নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অমর বাণী ও উক্তি ১. “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” (তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তি, যা প্রায়শই স্মরণ করা হয়) ২. “আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোনো বাস্তব পরিবর্তন কখনোই অর্জিত হয়নি।” ৩. “স্বাধীনতা কেউ দেয় না, ছিনিয়ে নিতে হয়।” ৪. “আজ আমাদের একটাই আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত – মরার ইচ্ছা যাতে ভারত বাঁচতে পারে – একজন শহীদের মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, যাতে শহীদের রক্তে স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করা যায়।” ৫. “আমাদের স্বাধীনতার মূল্য নিজের রক্ত দিয়ে দেওয়া আমাদের কর্তব্য।”
কুষ্ঠ রোগ - লক্ষণ ও প্রতিকার
সারা পৃথিবীতে প্রায় দেড় কোটি কুষ্ঠ রােগী আছে । তার মধ্যে প্রায় ৪৫ লক্ষ ভারতবাসী । প্রতি গ্রাম - শহরে গড়ে ১০০০ জন লােকের মধ্যে ৫ জনের কুষ্ঠ আছে । অথচ প্রকাশ্যে এত বিশাল সংখ্যক রােগীর এক দশমাংশও নজরে আসে না । সমাজচ্যুতির ভয়ে রােগী ও তার পরিবারের লােকজন রােগ গােপন করে ।
রােগের লক্ষণ
রােগের প্রধান লক্ষণ আক্রান্ত স্থানের অসাড়তা । প্রথমে আক্রান্ত জায়গার রঙ স্বাভাবিক রঙ থেকে একটু আলাদা — সাধারণতঃ সাদাটে , কখনাে কখনাে কালচে হয় এবং অন্য জায়গা থেকে ঐ জায়গার চামড়া একটু উঁচু হতে পারে ।
চিকিৎসা
কুষ্ঠ রােগের চিকিৎসা আছে । সে চিকিৎসায় সম্পূর্ণ আরােগ্য লাভ হয় । তবে ইতিমধ্যে যে অঙ্গহানি হয়ে যায় , তা ফেরে না । প্লাষ্টিক সার্জারিতে অবশ্য কিছুটা ফেরানাে যায় ।
চিকিৎসা যত দেরীতে আরম্ভ হবে , সারতে তত বেশীদিন সময় লাগবে । অঙ্গহানি বা বিকৃতির সম্ভাবনাও বাড়বে । প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা আরম্ভ হলে একটানা ৬ মাস ওষুধ খেতে হয় । দেরীতে আরম্ভ হলে ৩ বছর বা আরাে বেশী দিন ওষুধ খেতে হবে ।
সংক্রমণ
মাইকো ব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি নামক একপ্রকার ব্যাক্টেরিয়া কুষ্ঠ রােগের কারণ । আক্রান্ত রােগীর নাকের মিউকাস পর্দা থেকে রসের সঙ্গে জীবাণু বেরিয়ে সুস্থ মানুষের দেহে ঢােকে । রােগ প্রকাশ ১০ শতাংশ ভাগ ক্ষেত্রে হয় । তাও দীর্ঘ সময় পরে । কখনাে ২ থেকে ৫ বছর পর । মােটামুটি ২০ শতাংশ কুষ্ঠ রােগী জীবাণু ছড়াতে সক্ষম । বাকীরা ছড়ায় না ।
Comments
Post a Comment