Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

জীববিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-জিনতত্ত্ব ও বিবর্তন, সেট-৭

জিনতত্ত্ব ও বিবর্তন


প্রশ্ন:১
বিশুদ্ধ ও সংকর কাকে বলে ?

উত্তর: 
যে জীব কেবল নিজের মতাে অপত্য সৃষ্টি করে তাকে বিশুদ্ধ জীব এবং যে জীব অপত্য সৃষ্টিকালে একাধিক রকমের জীব উৎপাদন করতে পারে তাকে সংকর জীব বলে। যদি কোনাে জীব বংশানুক্রমে তার বৈশিষ্ট্যগুলিকে ঠিক ঠিক বজায় রাখে তখন সেই বৈশিষ্ট্যগুলিকে খাঁটি বা বিশুদ্ধ (pure) বলা হয়; অপরপক্ষে, দুটি খাঁটি বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবের পরনিষেক ঘটানাের ফলে উৎপন্ন উভয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবকে (যদিও কেবল প্রকট গুণটিই প্রকাশিত হয়) সংকর (hybrid) বলে।
উদাহরণ–
বিশুদ্ধ কালাে (BB), বিশুদ্ধ সাদা (bb), সংকর কালাে (Bb)।


প্রশ্ন:২
কী কারণে মেডেল মটরগাছকে তার পরীক্ষার জন্য মনােনীত করেছিলেন তার তিনটি কারণ উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
বাগানের মটরগাছে নিম্নলিখিত কতকগুলি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হওয়ায় মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষার জন্য মটরগাছকে নমুনা হিসেবে মনােনীত করেছিলেন—
(i) মটরগাছ একবর্ষজীবী হওয়ায় অতি সহজেই বাগানের জমিতে এবং টবে ফলানাে যায়।
(ii) মটর ফুল উভলিঙ্গ হওয়ায় সহজেই স্বপরাগযােগ ঘটে।
(iii) মটর ফুল স্বপরাগী হওয়ায় বাইরে থেকে আগত অন্য কোনাে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সহজে মিশে যেতে পারে না, ফলে বংশপরম্পরায় নির্দিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন খাঁটি সন্তান-সন্ততি উৎপাদন সম্ভব।


প্রশ্ন:৩
ফিনােটাইপ ও জিনােটাইপ কী ?

উত্তর: 
কোনাে জীবের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যাবলির বাহ্যিক প্রকাশকে ফিনােটাইপ (phenotype) বলে; আবার জীবের নির্দিষ্ট জিনগত গঠন বা জিনের সংযুক্তিকে জিনােটাইপ (genotype) বলে। উদাহরণস্বরূপ, দুটি সংকর কালো গিনিপিগের (Bb) মধ্যে মিলন ঘটালে অপত্য বংশে তিন ভাগ কালাে এবং এক ভাগ সাদা গিনিপিগের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ফিনােটাইপগত অনুপাত হল 3:1। অপত্য গিনিপিগগুলির জিনগত বৈশিষ্ট্য লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, তিন ভাগে কালাে গিনিপিগের মধ্যে এক ভাগ বিশুদ্ধ কালো (BB) এবং দু-ভাগ সংকর কালাে (Bb); আর সাদা গিনিপিগটি বিশুদ্ধ সাদা (bb)। সুতরাং জিনগত ফল অর্থাৎ জিনােটাইপগত অনুপাত হল 1:2:1।


প্রশ্ন:৪
মানুষের প্রধান প্রকট ও প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

উত্তর: 
মানুষের প্রকট বৈশিষ্ট্য–
(i) মানুষের বর্ণযুক্ত শরীর। 
(ii) মানুষের কালাে রঙের কেশ। 
(iii) চোখের কালাে (black) রং। 
(iv) স্বাভাবিক ত্বক। 
(v) কুঞ্চিত কেশ।
মানুষের প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য–
(i) বর্ণহীন বা শ্বেত শরীর। 
(ii) হালকা রঙের কোশ। 
(iii) চোখের কটা বা বাদামি (brown) ও নীল (blue) রং। 
(iv) ছােপযুক্ত (spotted) ত্বক। 
(v) অকুঞ্চিত কেশ।


প্রশ্ন:৫
প্রকট ও প্রচ্ছন্ন কাকে বলে ?

