প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।
কুষ্ঠ রোগ - লক্ষণ ও প্রতিকার
সারা পৃথিবীতে প্রায় দেড় কোটি কুষ্ঠ রােগী আছে । তার মধ্যে প্রায় ৪৫ লক্ষ ভারতবাসী । প্রতি গ্রাম - শহরে গড়ে ১০০০ জন লােকের মধ্যে ৫ জনের কুষ্ঠ আছে । অথচ প্রকাশ্যে এত বিশাল সংখ্যক রােগীর এক দশমাংশও নজরে আসে না । সমাজচ্যুতির ভয়ে রােগী ও তার পরিবারের লােকজন রােগ গােপন করে ।
রােগের লক্ষণ
রােগের প্রধান লক্ষণ আক্রান্ত স্থানের অসাড়তা । প্রথমে আক্রান্ত জায়গার রঙ স্বাভাবিক রঙ থেকে একটু আলাদা — সাধারণতঃ সাদাটে , কখনাে কখনাে কালচে হয় এবং অন্য জায়গা থেকে ঐ জায়গার চামড়া একটু উঁচু হতে পারে ।
চিকিৎসা
কুষ্ঠ রােগের চিকিৎসা আছে । সে চিকিৎসায় সম্পূর্ণ আরােগ্য লাভ হয় । তবে ইতিমধ্যে যে অঙ্গহানি হয়ে যায় , তা ফেরে না । প্লাষ্টিক সার্জারিতে অবশ্য কিছুটা ফেরানাে যায় ।
চিকিৎসা যত দেরীতে আরম্ভ হবে , সারতে তত বেশীদিন সময় লাগবে । অঙ্গহানি বা বিকৃতির সম্ভাবনাও বাড়বে । প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা আরম্ভ হলে একটানা ৬ মাস ওষুধ খেতে হয় । দেরীতে আরম্ভ হলে ৩ বছর বা আরাে বেশী দিন ওষুধ খেতে হবে ।
সংক্রমণ
মাইকো ব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি নামক একপ্রকার ব্যাক্টেরিয়া কুষ্ঠ রােগের কারণ । আক্রান্ত রােগীর নাকের মিউকাস পর্দা থেকে রসের সঙ্গে জীবাণু বেরিয়ে সুস্থ মানুষের দেহে ঢােকে । রােগ প্রকাশ ১০ শতাংশ ভাগ ক্ষেত্রে হয় । তাও দীর্ঘ সময় পরে । কখনাে ২ থেকে ৫ বছর পর । মােটামুটি ২০ শতাংশ কুষ্ঠ রােগী জীবাণু ছড়াতে সক্ষম । বাকীরা ছড়ায় না ।
Comments
Post a Comment