Skip to main content

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

দশম শ্রেণী-ভৌতবিজ্ঞান-পরিবেশের জন্য ভাবনা-ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ-বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন

বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1) UNIT 1. পরিবেশের জন্য ভাবনা 1.1  ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ Q1. গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোন্ গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি? (মাধ্যমিক ২০১৮) (a) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (b) CH4 (মিথেন) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) H₂O বাম্প। Q 2. প্রদত্ত কোনটি ওজোন স্তরকে ক্ষয় করে না?  (মাধ্যমিক ২০২০) (a) NO (নাইট্রোজেন মনোক্সাইড) (b) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন)

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

সমাজসংস্কাররূপে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান।।

সমাজসংস্কাররূপে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান

            হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে রাজা রামমোহন রায় ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে (মতান্তরে ১৭৭৪ খ্রি.) জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ভারত পথিক বলে সম্মান জানিয়েছেন। ভারতের ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের কাজে তাঁর নিরলস সাধনার কারণে তাঁকে আধুনিক ভারতের জনক বলে অভিহিত করা হয়। ড. বিপানচন্দ্রের মতে—“উনিশ শতকের প্রথম লগ্নে ভারতীয় আকাশে রামমোহন রায় উজ্জ্বলতম নক্ষত্ররূপে ভাস্বর ছিলেন”।

(১) আত্মীয় সভা ও ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠা—

হিন্দুধর্মের কুসংস্কার ও সামাজিক অনাচার রামমোহনকে তীব্রভাবে নাড়া দেয়। প্রথমে ধর্মীয় সংস্কারের জন্য তিনি ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ‘আত্মীয় সভা’ এবং ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ‘ব্রাহ্মসভা’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মসভা ব্রাহ্মসমাজে পরিণত হয়। এই ব্রাহ্মসমাজ সমাজসংস্কার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

(২) সতীদাহ প্রথার উচ্ছেদ—

তৎকালীন হিন্দুসমাজে প্রচলিত সর্বাধিক অমানবিক প্রথা ছিল সতীদাহ। স্বামীর মৃত্যু হলে তার জ্বলন্ত চিতায় বিধবা স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারা হত। এই প্রথার ফলে কত অসহায় রমণী যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সে সংখ্যা ইতিহাসে লেখা নেই। রামমোহন বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্র ব্যাখ্যা করে প্রমাণ করেন যে, সতীদাহ প্রথা ধর্মবিরুদ্ধ। তিনি সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ গভর্নর–জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক রামমোহনের সমর্থনে এগিয়ে আসেন। শেষ পর্যন্ত হিন্দু–রক্ষণশীলদের দাবি অগ্রাহ্য করে ব্রিটিশ সরকার ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে সতীদাহ নিবারণ আইন জারি করে।

(৩) জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা—

রামমোহন জাতিভেদ প্রথার তীব্র বিরোধী ছিলেন। তিনি এই প্রথার অবসান ঘটানোর জন্য ঐকান্তিক চেষ্টা চালান। এ ব্যাপারে তিনি ‘বজ্রসূচী’ গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করেন। জাতিভেদ প্রথার বিষময় ফল সমাজের কতটা ক্ষতি করছে সে ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন প্রবন্ধ রচনা করেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এমন এক সমাজের যেখানে জাতপাতের উঁচুনীচু ভেদাভেদ থাকবে না। 

(৪) নারীজাতির উন্নতির চেষ্টা—

রামমোহন মনে করতেন, পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে না দিলে সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতি পিছিয়ে যাবে। তাই তিনি নারীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছিলেন। নারীজাতির সমস্যা সমাধানে তিনি যে ছয়টি অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন সেগুলি হল—

(i) স্বামী বা পিতার সম্পত্তিতে স্ত্রী ও কন্যার অধিকার প্রতিষ্ঠা।

(ii) স্ত্রীশিক্ষার সুষ্ঠু ও সার্বিক প্রসার ঘটানো।

(iii) বিধবাদের পুনর্বিবাহের ব্যবস্থা করা।

(iv) মেয়েদের বিবাহের ব্যাপারে আইন সংশোধন করা।

(v) বাল্যবিবাহ বন্ধ করা।

(vi) কুলীন প্রথার হাত থেকে বালিকাদের রক্ষা করা। 



অন্যান্য সংস্কার—

(i) সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইন প্রণয়নের চেষ্টা করলে (১৮২৩ খ্রি.) রামমোহন কলকাতা সুপ্রিমকোর্ট ও ইংল্যান্ডের রাজার কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করেন।

(ii) তিনি পুরুষের বহুবিবাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।

(iii) বৈষম্যমূলক জুরি আইনের বিরুদ্ধেও তিনি প্রতিবাদ জানান (১৮২৭ খ্রি.)।

(iv) জমিদারের শোষণ থেকে কৃষকদের রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তিনি জমিদারিপ্রথা তুলে দিয়ে কৃষকদের সাথে সরাসরি বন্দোবস্তের দাবি করেন।

(v) সরকারি উচ্চপদে ভারতীয়দের নিয়োগ না করার জন্য তিনি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। 