উত্তর: 
দুটি বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবের মধ্যে পরনিষেক ঘটলে প্রথম অপত্য বংশে যে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পায় তাকে প্রকট (dorminant) এবং যে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পায় না অর্থাৎ সুপ্ত থাকে তাকে প্রচ্ছন্ন (recessive) বলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিশুদ্ধ বা খাঁটি চারিত্রিক প্রলক্ষণযুক্ত দীর্ঘাকার (TT) মটরগাছের সঙ্গে একটি বিশুদ্ধ প্রলক্ষণযুক্ত খর্বাকার (tt) মটর গাছের সংকরায়ণ ঘটালে প্রথম অপত্য বংশে দীর্ঘাকার (টট) মটরগাছ সৃষ্টি হয়। এখানে দীর্ঘাকার গুণটি প্রকট এবং খর্বাকার গুণটি প্রচ্ছন্ন।


প্রশ্ন:৬
মেন্ডেলের বংশগতি সংক্রান্ত সূত্রগুলি কী কী ?

উত্তর: 
মেন্ডেলের বংশগতি সংক্রান্ত সূত্রগুলি হল—
1. একক সত্তা সূত্র, 
2.প্রকটতা ও প্রচ্ছন্নতা সূত্র, 
3. পৃথক্ভবন সূত্র, 
4.স্বাধীনবিন্যাস সূত্র।


প্রশ্ন:৭
প্রকট জিন ও প্রচ্ছন্ন জিনের একটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর: 
প্রকট জিন–একটি সংকর জীবের বাহ্যিক প্রকাশের জন্য দায়ী জিনকে প্রকট জিন বলে।
প্রচ্ছন্ন জিন–সংকর জীবে যে জিনটি নিজেকে বাহ্যিকভাবে প্রকাশ করতে পারে না তাকে প্রচ্ছন্ন জিন বলে।


প্রশ্ন:৮
মেন্ডেলের সাফল্যের কারণগুলি কী ছিল ?

উত্তর: 
মেন্ডেল মটরগাছের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে বংশগতি নির্ণায়ক সূত্র আবিষ্কার করেন। এটিই তাঁর সাফল্য তাঁর সাফল্যের পিছনে নিম্নলিখিত কারণগুলি আছে বলে মনে করা হয়—
(i) মেন্ডেলের নির্বাচিত পরীক্ষার উপাদান মটরগাছ জন্মানাে সহজ ও তার জন্মসময়কাল নাতিদীর্ঘ।
(ii) পরীক্ষার কাজে যেসব বৈশিষ্ট্য নির্বাচিত হয়েছিল তাদের প্রকাশভঙ্গি বেশ সুনির্দিষ্ট।
(iii) সমস্ত পরীক্ষাপদ্ধতি সুচিন্তিত ধারাবাহিকতাযুক্ত ছিল।
(iv) প্রতিটি পরীক্ষার ফলাফল তিনি নিখুঁতভাবে লিপিবদ্ধ করতেন ও গাণিতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তাদের পর্যালােচনা ও বিশ্লেষণ করতেন।
(v) সর্বোপরি, তাঁর নির্বাচিত চরিত্র নির্ধারক জিনগুলি লিংকেজের প্রভাবমুক্ত ছিল।


প্রশ্ন:৯
ফিনােটাইপ ও জিনােটাইপের পার্থক্য আলােচনা করো। 

উত্তর: 
ফিনােটাইপ–ম্যাক্রো-ফিনােটাইপকে খালি চোখে দেখা যায় এবং মাইক্রো  ফিনােটাইপকে দেখার জন্য মাইক্রোস্কোপের প্রয়ােজন হয়।
জিনােটাইপ–এটি কেবল বিশেষ জিন তত্ত্বের পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়।


প্রশ্ন:১০
হােমােজাইগাস ও হেটেরােজাইগাস কাকে বলে ?

