Skip to main content

Posts

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

[VSQ]সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য ইতিহাস VSQ||সেট–১১২

সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য ইতিহাস VSQ প্রশ্ন:১ ভারতের জাতীয় কংগ্রেস কত খ্রিষ্টাব্দে গঠিত হয় ? উত্তর: ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে। প্রশ্ন:২ ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে কে সভাপতিত্ব করেন ? উত্তর: উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন:৩ ভারতে দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রবর্তক কে ? উত্তর: স্যার সৈয়দ আহমদ খান।

সমাজসংস্কাররূপে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান।।

সমাজসংস্কাররূপে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান             হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে রাজা রামমোহন রায় ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে (মতান্তরে ১৭৭৪ খ্রি.) জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ভারত পথিক বলে সম্মান জানিয়েছেন। ভারতের ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের কাজে তাঁর নিরলস সাধনার কারণে তাঁকে আধুনিক ভারতের জনক বলে অভিহিত করা হয়। ড. বিপানচন্দ্রের মতে—“উনিশ শতকের প্রথম লগ্নে ভারতীয় আকাশে রামমোহন রায় উজ্জ্বলতম নক্ষত্ররূপে ভাস্বর ছিলেন”।

সমাজসংস্কারক বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো।

সমাজসংস্কারক বিদ্যাসাগরের অবদান               ঊনবিংশ শতকের আর–একজন অসাধারণ পণ্ডিত ও সংস্কারক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০–৯১ খ্রি.)। মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমাজসংস্কারক বিদ্যাসাগরের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিখেছেন—“ বিধাতা বিদ্যাসাগরের প্রতি বঙ্গভূমিকে মানুষ করিবার ভার দিয়াছিলেন”। এবং প্রখ্যাত কবি মাইকেল মধুসূদন লিখেছেন, বিদ্যাসাগরের মধ্যে ছিল সন্ন্যাসীর প্রজ্ঞা, ইংরেজের উদ্যম এবং বাঙ্গালী–মায়ের কোমল হৃদয়।

উনিশ শতকের সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা করো।

সংস্কার আন্দোলনে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা               উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণে যে গুটিকয়েক সংস্কারক উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। প্রচলিত অর্থে একজন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত হয়েও সমাজ সচেতন ও মানবতাবাদী বিদ্যাসাগর ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের এক জ্বলন্ত প্রতিমূর্তি। বাংলাদেশে শিক্ষা বিস্তার ও সমাজ সংস্কারের কাজে তাঁর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। 

উডের ডেসপ্যাচ বা উডের প্রতিবেদন।

উডের ডেসপ্যাচ            ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি স্যার চার্লস উডের নেতৃত্বে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট একটি শিক্ষা কমিটি গঠন করে। এই কমিটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার জন্য যে সুপারিশ পেশ করেন (১৮৫৪ খ্রি., ১৯ জুলাই ) তা উডের ডেসপ্যাচ বা উডের প্রতিবেদন নামে পরিচিত।

মানবসেবার আদর্শ সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারা সংক্ষেপে উল্লেখ করো।

মানবসেবার আদর্শ সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারা                 প্রাচীনকাল থেকেই সনাতন ভারতবর্ষে গৌতমবুদ্ধ, শঙ্করাচার্য, শ্রীচৈতন্যদেব, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস–সহ যেসব চিরপ্রণম্য মহাপুরুষ মানবসেবার আদর্শ প্রচার করেছিলেন, তাঁদেরই সার্থক উত্তরপুরুষ ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। বিবেকানন্দই প্রথম বলেন, “জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”।

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল      ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ভারতবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করার জন্যই।  জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (১) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন— উদ্দেশ্য ঘোষণা—বোম্বাইয়ের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজ হল জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি., ২৮ ডিসেম্বর) সভাপতির ভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে চারটি মূল উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এগুলি হল—   (i) ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্রে ভরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের দেশপ্রেমীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও একাত্মতা গড়ে তোলা, (ii) সম্প্রীতির দ্বারা জাতি, ধর্ম, প্রাদেশিকতার তুচ্ছ সংকীর্ণতা দূর করে জাতীয় সংহতির পথ প্রশস্ত করা, (iii) শিক্ষিতদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করে সামাজিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ণয় করা, (iv) ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

