নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
উডের ডেসপ্যাচ
ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি স্যার চার্লস উডের নেতৃত্বে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট একটি শিক্ষা কমিটি গঠন করে। এই কমিটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার জন্য যে সুপারিশ পেশ করেন (১৮৫৪ খ্রি., ১৯ জুলাই ) তা উডের ডেসপ্যাচ বা উডের প্রতিবেদন নামে পরিচিত।
প্রতিবেদনের সুপারিশ—
ভারতের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারের জন্য চার্লস উডের যে সুপারিশগুলি ছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হল—
(১) প্রত্যেক প্রেসিডেন্সি শহরে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
(২) কলকাতা, মুম্বাই ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
(৩) নিম্নতম শ্রেণি থেকে উচ্চতর শ্রেণি পর্যন্ত যথাযথ সমন্বয় মূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন।
(৪) উচ্চতর বিদ্যালয়গুলিতে মাতৃভাষায় শিক্ষার পাশাপাশি ইংরাজি শিক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে।
(৫) সরকারি শিক্ষা বিভাগ স্থাপন ও বিদ্যালয়গুলিতে আরও বেশি পরিমাণে সরকারি সাহায্যদান প্রয়োজন।
(৬) মেধাবী ছাত্রদের জন্য স্কলারশিপ প্রদানের ব্যবস্থা।
(৭) স্কুলগুলিকে ঠিকমতো পরিচালনা করার জন্য একটি আলাদা শিক্ষাদপ্তর গড়ে তোলা প্রয়োজন। শিক্ষকদের সঠিকভাবে শিক্ষিত করার জন্য শিক্ষক–শিক্ষণ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন।
(৮) প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের উপযুক্ত ব্যবস্থা প্রবর্তন।
(৯) আরও বেশি সংখ্যক প্রাথমিক ও ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
(১০) সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা, গণশিক্ষা, ও নারী শিক্ষা প্রদান নীতির প্রবর্তন প্রভৃতি।
চার্লস উডের এইসব সুপারিশের ওপর ভিত্তি করেই আধুনিক ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। এই সুপারিশ অনুসারে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সরকারি শিক্ষা দপ্তর খোলা হয়। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা, মুম্বাই, মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরে লাহোর, এলাহাবাদেও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। সর্বমোট ১৪০ টি মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয় এবং ৭৯ টি উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়কে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়।
🔗🔗🔗
Read More ::
Comments
Post a Comment