নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
এইডস ( AIDS )
এইডস ( AIDS ) এর পুরো নাম Acquired immunodeficiency syndrome. অর্থাৎ ইংরেজী শব্দগুলাের আদ্যক্ষর নিয়ে এইডস । আমাদের দেহের স্বাভাবিক এক জবরদস্ত প্রতিরােধ ব্যবস্থা আছে । টি - লিম্পােসাইট নামে রক্তের এক প্রকার শ্বেত কণিকা এই প্রতিরােধ ব্যবস্থার সেনাপতি । এই কণিকার পরােক্ষ এবং প্রত্যক্ষ আক্রমণে প্রতি নিয়ত দেহে আগত অসংখ্য রোগ জীবাণু ধ্বংস প্রাপ্ত হচ্ছে । প্রতিষেধক টিকা এই কণিকাদের ও তাদের সহকারী সৈন্যদের প্রতিরােধ ক্ষমতা অনেক গুণ বাড়ায় ।
এইডস রােগের ভাইরাসের নাম HIV - Human immunodeficiency virus . এই ভাইরাস প্রতিরােধ দুর্গের সেনাপতি টি - লিম্ফোসাইট কোষের উপর বসে আস্তে আস্তে কোষের এমন পরিবর্তন করে নেয় যে , সেনাপতি অর্থাৎ কোষ নিজেই এইচ আই ভি ভাইরাসের আজ্ঞানুবর্তী দাস হয়ে যায় এবং নিজেই হাজার হাজার এইচ আই ভি , ভাইরাস তৈরী করে। সেই ভাইরাসগুলি এর পর ঐ কোষ ফাটিয়ে বেরিয়ে পড়ে এবং তারপর নতুন নতুন টি - লিম্ফোসাইট কোষকে আক্রমণ করে তাদেরকেও একই অবস্থায় নিয়ে যায় । ফলতঃ কিছু দিন পরে দেহের প্রতিরােধ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায় । সর্দি , ইনফ্লুয়েঞ্জার মতাে তুচ্ছ রােগেও শরীর তখন কাবু হয়ে যায়। কোন রকম ওষুধ , অ্যান্টিবায়ােটিক কোন কিছুই আর কাজ করে না । ফলে প্রতিরােধহীন অবস্থায় যে কোন রােগ জীবাণুর আক্রমণে মৃত্যু তখন অনিবার্য হয়ে ওঠে । এখন পর্যন্ত এইডস রােগে ধরলে তার আর পরিত্রাণ নাই ।
তাই যে যে পথে এইডস রােগ সংক্রামিত হয় বা হতে পারে , সেই সেই বিষয়ে সতর্ক থাকলে এইডস রােগের ভয় থাকবে না ।
1. যৌন সংসর্গের মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনে এইচ , আই ভি ভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে ।
2. রক্তদান ও গ্রহণের মাধ্যমে সংক্রামিত হতে পারে । এইডস রােগীকে ইনজেকশন দেওয়ার পর সূচকে উপযুক্ত ভাবে পরিশােধিত না করে অন্যকে ঐ সূচ দিয়ে ইঞ্জেকশন দিলে তারও এইডস হতে পারে ।
3. সেলুনে এক ক্ষুর দিয়ে এইডস রােগী ও সুস্থ মানুষের চুল - দাড়ি কামানাের মাধ্যমে এই রােগ সংক্রমিত হতে পারে ।
4. এইডস রােগগ্রস্ত প্রসূতি শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ক্ষেত্রে নবজাতকের দেহে রােগ সংক্রামিত করতে পারে । রােগগ্রস্ত মাতা স্তনদানের মাধ্যমে শিশুতে রােগ সংক্রমিত করতে পারে ।
তবে সাধারণ মেলামেশা এমনকি উচ্ছিষ্ট ভক্ষণেও এই রােগ সংক্রমিত হয় না । এই রােগ একই গৃহে বাস করলে একজন থেকে অন্যজনে সংক্রামিত হয় না । রক্তের সংমিশ্রণ বা যৌন সংযােগ বিষয়ে সতর্ক থাকলেই এইডস হবার ভয় নাই । সেজন্য এই রােগ সম্পর্কে অহেতুক ভয় না থাকা উচিৎ ।
সিফিলিস , গনােরিয়া প্রভৃতি সাংঘাতিক সংক্রামক যৌন রােগ অসংযত জীবন যাপনের ফলেই হয় । পিতা / মাতার দোষে অনেক সময় শিশুদের গনােরিয়া হয় এবং তার ফলে অন্ধত্ব ঘটতে পারে।
Comments
Post a Comment