ভারতসভা

ভারতসভা       ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ২৬ জুলাই কলকাতার অ্যালবার্ট হলে (এখনকার কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউস) অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে ভারতসভা গঠন করা হয়। ভারতসভা গঠনে মূল উদ্যোগ নেন। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আনন্দমোহন বসু এবং তাঁদের সাহায্য করেন শিবনাথ শাস্ত্রী এবং দ্বারকানাথ গাঙ্গুলি। উদ্দেশ্য ভারতসভা গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল— (১) এক ঐক্যবদ্ধ ব্রিটিশবিরোধী জনমত গড়ে তোলা; (২) বিভিন্ন ভাষা, গোষ্ঠী, ধর্মীয় সম্প্রদায়ভুক্ত ভারতবাসীকে একই রাজনৈতিক ভাবনায় দীক্ষিত করা; (৩) হিন্দু–মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তোলা; (৪) জাতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনগুলিতে সমাজের নিম্নবর্গের মানুষদের শামিল করানো। 

ইলবার্ট বিল বিতর্কের গুরুত্ব পর্যালোচনা করো।

ইলবার্ট বিল বিতর্কের গুরুত্ব           বিচারবিভাগে ইউরোপীয় ও ভারতীয় বিচারকদের সমমর্যাদা দানের লক্ষ্যে ভাইসরয় লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইন সচিব কোর্টনি ইলবার্ট এক খসড়া আইন প্রবর্তন করেন, যা ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত। বিতর্কের গুরুত্ব (১) প্রত্যক্ষ গুরুত্ব— (i)ইউরোপীয়দের মধ্যে—ইলবার্ট বিল প্রকাশ হওয়ার পর সর্বপ্রথম কলকাতা হাইকোর্টের ব্যারিস্টার ব্রানসনের নেতৃত্বে গঠিত হয় ডিফেন্স অ্যাসোসিয়েশন। এই সমিতির নেতৃত্বে ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। ভারতের ইংলিশম্যান পত্রিকা ও ইংল্যান্ডের ‘দ্য টাইমস’ পত্রিকায় ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনামূলক লেখা প্রকাশিত হয়। (ii) সংশোধন—ইলবার্ট বিলকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সরকার বিলটির সংশোধন করতে বাধ্য হয়। নতুন সংশোধিত আইনে বলা হয় যে, এখন থেকে ভারতীয় বিচারকগণ ইউরোপীয় অপরাধীদের বিচার করার সময় জুরির সাহায্য নিতে বাধ্য থাকবেন। বলাবাহুল্য এই জুরিদের অধিকাংশই ছিলেন ইউরোপীয়। (iii) ভারতীয়দের মধ্যে—ইউরোপীয়দের চাপে ইলবার্ট বিল সংশোধন করা হলে ভারতীয়দের মধ্যেও তীব্র প...

নব্যবঙ্গ বা ইয়ংবেঙ্গল আন্দোলনের অবদানগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

নব্যবঙ্গ বা ইয়ংবেঙ্গল আন্দোলনের অবদান     খ্রিস্টীয় উনিশ শতকে বাংলার বুকে নব্যবঙ্গ দলের কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ ছিল ঠিকই, তা বলে এঁদের অবদানকে কখনোই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। নানা দিক থেকে আজকের সমাজ এঁদের কাছে ঋণী হয়ে আছে। নব্যবঙ্গীয় আন্দোলনের অবদান— (১) বিবিধ কুসংস্কারের বিরোধিতায়— নব্যবঙ্গ দলের সদস্যরা হিন্দুসমাজে প্রচলিত গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রথা, কৌলীন্য প্রথা, দাস প্রথা, বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ প্রথা–সহ বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরোধিতা করেছিলেন। (২) বিভিন্ন বৈষম্যের বিরোধিতায়— তৎকালীন সমাজে নারী পুরুষের বৈষম্য, বিচারব্যবস্থায় ভারতীয় ও ইরোপীয়দের বিচার বৈষম্য, জাতিগত বৈষম্য, চিরস্থায়ী ভূমি বন্দোবস্ত এমনকি পুলিশিব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্রিটিশের বৈষম্যমূলক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানায় ইয়ংবেঙ্গল সদস্যগণ। (৩) নারীকল্যাণে— নারীজাতির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীশিক্ষার প্রসার ছিল নব্যবঙ্গ দলের অন্যতম কর্মসূচি। এই কারণে কেউ কেউ আবার এঁদের মধ্যে দেখেছেন উনিশ শতকের নবজাগরণের উষালগ্ন। (৪) ভাবজগতে পরিবর্তন— এঁদের উদ্যোগে প্রকাশিত হয় ‘জ্ঞানান্বেষণ’, ‘দ্য এনকোয়ারার’, ‘দ্য বেঙ্গল স্পেকট...