সাম্প্রতিক গবেষকরা রামমোহনের কিছু কিছু কাজের বিরূপ সমালোচনা করেছেন।

(i) তিনি নিজে ছিলেন জমিদার। তাই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে সাধারণ রায়তদের দুঃখদুর্দশা বাড়লেও, রামমোহন নিশ্চুপ ছিলেন।

(ii) ইংরেজ–জাতির প্রতি তাঁর গভীর আস্থা ছিল। তাই ইংরেজের সাম্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে তিনি ততটা সোচ্চার হননি।

ড. সুমিত সরকারের মতে, “রামমোহন মৌলিক সামাজিক পরিবর্তনের কথা ভাবেননি। তাঁর প্রভাব ছিল কেবল শিক্ষিত মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ। জাতিভেদ বা বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে তিনি খুব বেশি সোচ্চার হননি”।

       ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ হিসাবে রামমোহনই প্রথম কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার কাজে ব্রতী হন। সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে রামমোহনের অবদানকে অস্বীকার করা যাবে না। তীব্র সামাজিক প্রতিকূল অবস্থায় তাঁকে লড়াই করতে হয়েছিল। রক্ষণশীল হিন্দু সমাজপতি ও স্বার্থান্বেষী ব্রিটিশ সরকার পরিবর্তনের তীব্র বিরোধী ছিল। দেশের অধিকাংশ মানুষ ছিল অশিক্ষিত ও সংস্কারগ্রস্ত। তবু রামমোহন সমাজ ও রাজনীতির ক্ষেত্রে যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন সেজন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ঐতিহাসিক সালাউদ্দিন আহমদের মতে, “রামমোহন ছিলেন একজন সতর্ক সংস্কারক—উগ্র বিপ্লববাদী নন”।



🔗🔗🔗

Read More ::

























Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল      ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ভারতবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করার জন্যই।  জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (১) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন— উদ্দেশ্য ঘোষণা—বোম্বাইয়ের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজ হল জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি., ২৮ ডিসেম্বর) সভাপতির ভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে চারটি মূল উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এগুলি হল—   (i) ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্রে ভরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের দেশপ্রেমীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও একাত্মতা গড়ে তোলা, (ii) সম্প্রীতির দ্বারা জাতি, ধর্ম, প্রাদেশিকতার তুচ্ছ সংকীর্ণতা দূর করে জাতীয় সংহতির পথ প্রশস্ত করা, (iii) শিক্ষিতদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করে সামাজিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ণয় করা, (iv) ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

রামমোহন রায়কে কেন ‘ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ’ মনে করা হয় ?

ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রাজা রামমোহন রায়ই প্রথম আধুনিক যুক্তিবাদী মনন ও ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠন ও সংস্কারমুক্ত ধর্মপ্রচারের কথা বলেন। এ ছাড়া পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি তাঁর সমর্থন ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর রাজনৈতিক বিচার–বিশ্লেষণ তাঁকে ‘প্রথম আধুনিক মানুষ’ অভিধায় ভূষিত করেছে। এ প্রসঙ্গে রামমোহন রায়ের মৃত্যুশতবর্ষে (১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক ইংরেজি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, “রামমোহন তাঁর আমলের বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যে ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সম্পূর্ণরূপে আধুনিক যুগের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন”।  রামমোহন রায়–ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ    (১) সমাজসংস্কারের প্রথম উদ্যোগের জন্য—  ‘সতীদাহ’ প্রথা রোধের লক্ষ্যে রামমোহন রায় সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর সংবলিত এক আবেদনপত্র বড়োলাট উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে পাঠান। বেন্টিঙ্ক রামমোহনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১৭ নং রেগুলেশন (Regulation–XVII) জারি করে সতীদাহ প্রথা রদ করেন। এ ছাড়াও তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলীন্য প্রথা, জাতিভেদ প্রথা, কন্যাপণ, গঙ্গাসাগ...

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। ...

দশম শ্রেণী-ভৌতবিজ্ঞান-পরিবেশের জন্য ভাবনা-ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ-বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন

বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1) UNIT 1. পরিবেশের জন্য ভাবনা 1.1  ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ Q1. গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোন্ গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি? (মাধ্যমিক ২০১৮) (a) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (b) CH4 (মিথেন) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) H₂O বাম্প। Q 2. প্রদত্ত কোনটি ওজোন স্তরকে ক্ষয় করে না?  (মাধ্যমিক ২০২০) (a) NO (নাইট্রোজেন মনোক্সাইড) (b) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন)

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিরস্মরণীয় কিছু উক্তি

          বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। অগ্নিবীণা হাতে তার প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তার প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি"

কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা

  কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা       জলের আর এক নাম জীবন, কিন্তু মাঝে মাঝে এই জলই আমাদের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নৌকাডুবি, লঞ্চডুবি, জলের ঘূর্ণিতে পড়া, সাঁতার কাটতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে, বন্যা, চোরাবালি ইত্যাদি কারণে জলে ডোবার ঘটনা ঘটে থাকে।