দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) বা প্রথম জোড়ার সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়াটি পূরণ : ১. জগদীশচন্দ্র বসু : ক্রেস্কোগ্রাফ :: উদ্ভিদের কাণ্ডের আলোকবৃত্তি : ❓ অক্সিন ২. তীব্র আলোক : ফটোন্যাস্টিক :: আলোক উৎসের গতিপথ : ❓ ফটোট্রপিক ৩. সিসমোন্যাস্টিক : লজ্জাবতী :: প্রকরণ চলন : ❓ বনচাঁড়াল ৪. অনুকূল জিওট্রপিক : উদ্ভিদের মূল :: প্রতিকূল জিওট্রপিক : ❓ সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল ৫. সূর্যমুখী : ফটোন্যাস্টিক :: টিউলিপ : ❓ থার্মোন্যাস্টিক
হেপাটাইটিস ভাইরাস
এই রোগে আক্রান্ত হলে কি কি সমস্যা হয় ?
হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হলে আহারে অরুচি , বমির ভাব বা বমি , দুর্বলতা , জ্বর , মাথাব্যথা প্রভৃতি হয় । ১/২ সপ্তাহের মধ্যে চোখের কোলে ও গায়ের রঙে হলদে ভাব হয় । প্রস্রাবও হলদে - হলদে হতে পারে । এই হলদে হওয়াকে বলে জনডিস । আসলে জনডিস কোন রােগ নয় , কয়েকটি রােগের লক্ষণ মাত্র । রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেশী হলে ' জনডিস দেখা যায় । কিছু ভাইরাল হেপাটাইটিসে জনডিস নাও হতে পারে । হেপাটাইটিস হলে পেটের ডানদিকে ( লিভারে ) ব্যাথা হয় ।
যে সব কারণে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে ?
ভাইরাস- A এবং- B ছাড়াও ভাইরাস- C , D , E এবং F ভাইরাসও ভাইরাল হেপাটাইটিস ঘটাতে পারে । A এবং E ভাইরাস জল ও খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে ঢােকে । B, C, D ভাইরাস রক্তের মাধ্যমে শরীরে আসে । ইঞ্জেকশনের সূচ শােধন না করে অসুস্থ ও সুস্থ ব্যক্তিকে পর পর ইঞ্জেকশন দিলে সুস্থ ব্যক্তির হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হবার প্রবল সম্ভবনা থাকে ।
এই রোগের প্রতিকার কি ?
এই অসুখে ওষুধ তেমন কাজ করে না । রােগীকে শর্করা , সবজি , ডাল , ছােট মাছ , ডিম ও ফল জাতীয় পথ্য দিতে হবে । স্নেহ ও চর্বি জাতীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রিত করতেই হবে । সর্বাগ্রে দরকার রােগীকে পূর্ণ বিশ্রাম । হেপাটাইটিস সন্দেহ হলে ডাক্তার দেখাতে হবে । হেপাটাইটিস B বেশ বিপজ্জনক । অন্যগুলি তেমন বিপজ্জনক নয় ।
Comments
Post a Comment