প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।
মানবসেবার আদর্শ সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারা
প্রাচীনকাল থেকেই সনাতন ভারতবর্ষে গৌতমবুদ্ধ, শঙ্করাচার্য, শ্রীচৈতন্যদেব, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস–সহ যেসব চিরপ্রণম্য মহাপুরুষ মানবসেবার আদর্শ প্রচার করেছিলেন, তাঁদেরই সার্থক উত্তরপুরুষ ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। বিবেকানন্দই প্রথম বলেন, “জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”।
বিবেকানন্দের মানবসেবার আদর্শ
(১) বাণী ও আদর্শ—
শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেবের মানবসেবার আদর্শে দীক্ষিত স্বামী বিবেকানন্দ স্বপ্ন দেখতেন এমন এক ভারতের যেখানে থাকবে না কোনো উচ্চনীচ, ধনীনির্ধন, জাতপাতের ভেদাভেদ। তিনি বলেছেন, “নীচ জাতি, মূর্খ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তোমার রক্ত, তোমার ভাই“। স্বামীজির বিশ্বাস ছিল যে স্বদেশ ও সমাজকে সেবা করলেই দরিদ্রনারায়ণকেও সেবা করা হয়। স্বদেশ বলতে বিবেকানন্দ বুঝতেন মাটি নয়, মানুষকেই। হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত পরিভ্রমণকালে তিনি ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরের সন্ধান পেয়েছিলেন। মানুষের প্রতি অবহেলাকে তিনি জাতীয় পাপ বলেই মনে করতেন। শূদ্র জাগরণের লক্ষ্যে তিনি বলেছিলেন, “এইসব নীচজাতিদের ভেতর বিদ্যাদান, জ্ঞানদান করে এদের ঘুম ভাঙাতে যত্নশীল হও”।
(২) রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা—
স্বামীজী তাঁর মানবসেবার আদর্শকে বাস্তবায়িত করার জন্য (১৮৯৭ খ্রি., ১ মে) প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ মিশন। তাঁর মানবসেবার আদর্শ মেনেই রামকৃষ্ণ মিশন নির্যাতিত, অবহেলিত, শোষিত, অসহায়, আর্ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে স্বামীজি চেয়েছিলেন প্রকৃত মানুষ তৈরি করতে। এ প্রসঙ্গে স্বামীজি বলেছিলেন, “আমি এমন এক মন্ত্র প্রচার করতে চাই, যাতে মানুষ তৈরি হয়”। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে স্বামীজি জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষে ঈশ্বরজ্ঞানে মানবসেবার আদর্শ স্থাপন করে গেছেন।
🔗🔗🔗
Read More ::

Comments
Post a Comment