Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে গেলে যে ৯টি নিয়ম গুলি মেনে চলা উচিত

যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে গেলে যে নিয়ম গুলি মেনে চলা উচিত




যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ,প্রতিযোগিতা দিন দিন যে ভাবে বেড়ে চলছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বলে হাল ছেড়ে দাওয়াও মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয় ।  সঠিক পরিশ্রম আর ধৈর্যের সাথে লেগে থাকতে হবে। 


এখন মোটামুটি সব বিভাগের (যেমন বিজ্ঞান, কলা, কমার্স, ইঞ্জিনিয়ার, ইত্যাদি )ছাত্রছাত্রী দের ঝোঁক বাড়ছে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার দিকে। এছাড়াও বয়সের সময়সীমা(কখনো ১৮ থেকে ৩৫ বা ১৮ থেকে ২৭, ইত্যাদি ) ও এই প্রতিযোগিতাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। 

এই সব কারণে হতে পারে আপনি প্রথম বার সাফল্য পেলেন না , কিন্তু ওই তো বললাম সঠিক পরিশ্রম আর ধৈর্যের সাথে লেগে থাকতে হবে। 

চলুন কিছু টিপস দেখে নি যে গুলো আপনাকে আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। 

১) লক্ষ্য স্থির করুন ;



        আপনার প্রথম কাজ হলো লক্ষ্য স্থির করা। ভালোভাবে স্থির করুন যে আপনার লক্ষ্য কি , আপনি কি চান।  লক্ষ্য যত অল্প বয়স থেকে স্থির করা যায় এটা ততই ভালো। আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী যদি আপনি প্রথম থেকে এগোন তাহলে আপনার পরিশ্রম একটু হলেও কমতে পারে। 
সুতরাং ভাবুন , কল্পনাশক্তি দিয়ে দেখুন আপনি কি চান।  তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না বা কাওকে দেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। বিশ্বাস করুন  আপনার মধ্যে সব গুন আছে এবং আপনি সব পারবেন। 


২) পরীক্ষাটির সম্পর্কে জানুন ;



         যাই হোক যদি আপনি ভাবনা চিন্তা করে শেষ অব্দি ঠিক করলেন যে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় বসবেন এবং বড়ো কোনো অফিসার হবেন। তাহলে আপনার প্রথম কাজ হলো যে পরীক্ষার জন্য আপনি পড়াশোনা করবেন সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। যেমন ধরুন পরীক্ষার পর আপনার কি কি পদে চাকরি হতে পারে। কি কি কাজ করতে হবে। এই সব খুঁটিনাটি জানুন। দরকার পড়লে ওই পদে আছেন এমন কোনো ব্যক্তির সাথে কথা বলুন এবং জেনে নিন। এটা করলে আপনার ওই চাকরির জন্য আগ্রহ আরো বাড়বে এবং আপনার ইচ্ছা, মন ও মস্তিষ্কের ওপরে পজিটিভ প্রভাব ফেলবে যাতে আপনার প্রস্তুতিপর্ব টা অনেক ভালো হবে। 


৩) সিলেবাস ;



          যে কোনো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গেলে তার সিলেবাস টা জানা খুবই দরকারি।  এতে আপনার সময় বাঁচবে এবং সেই সময় টা অন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো দেখে নিতে পারবেন। সুতরাং সিলেবাস টা আগে ভালোভাবে দেখুন। 


৪) উপযুক্ত স্টাডি ম্যাটেরিয়াল :



         সঠিক স্টাডি মেটেরিয়াল বেছে নেওয়াটাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ভুল ভ্রান্তি তো সব জায়গায় থাকবে ,তার মধ্যে সেরা টা বেছে নেওয়ায় হবে আপনার কাজ। ভালো স্টাডি মেটেরিয়াল ব্যবহার করুন ও ভালো কিছু ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিন।  এতে আপনার উপকার হবে। 


৫)আগের কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র :



          Previous Years Question Paper ফলো করা খুব এ গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ।  এটা  করলে আপনার ঐ পরীক্ষাটির প্রশ্নপত্র সম্পর্কে এক বিস্তারিত ধারণা চলে আসবে। ঐ প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন ফলো করে নিয়মিত অনুশীলন করলে পরীক্ষাটি পাশ করা তুলনামূলক সহজ হয়ে উঠবে।
সুতরাং আগের কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র দেখুন এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে দিন।


৬)সঠিক পরিকল্পনা এবং একটি সময় সারণি (টাইম টেবিল ) তৈরী করুন :


           সময় এক মহা মূল্যবান সম্পদ, সময় কে ঠিক ঠাক ব্যবহার করা খুবই দরকারি। তাই আপনার সুবিধা মতো একটি টাইম টেবিল বানান ও সেটিকে যেকোনো উপায়ে ফলো করুন। যদি আপনার একটা নির্দিষ্ট টাইম টেবিল ফলো করা সম্ভব না হয় তাহলে প্রত্যেক দিনের টাইম টেবিল টা সকালে উঠে বানিয়ে নিন। 


