দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন বিভাগ ১: চলনের প্রাথমিক ধারণা ও জগদীশচন্দ্র বসু প্রশ্নঃ১. উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনকে কী বলে? (ক) গমন (খ) চলন (গ) রেচন (ঘ) পুষ্টি উত্তর: (খ) চলন প্রশ্নঃ২. যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে তাকে কী বলে? (ক) চলন (খ) বিচলন (গ) গমন (ঘ) উদ্দীপনা উত্তর: (গ) গমন
প্রার্থনাসমাজের আদর্শ ও লক্ষ্য কী ছিল ?
প্রার্থনাসমাজের প্রতিষ্ঠা—
ব্রাহ্মসমাজের নেতা কেশবচন্দ্র সেনের প্রভাবে ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে ড. আত্মারাম পাণ্ডুরঙ্গ মহারাষ্ট্রে প্রার্থনাসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
পরবর্তী সময়ে মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ও রামকৃষ্ণ ভাণ্ডারকর প্রার্থনাসমাজে যোগ দেন ও একে একটি শক্তিশালী সমাজসংস্কারক প্রতিষ্ঠানরূপে গড়ে তোলেন।
প্রার্থনাসমাজের আদর্শ—
✔প্রার্থনাসমাজের সদস্যরা একেশ্বরবাদে (ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়) বিশ্বাস করতেন।
✔তবে ব্রাহ্মসমাজের মতো এঁরা কোনো নতুন ধর্মমতের কথা প্রচার করেননি।
✔এঁরা বেদকে অভ্রান্ত বা অপরিবর্তনীয় বলে মনে করতেন না।
✔প্রার্থনা সমাজ সমগ্র মানবজাতির ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের স্বপক্ষে এবং জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারের পাশাপাশি সকল ধর্মের প্রতি সহনশীলতার নীতিতে আস্থাশীল ছিল।
✔পাশ্চাত্য আদর্শ ও ভাবধারায় প্রভাবিত হলেও এই সংগঠনটি সনাতন হিন্দু সংস্কৃতি ও রীতিনীতি মেনে কাজ করায় বিশ্বাসী ছিল।
প্রার্থনাসমাজের লক্ষ্য—
হিন্দুধর্ম ও সমাজের মধ্যে থেকে ধর্ম ও সমাজের সংস্কার করাই ছিল এঁদের লক্ষ্য।
✔প্রার্থনাসমাজের সদস্যরা জন্মান্তরবাদ ও পৌত্তলিকতাবাদের অবসানসহ বিভিন্ন কুসংস্কারের বিলুপ্তির মাধ্যমে হিন্দুধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন।
✔জাতিভেদ প্রথার অবসান এবং পুরোহিতদের প্রাধান্য খর্ব করা ছিল এই সমাজের লক্ষ্য।
✔বিধবাবিবাহ প্রচলন, স্ত্রীশিক্ষার প্রসার, পর্দাপ্রথার অবসান, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা ইত্যাদি ছিল প্রার্থনাসমাজের সংস্কার কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
Comments
Post a Comment