি যুবসমাজকে ভবিষ্যতের মানবসমাজের সেবা করার সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলেন। স্বামীজি মনে করতেন একশো জন খাঁটি আদর্শবান যুবক একজোট হলে ভারতবর্ষ মুক্তি পাবেই।
স্বামীজির অনুপ্রেরণার জন্যই পরবর্তী সময়ে ভারতের বৈপ্লবিক আন্দোলনে যুবকরা দলে দলে যোগ দেয়। গোপাল হালদার লিখেছেন, “বাংলাদেশে যাকে অগ্নিযুগ বলে, তাঁর অগ্নিমন্ত্র কেউ যদি জাগিয়ে থাকেন তবে সে বিবেকানন্দ”।
Comments
Post a Comment