ভারতীয় ইতিহাসে এবং জনজীবনে নদনদীর প্রভাব ভারত-একটি নদীমাতৃক দেশ। ভারতীয় সভ্যতার সূচনা ঘটে নদী-অববাহিকা অঞ্চল থেকে। ভারতীয় ইতিহাসের ওপরও সিন্ধু, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, গোদাবরী, যমুনা প্রভৃতি নদনদীর যথেষ্ট প্রভাব বর্তমান। নদনদীগুলি ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিকে সিক্ত করেছে, পলি মৃত্তিকায় উর্বর করেছে, আর শস্য-শ্যামলা করে ভারতীয় কৃষি-অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। অন্য দিকে নদী-উপকূলবর্তী অঞ্চলেই গড়ে উঠেছে জনপদ, নগর, বাণিজ্যকেন্দ্র বা তীর্থস্থান। (১) সভ্যতার বিকাশ: সিন্ধুনদের অববাহিকাতেই জন্ম নেয় পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। পঞ্চনদীর তীরে বিকাশ ঘটে বৈদিক সভ্যতার। পরবর্তীকালে গঙ্গা-অববাহিকা ধরে বৈদিক সভ্যতার বিকাশ ঘটে। সিন্ধু সভ্যতা: ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম এবং অন্যতম উন্নত সভ্যতা সিন্ধু নদ এবং তার উপনদীগুলির তীরে গড়ে উঠেছিল। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর মতো শহরগুলি নদীর উর্বর পলিমাটি এবং জল সরবরাহকে কাজে লাগিয়ে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলেছিল। গঙ্গা সভ্যতা: গঙ্গা নদী এবং তার অববাহিকা বরাবর পরবর্তীকালে বৈদিক সভ্যতা, মহাজনপদ এ...
কলেরা রোগ - লক্ষণ ও প্রতিকার
কলেরাও একটি আন্ত্রিক রােগ । ভিব্রিও কলেরি নামক এক প্রকার ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে কলেরা রােগ হয় । আগেকার দিনে কলেরা কোথাও শুরু হলে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত । কলেরা কিভাবে ছড়ায় তা জানা ছিল না। রােগীর মলমূত্রসহ কাপড় - চোপড় সাধারণের ব্যবহার্য পুকুরে কাচা হতো । সেই জল ব্যবহারকারীরা রােগে আক্রান্ত হতাে । অধিকাংশই মারা যেতো , কারণ এর কোন প্রকার চিকিৎসা তখন জানা ছিল না । কোথাও কলেরা হয়েছে শুনলে লােকে সেদিকে যেতো না । এমনকি , ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যেতো । কলেরা মানেই ছিল ভয়ানক এক মহামারী । আজ কলেরা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত । বিতাড়িত হলে তবেই আমরা কলেরা কী , তা আর জানতে চাইব না । যেমন গুটি বসন্ত কী তা আমরা আর জানতে চাই না
কলেরার লক্ষণ
কলেরা রােগের সংক্রমণ হলে চাল - ধােওয়া জলের মতাে পাতলা পায়খানা এবং বমি হয় বারে বারে । প্রস্রাব খুব কম হয় বা বন্ধ হয়ে যায় ।
চিকিৎসা
রােগের লক্ষণ প্রকাশ হওয়া মাত্র নুন - চিনির সরবৎ ঘন ঘন খাওয়াতে হবে রােগীর জলশূন্যতা রােধ করার জন্য । তারপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখাতে হবে । জলশূন্যতা বেশী বুঝলে তাড়াতাড়ি স্যালাইনের ব্যবস্থা করতে হবে।
জটিলতা
সময়মতাে চিকিৎসা শুরু করতে না পারলে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিরােধ
কলেরা প্রতিরােধে টিকা আছে । কিন্তু তা তেমন কার্যকর নয় । ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত এই টিকার ফল কার্যকর । তাও আবার মোটামুটি শতকরা ৫০ জনের ক্ষেত্রে টিকা প্রতিরােধ গড়ে তুলতে পারে । সেজন্য টিকা অপেক্ষা সাবধানতা অবলম্বনই শ্রেয় । আন্ত্রিক রােগের ক্ষেত্রে যেরূপ সাবধানতা প্রয়ােজন , এক্ষেত্রেও তেমনি ।
Comments
Post a Comment