প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।
নব্যবঙ্গ বা ইয়ংবেঙ্গল আন্দোলনের অবদান
খ্রিস্টীয় উনিশ শতকে বাংলার বুকে নব্যবঙ্গ দলের কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ ছিল ঠিকই, তা বলে এঁদের অবদানকে কখনোই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। নানা দিক থেকে আজকের সমাজ এঁদের কাছে ঋণী হয়ে আছে।
নব্যবঙ্গীয় আন্দোলনের অবদান—
(১) বিবিধ কুসংস্কারের বিরোধিতায়—
নব্যবঙ্গ দলের সদস্যরা হিন্দুসমাজে প্রচলিত গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রথা, কৌলীন্য প্রথা, দাস প্রথা, বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ প্রথা–সহ বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরোধিতা করেছিলেন।
(২) বিভিন্ন বৈষম্যের বিরোধিতায়—
তৎকালীন সমাজে নারী পুরুষের বৈষম্য, বিচারব্যবস্থায় ভারতীয় ও ইরোপীয়দের বিচার বৈষম্য, জাতিগত বৈষম্য, চিরস্থায়ী ভূমি বন্দোবস্ত এমনকি পুলিশিব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্রিটিশের বৈষম্যমূলক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানায় ইয়ংবেঙ্গল সদস্যগণ।
(৩) নারীকল্যাণে—
নারীজাতির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীশিক্ষার প্রসার ছিল নব্যবঙ্গ দলের অন্যতম কর্মসূচি। এই কারণে কেউ কেউ আবার এঁদের মধ্যে দেখেছেন উনিশ শতকের নবজাগরণের উষালগ্ন।
(৪) ভাবজগতে পরিবর্তন—
এঁদের উদ্যোগে প্রকাশিত হয় ‘জ্ঞানান্বেষণ’, ‘দ্য এনকোয়ারার’, ‘দ্য বেঙ্গল স্পেকটেটর’ প্রভৃতি পত্রপত্রিকা। দেশবাসীর মনে যুক্তিবাদ বিস্তারে ও কুসংস্কারমুক্ত মানসিকতা গঠনে এই পত্রপত্রিকাগুলি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিল।
ভারতীয় যুবসমাজকে আধুনিক ও যুক্তিবাদীরূপে গড়ে তোলার কৃতিত্ব সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্য ইয়ংবেঙ্গল বা নব্যবঙ্গীয়দের। নব্যবঙ্গীয়দের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ তাঁর ‘A Nation in Making’ গ্রন্থে লিখেছেন—“এঁরাই বাংলায় আধুনিক সভ্যতার প্রবর্তক। এঁরাই আমাদের জাতির পিতা, এঁদের গুণাবলি চিরস্মরণীয়”।
🔗🔗🔗
Read More ::

Comments
Post a Comment