নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
ইলবার্ট বিল বিতর্কের গুরুত্ব
বিচারবিভাগে ইউরোপীয় ও ভারতীয় বিচারকদের সমমর্যাদা দানের লক্ষ্যে ভাইসরয় লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইন সচিব কোর্টনি ইলবার্ট এক খসড়া আইন প্রবর্তন করেন, যা ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত।
বিতর্কের গুরুত্ব
(১) প্রত্যক্ষ গুরুত্ব—
(i)ইউরোপীয়দের মধ্যে—ইলবার্ট বিল প্রকাশ হওয়ার পর সর্বপ্রথম কলকাতা হাইকোর্টের ব্যারিস্টার ব্রানসনের নেতৃত্বে গঠিত হয় ডিফেন্স অ্যাসোসিয়েশন। এই সমিতির নেতৃত্বে ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। ভারতের ইংলিশম্যান পত্রিকা ও ইংল্যান্ডের ‘দ্য টাইমস’ পত্রিকায় ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনামূলক লেখা প্রকাশিত হয়।
(ii) সংশোধন—ইলবার্ট বিলকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সরকার বিলটির সংশোধন করতে বাধ্য হয়। নতুন সংশোধিত আইনে বলা হয় যে, এখন থেকে ভারতীয় বিচারকগণ ইউরোপীয় অপরাধীদের বিচার করার সময় জুরির সাহায্য নিতে বাধ্য থাকবেন। বলাবাহুল্য এই জুরিদের অধিকাংশই ছিলেন ইউরোপীয়।
(iii) ভারতীয়দের মধ্যে—ইউরোপীয়দের চাপে ইলবার্ট বিল সংশোধন করা হলে ভারতীয়দের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতসভা সংশোধিত ইলবার্ট বিল বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলে।
(২) পরোক্ষ গুরুত্ব—
(i) ইলবার্ট বিল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জাতি–বর্ণে বিশ্বাসী ভারতীয়দের জাতীয়তাবোধের জাগরণ ঘটে;
(ii) সুসংবদ্ধ রাজনৈতিক সমিতি গঠনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব—এ সত্য প্রমাণিত হয়;
(iii) ভারতীয় হিসেবে সম্পূর্ণ জাতীয় মর্যাদা পেতে গেলে স্বাধীনতা লাভ করা প্রয়োজন, ভারতবাসীর অন্তরে এই অনুভূতির জন্ম দেয় ইলবার্ট বিল আন্দোলন;
(iv) একটি সর্বভারতীয় জাতীয় তহবিল এবং বিভিন্ন সভাসমিতি গঠিত হওয়ায় ভারতীয় জাতীয় রাজনীতির অগ্রগতি ঘটে।
🔗🔗🔗
Read More ::
Comments
Post a Comment