উত্তর: 
দুটি সমগুণসম্পন্ন গ্যামেটের মিলনে যে জাইগােট উৎপন্ন হয় তাকে হােমােজাইগােট (homozygote) এবং হােমােজাইগােট থেকে উৎপন্ন জীবকে হােমােজাইগাস (homozygous) বলে। অনুরূপভাবে, বিপরীতধর্মী দুটি গ্যামেটের মিলনে যে জাইগােট উৎপন্ন হয় তাকে হেটেরােজাইগোট (heterozygote) বলে এবং হেটেরােজাইগােট থেকে উৎপন্ন জীবকে হেটেরােজাইগাস (heterozygous) বলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি দীর্ঘাকার (T) প্রলক্ষণযুক্ত গ্যামেটের সঙ্গে অপর একটি দীর্ঘাকার (T) প্রলক্ষণযুক্ত গ্যামেটের মিলনের ফলে উৎপন্ন হয় হােমােজাইগােট (TT), আবার একটি দীর্ঘাকার প্রলক্ষণযুক্ত গ্যামেটের (T) সঙ্গে একটি খর্বাকার প্রলক্ষণযুক্ত গ্যামেটের (t) মিলন ঘটালে উৎপন্ন হয় হেটেরােজাইগােট (Tt)।


Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কী ?

          বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–৯৪ খ্রি.) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অগ্রণী ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল স্বদেশ ও দেশপ্রেম। বঙ্কিমচন্দ্রের সৃষ্টি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁর ‘বন্দেমাতরম্’–মন্ত্র ছিল বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র। অরবিন্দ ঘোষ তাই বঙ্কিমকে ‘জাতীয়তাবোধের ঋত্বিক’ বলেছেন।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

মানব জীবনের ওপর মালভূমির প্রভাব আলোচনা করো

মানুষের জীবনধারণ ও জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রে মালভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন—  (১) মালভূমি সাধারণত স্বাভাবিক উদ্ভিদে সমৃদ্ধ হয়। যেমন—ছোটোনাগপুর মালভূমিতে প্রচুর শাল ও সেগুন গাছ জন্মে থাকে। (২) কোনোকোনো মালভূমির কঠিন শিলার ওপর উর্বর মৃত্তিকার আবরণ থাকলে সেই অঞ্চল কৃষিকার্যে উন্নতি লাভ করে। যেমন—ভারতের কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চল। (৩) মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বন্ধুর এবং ভূভাগ কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত বলে চাষ-আবাদ, রাস্তাঘাট ও শিল্পস্থাপনে প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে।

[MCQ]Environment।।Man & Environment।।মানুষ ও পরিবেশ।।সেট ১

মানুষ ও পরিবেশ ➤ প্রশ্ন:১ W.T.O. সম্পূর্ণ নাম হলাে— (a) World Transport Organization. (b) World Tobacco Organization. (c) World Trade Organization.

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

মহীখাত

মহীখাত        জে.হল, জে.ডি.ডানা ও কোবার প্রথম মহীখাত বা Geosyncline ধারণার অবতারণা করেন। তাঁদের মতে, পৃথিবীর আদি ভূভাগ দ্বারা বেষ্টিত ভূপৃষ্ঠের সংকীর্ণ, অবনমিত ও অগভীর সমুদ্রখাত হল মহীখাত। অর্থাৎ, ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এখন যেসব জায়গায় ভঙ্গিল পর্বতগুলো অবস্থান করছে, অতি প্রাচীনকালে সেখানে ছিল বিস্তীর্ণ অবনত অঞ্চল— ভূতাত্ত্বিকগণের ভাষায় যার নাম মহীখাত বা অগভীর সমুদ্র।