৭)বন্ধুদের সাথে আলোচনা করুন:



      বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে , আর সময় কাটানো ও দরকার। হাসি মজার পাশাপাশি পড়াশোনা নিয়েও আলোচনা করুন।  শেয়ার করুন সারা দিন কত টা পড়লেন , কোনটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ,ইত্যাদি। 


৮)প্রযুক্তিকে সঠিক কাজে লাগান।



                           
                                      মোবাইল তো এখন সবার হাতে হাতে , সেটিকে সঠিক কাজে লাগান। অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলি তে অনেক ভালো কিছু জানা যায় সেগুলি ফলো করুন। ধরুন বাসে বা ট্রেনে কোথাও যাচ্ছেন - প্রশ্ন গুলো পড়তে থাকুন , কোথাও না কোথাও ঠিক কাজে লাগবেই।  তার মানে এটা সবসময় করতে বলছি না , বিনোদন টাও দরকার।  কোনো পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবার সময় শুধুমাত্র পড়াশোনার দিকে বেশি মনোযোগ দিলে সাফল্য টাও খুব তাড়াতাড়ি আসবে। 


৯) হতাশ হবেন না :



          যেহেতু প্রতিযোগিতা খুব বেশি তাই সাফল্য আসতে হতে পারে একটু টাইম লাগলো তাই বলে হতাশ হবেন না এবং হাল ছাড়বেন না। মনে রাখবেন আপনি যে লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন সেটা আপনাকে পূরণ করতেই হবে। নিজের ওপরে বিশ্বাস রাখুন ও কারোর কথায় কান দেবেন না। অনেকে অনেক কিছু বলবে।  মনে রাখবেন জীবন টা আপনার অন্যের নই , আপনার জীবন সুন্দরভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আপনার। 
              


ধন্যবাদ 

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কী ?

          বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–৯৪ খ্রি.) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অগ্রণী ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল স্বদেশ ও দেশপ্রেম। বঙ্কিমচন্দ্রের সৃষ্টি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁর ‘বন্দেমাতরম্’–মন্ত্র ছিল বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র। অরবিন্দ ঘোষ তাই বঙ্কিমকে ‘জাতীয়তাবোধের ঋত্বিক’ বলেছেন।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— (১) বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে কোমল পাললিক শিলায় ঢেউ-এর মতো ভাঁজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়। (২) প্রধানত সমুদ্রগর্ভ থেকে সৃষ্টি হয় বলে ভঙ্গিল পর্বতে জীবাশ্ম দেখা যায়। (৩) ভঙ্গিল পর্বতগুলি সাধারণত পাললিক শিলায় গঠিত হলেও অনেক সময় ভঙ্গিল পর্বতে আগ্নেয় এবং রূপান্তরিত শিলার সহাবস্থান চোখে পড়ে (কারণ—ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় শিলাস্তরে ফাটল সৃষ্টি হলে, সেই ফাটল দিয়ে ভূগর্ভের ম্যাগমা লাভারূপে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে যা ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে। এর পর কালক্রমে প্রচণ্ড চাপ ও তাপের ফলে আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলা রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়)

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিরস্মরণীয় কিছু উক্তি

          বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। অগ্নিবীণা হাতে তার প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তার প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি"

মানব জীবনের ওপর মালভূমির প্রভাব আলোচনা করো

মানুষের জীবনধারণ ও জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রে মালভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন—  (১) মালভূমি সাধারণত স্বাভাবিক উদ্ভিদে সমৃদ্ধ হয়। যেমন—ছোটোনাগপুর মালভূমিতে প্রচুর শাল ও সেগুন গাছ জন্মে থাকে। (২) কোনোকোনো মালভূমির কঠিন শিলার ওপর উর্বর মৃত্তিকার আবরণ থাকলে সেই অঞ্চল কৃষিকার্যে উন্নতি লাভ করে। যেমন—ভারতের কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চল। (৩) মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বন্ধুর এবং ভূভাগ কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত বলে চাষ-আবাদ, রাস্তাঘাট ও শিল্পস্থাপনে প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে।

পর্বতবেষ্টিত মালভূমি

পর্বতবেষ্টিত মালভূমি      ভূমিকম্পের ফলে ভঙ্গিল পর্বতশ্রেণি সৃষ্টি হওয়ার সময় দুটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেণির মধ্যবর্তী অপেক্ষাকৃত নীচু স্থানগুলি কিছুটা উঁচু ও খাড়া ঢালযুক্ত হয়ে মালভূমির আকৃতি নেয় । চারদিকে পর্বতবেষ্টিত হওয়ায় এই সব মালভূমিগুলিকে পর্বতবেষ্টিত মালভূমি বলে।