নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
প্রার্থনাসমাজের আদর্শ ও লক্ষ্য কী ছিল ?
প্রার্থনাসমাজের প্রতিষ্ঠা—
ব্রাহ্মসমাজের নেতা কেশবচন্দ্র সেনের প্রভাবে ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে ড. আত্মারাম পাণ্ডুরঙ্গ মহারাষ্ট্রে প্রার্থনাসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
পরবর্তী সময়ে মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ও রামকৃষ্ণ ভাণ্ডারকর প্রার্থনাসমাজে যোগ দেন ও একে একটি শক্তিশালী সমাজসংস্কারক প্রতিষ্ঠানরূপে গড়ে তোলেন।
প্রার্থনাসমাজের আদর্শ—
✔প্রার্থনাসমাজের সদস্যরা একেশ্বরবাদে (ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়) বিশ্বাস করতেন।
✔তবে ব্রাহ্মসমাজের মতো এঁরা কোনো নতুন ধর্মমতের কথা প্রচার করেননি।
✔এঁরা বেদকে অভ্রান্ত বা অপরিবর্তনীয় বলে মনে করতেন না।
✔প্রার্থনা সমাজ সমগ্র মানবজাতির ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের স্বপক্ষে এবং জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারের পাশাপাশি সকল ধর্মের প্রতি সহনশীলতার নীতিতে আস্থাশীল ছিল।
✔পাশ্চাত্য আদর্শ ও ভাবধারায় প্রভাবিত হলেও এই সংগঠনটি সনাতন হিন্দু সংস্কৃতি ও রীতিনীতি মেনে কাজ করায় বিশ্বাসী ছিল।
প্রার্থনাসমাজের লক্ষ্য—
হিন্দুধর্ম ও সমাজের মধ্যে থেকে ধর্ম ও সমাজের সংস্কার করাই ছিল এঁদের লক্ষ্য।
✔প্রার্থনাসমাজের সদস্যরা জন্মান্তরবাদ ও পৌত্তলিকতাবাদের অবসানসহ বিভিন্ন কুসংস্কারের বিলুপ্তির মাধ্যমে হিন্দুধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন।
✔জাতিভেদ প্রথার অবসান এবং পুরোহিতদের প্রাধান্য খর্ব করা ছিল এই সমাজের লক্ষ্য।
✔বিধবাবিবাহ প্রচলন, স্ত্রীশিক্ষার প্রসার, পর্দাপ্রথার অবসান, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা ইত্যাদি ছিল প্রার্থনাসমাজের সংস্কার কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
Comments
Post a Comment