Skip to main content

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers )

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?          যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়।  প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-  (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ,  (২) মধ্য প্রস্তরযুগ,  (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ:   প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ:   মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ:   এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে গেলে যে ৯টি নিয়ম গুলি মেনে চলা উচিত

যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে গেলে যে নিয়ম গুলি মেনে চলা উচিত




যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ,প্রতিযোগিতা দিন দিন যে ভাবে বেড়ে চলছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বলে হাল ছেড়ে দাওয়াও মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয় ।  সঠিক পরিশ্রম আর ধৈর্যের সাথে লেগে থাকতে হবে। 


এখন মোটামুটি সব বিভাগের (যেমন বিজ্ঞান, কলা, কমার্স, ইঞ্জিনিয়ার, ইত্যাদি )ছাত্রছাত্রী দের ঝোঁক বাড়ছে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার দিকে। এছাড়াও বয়সের সময়সীমা(কখনো ১৮ থেকে ৩৫ বা ১৮ থেকে ২৭, ইত্যাদি ) ও এই প্রতিযোগিতাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। 

এই সব কারণে হতে পারে আপনি প্রথম বার সাফল্য পেলেন না , কিন্তু ওই তো বললাম সঠিক পরিশ্রম আর ধৈর্যের সাথে লেগে থাকতে হবে। 

চলুন কিছু টিপস দেখে নি যে গুলো আপনাকে আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। 

১) লক্ষ্য স্থির করুন ;



        আপনার প্রথম কাজ হলো লক্ষ্য স্থির করা। ভালোভাবে স্থির করুন যে আপনার লক্ষ্য কি , আপনি কি চান।  লক্ষ্য যত অল্প বয়স থেকে স্থির করা যায় এটা ততই ভালো। আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী যদি আপনি প্রথম থেকে এগোন তাহলে আপনার পরিশ্রম একটু হলেও কমতে পারে। 
সুতরাং ভাবুন , কল্পনাশক্তি দিয়ে দেখুন আপনি কি চান।  তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না বা কাওকে দেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। বিশ্বাস করুন  আপনার মধ্যে সব গুন আছে এবং আপনি সব পারবেন। 


২) পরীক্ষাটির সম্পর্কে জানুন ;



         যাই হোক যদি আপনি ভাবনা চিন্তা করে শেষ অব্দি ঠিক করলেন যে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় বসবেন এবং বড়ো কোনো অফিসার হবেন। তাহলে আপনার প্রথম কাজ হলো যে পরীক্ষার জন্য আপনি পড়াশোনা করবেন সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। যেমন ধরুন পরীক্ষার পর আপনার কি কি পদে চাকরি হতে পারে। কি কি কাজ করতে হবে। এই সব খুঁটিনাটি জানুন। দরকার পড়লে ওই পদে আছেন এমন কোনো ব্যক্তির সাথে কথা বলুন এবং জেনে নিন। এটা করলে আপনার ওই চাকরির জন্য আগ্রহ আরো বাড়বে এবং আপনার ইচ্ছা, মন ও মস্তিষ্কের ওপরে পজিটিভ প্রভাব ফেলবে যাতে আপনার প্রস্তুতিপর্ব টা অনেক ভালো হবে। 


৩) সিলেবাস ;



          যে কোনো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গেলে তার সিলেবাস টা জানা খুবই দরকারি।  এতে আপনার সময় বাঁচবে এবং সেই সময় টা অন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো দেখে নিতে পারবেন। সুতরাং সিলেবাস টা আগে ভালোভাবে দেখুন। 


৪) উপযুক্ত স্টাডি ম্যাটেরিয়াল :



         সঠিক স্টাডি মেটেরিয়াল বেছে নেওয়াটাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ভুল ভ্রান্তি তো সব জায়গায় থাকবে ,তার মধ্যে সেরা টা বেছে নেওয়ায় হবে আপনার কাজ। ভালো স্টাডি মেটেরিয়াল ব্যবহার করুন ও ভালো কিছু ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিন।  এতে আপনার উপকার হবে। 


৫)আগের কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র :



          Previous Years Question Paper ফলো করা খুব এ গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ।  এটা  করলে আপনার ঐ পরীক্ষাটির প্রশ্নপত্র সম্পর্কে এক বিস্তারিত ধারণা চলে আসবে। ঐ প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন ফলো করে নিয়মিত অনুশীলন করলে পরীক্ষাটি পাশ করা তুলনামূলক সহজ হয়ে উঠবে।
সুতরাং আগের কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র দেখুন এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে দিন।


৬)সঠিক পরিকল্পনা এবং একটি সময় সারণি (টাইম টেবিল ) তৈরী করুন :


           সময় এক মহা মূল্যবান সম্পদ, সময় কে ঠিক ঠাক ব্যবহার করা খুবই দরকারি। তাই আপনার সুবিধা মতো একটি টাইম টেবিল বানান ও সেটিকে যেকোনো উপায়ে ফলো করুন। যদি আপনার একটা নির্দিষ্ট টাইম টেবিল ফলো করা সম্ভব না হয় তাহলে প্রত্যেক দিনের টাইম টেবিল টা সকালে উঠে বানিয়ে নিন। 


