নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
ভারতসভা
১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ২৬ জুলাই কলকাতার অ্যালবার্ট হলে (এখনকার কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউস) অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে ভারতসভা গঠন করা হয়। ভারতসভা গঠনে মূল উদ্যোগ নেন। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আনন্দমোহন বসু এবং তাঁদের সাহায্য করেন শিবনাথ শাস্ত্রী এবং দ্বারকানাথ গাঙ্গুলি।
উদ্দেশ্য
ভারতসভা গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল—
(১) এক ঐক্যবদ্ধ ব্রিটিশবিরোধী জনমত গড়ে তোলা;
(২) বিভিন্ন ভাষা, গোষ্ঠী, ধর্মীয় সম্প্রদায়ভুক্ত ভারতবাসীকে একই রাজনৈতিক ভাবনায় দীক্ষিত করা;
(৩) হিন্দু–মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তোলা;
(৪) জাতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনগুলিতে সমাজের নিম্নবর্গের মানুষদের শামিল করানো।
কার্যাবলি
(১) সিভিল সার্ভিস—
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের উচ্চতম বয়সসীমা ২১ থেকে কমিয়ে ১৯ করে দিলে ভারতীয় পরীক্ষার্থীদের পক্ষে এই চাকুরিলাভ অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা ছাড়াও বহু অর্থ ব্যয়ে গ্রিক ও লাতিন ভাষাতেও দক্ষতা অর্জন করতে হত। সুরেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে ভারতসভা এর বিরুদ্ধে তীব্র জনমত গড়ে তোলে।
(২) অস্ত্র আইন—
লর্ড ক্যানিং–প্রবর্তিত অস্ত্র আইন পরবর্তী সময়ে আরও কঠোরভাবে বলবৎ করেন (১৮৭৮ খ্রি.) লর্ড লিটন। এই আইনে নতুন করে বলা হয় যে, ব্রিটিশের অনুমতি না নিয়ে কোনো ভারতীয় আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবে না, এই কালা আইনের বিরুদ্ধে ভারতসভা প্রতিবাদ জানায়।
(৩) দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন—
দেশীয় ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে লর্ড লিটন এক আইন পাস করান (১৮৭৮ খ্রি.)। ভারতসভা এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে।
(৪) ইলবার্ট বিল—
ভাইসরয় লর্ড রিপনের পরামর্শ মেনে তাঁর আইনসচিব কোর্টনি ইলবার্ট এক আইন প্রণয়ন করে ভারতীয় বিচারকদের শ্বেতাঙ্গ অপরাধীদের বিচার করার অধিকার দেন। কিন্তু, শ্বেতাঙ্গদের তীব্র বিরোধিতায় এই আইন সংশোধন করলে সুরেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে ভারতসভা এই সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে।
🔗🔗🔗
Read More ::
Comments
Post a Comment