ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
প্রাণীদের বিভিন্ন গ্রন্থি
১. যকৃৎ (Liver)
অবস্থান—
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের উদরগহ্বরে।
কাজ—
পিত্তরস ক্ষরণ করা, বিভিন্ন বিপাক নিয়ন্ত্রণ করা, লোহিতকণিকা উৎপন্ন করা।
২. স্তনগ্রন্থি (Mammary glands)
অবস্থান—
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বক্ষ ও উদরে।
কাজ—
দুগ্ধ নিঃসরণ করা।
৩. সিবেসিয়াস গ্রন্থি (Sebacious glands)
অবস্থান—
স্তন্যপায়ীদের ত্বকে।
কাজ—
সিবাম ক্ষরণ করা।
৪. প্যারোটিড গ্রন্থি (Parotid glands)
অবস্থান—
মানুষ, গিনিপিগ, খরগোশের কর্ণমূলে অবস্থিত একপ্রকার লালাগ্রন্থি। কুনোব্যাঙের কর্ণপটহের পাশে অবস্থিত বিষাক্ত থলি বিশেষ।
কাজ—
লালা ক্ষরণ করা। ব্যাঙের ক্ষেত্রে বিষাক্ত পদার্থ ক্ষরণ করা।
৫. পেরিনিয়াল গ্রন্থি (Perineal glands)
অবস্থান—
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের পেরিনিয়াল অঞ্চলে।
কাজ—
ক্ষরণ বিশেষ গন্ধ সৃষ্টি করে যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি করে।
৬. অলফ্যাক্টরি গ্রন্থি (Olfactory glands)
অবস্থান—
স্তন্যপায়ীদের নাসিকা এপিথিলিয়ামে।
কাজ—
মিউকাস ক্ষরণ করা, নাসাপথকে সিক্ত ও পিচ্ছিল রাখা।
৭. লিম্ফ গ্ল্যান্ড বা লসিকাগ্রন্থি (Lymph glands)
অবস্থান—
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহের বিভিন্ন অংশে (প্লিহা ও টনসিল এই প্রকারের গ্রন্থি)।
কাজ—
লিম্ফোসাইট শ্বেতকণিকা সৃষ্টি করা এবং রোগ-জীবাণু ধ্বংস করা।
৮. ইন্ফ্রা–অরবিটাল গ্রন্থি বা জাইগেম্যাটিক গ্রন্থি (Infra–orbital glands)
অবস্থান—
গিনিপিগ, খরগোশ ইত্যাদি প্রাণীর অক্ষিকোটরে অবস্থিত (একপ্রকার লালাগ্রন্থি)।
কাজ—
লালারস ক্ষরণ করা।
৯. অগ্ন্যাশয় (Pancreas)
অবস্থান—
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের উদরগহ্বরে।
কাজ—
অগ্ন্যাশয় রস ক্ষরণ করে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করা।
১০. ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি বা অশ্রুগ্রন্থি (Lacrimal glands or Tear glands)
অবস্থান—
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের চক্ষুর ঊর্ধ্বপল্লবে।
কাজ—
অশ্রু নিঃসরণ করা।

Comments
Post a Comment