৭)বন্ধুদের সাথে আলোচনা করুন:



      বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে , আর সময় কাটানো ও দরকার। হাসি মজার পাশাপাশি পড়াশোনা নিয়েও আলোচনা করুন।  শেয়ার করুন সারা দিন কত টা পড়লেন , কোনটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ,ইত্যাদি। 


৮)প্রযুক্তিকে সঠিক কাজে লাগান।



                           
                                      মোবাইল তো এখন সবার হাতে হাতে , সেটিকে সঠিক কাজে লাগান। অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলি তে অনেক ভালো কিছু জানা যায় সেগুলি ফলো করুন। ধরুন বাসে বা ট্রেনে কোথাও যাচ্ছেন - প্রশ্ন গুলো পড়তে থাকুন , কোথাও না কোথাও ঠিক কাজে লাগবেই।  তার মানে এটা সবসময় করতে বলছি না , বিনোদন টাও দরকার।  কোনো পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবার সময় শুধুমাত্র পড়াশোনার দিকে বেশি মনোযোগ দিলে সাফল্য টাও খুব তাড়াতাড়ি আসবে। 


৯) হতাশ হবেন না :



          যেহেতু প্রতিযোগিতা খুব বেশি তাই সাফল্য আসতে হতে পারে একটু টাইম লাগলো তাই বলে হতাশ হবেন না এবং হাল ছাড়বেন না। মনে রাখবেন আপনি যে লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন সেটা আপনাকে পূরণ করতেই হবে। নিজের ওপরে বিশ্বাস রাখুন ও কারোর কথায় কান দেবেন না। অনেকে অনেক কিছু বলবে।  মনে রাখবেন জীবন টা আপনার অন্যের নই , আপনার জীবন সুন্দরভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আপনার। 
              


ধন্যবাদ 

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।           সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা : ১. গ্রস্ত উপত্যকার সংজ্ঞা :                দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে।              এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা। 

কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা

  কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা       জলের আর এক নাম জীবন, কিন্তু মাঝে মাঝে এই জলই আমাদের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নৌকাডুবি, লঞ্চডুবি, জলের ঘূর্ণিতে পড়া, সাঁতার কাটতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে, বন্যা, চোরাবালি ইত্যাদি কারণে জলে ডোবার ঘটনা ঘটে থাকে।   

হিমানী সম্প্ৰপাত

হিমানী সম্প্ৰপাত           পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পার্বত্য অঞ্চলে তুষারক্ষেত্রের জমাট বাঁধা বরফ অত্যন্ত ধীরগতিতে পর্বতের ঢাল বেয়ে নীচের দিকে নেমে আসতে থাকে। সময় সময় পাহাড়ের ঢালে চলমান এইরকম হিমবাহ থেকে বিশাল বরফের স্তূপ ভেঙে বিপুলবেগে নীচের দিকে পড়তে দেখা যায়, একে হিমানী সম্প্রপাত বলে।  

বার্খান

বার্খান             বায়ুর সঞ্চয়কাজের ফলে যেসব ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে বালিয়াড়ি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।বালিয়াড়ির অন্যতম একটি বিশেষ শ্রেণি হল বাৰ্খান বা তির্যক বালিয়াড়ি। ‘বাৰ্খান’একটি তুর্কি শব্দ, এর অর্থ হল ‘কিরঘিজ স্টেপস্’ অঞ্চলের বালিয়াড়ি। উষ্ণ মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের পথে আড়াআড়িভাবে গঠিত বালির স্তূপ বা বালিয়াড়িকে বাৰ্খান বলা হয়।

আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য

  আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য Sl. No. আবহবিকার ক্ষয়ীভবন 1 আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন—উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, জলীয় বাষ্প, তুষারপাত ও বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান দ্বার শিলাসমূহের চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া বা বিয়োজনকে আবহবিকার বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, যেমন—নদী, বায়ু, হিমবাহ, ইত্যাদি দ্বারা আবহবিকারপ্রাপ্ত চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহের অপসারণকে ক্ষয়ীভবন বলে। 2 আবহবিকারের ফলে মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের (গঠন, আকৃতি, খনিজের আণবিক সজ্জা প্রভৃতি) পরিবর্তন ঘটে । ক্ষয়ীভবনের ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধিত হয়। কিন্তু মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। 3 আবহবিকার কোনোভাবে ক্ষয়ীভবনের ওপর নির্ভরশীল নয়। ক্ষয়ীভবন সম্পূর্ণরূপে আবহবিকারের ওপর নির্ভরশীল। আবহবিকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না। 4 আবহবিকারের ফলে চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহ শিলাস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপরেই অবস্থান করে। ক্ষয়ীভবনের ফলে আবহবিকার প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ স্থানান্তরি...