ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
জিনতত্ত্ব ও বিবর্তন
প্রশ্ন:১
ক্রো-ম্যাগনন মানুষ কাদের বলে ?
উত্তর:
প্রায় 30,000 বছর আগে নিয়ানডারথাল মানুষের পরে, ক্রোম্যাগনন মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল। আধুনিক মানুষ ক্রোম্যাগনন মানুষেরই সমতুল্য।
প্রশ্ন:২
সাবস্ট্যানটিভ ভেরিয়েশন কাকে বলে ?
উত্তর:
গুণগত মানের ভিত্তিতে যে সকল চরিত্র বিচার্য হয় তাদের বলে সাবস্ট্যানটিভ চরিত্র। যখন এমন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়, তখন তাকে সাবস্ট্যানটিভ ভেরিয়েশন বলে।
প্রশ্ন:৩
মেরিস্টিক ভেরিয়েশন কাকে বলে ?
উত্তর:
সংখ্যার ভিত্তিতে যখন দেহের কোনাে অংশ বা অঙ্গ-চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত হয় তখন তাকে মেরিস্টিক চরিত্র বলা হয়। এমন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বিভেদ দেখা দিলে তাকে মেরিস্টিক ভেরিয়েশন বলে।
প্রশ্ন:৪
ডুপ্লিকেশন কী ?
উত্তর:
ক্রোমােজোমে কোনাে অংশ দুই বা তার থেকে বেশি উপস্থিত থাকলে ক্রোমােজোমে যে পরিবর্তন সংঘটিত হয় তাকে ডুপ্লিকেশন বলে। এই ধরণের মিউটেশনের ফলে ক্রোমােজোম দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় এবং জিনেরও পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন:৫
প্রাকৃতিক নির্বাচন কত রকমের হয় ?
উত্তর:
প্রাকৃতিক নির্বাচন তিন রকমের, যথা—(i) স্টেবিলাইজিং সিলেকশন, (ii) ডাইরেকশনাল সিলেকশন এবং (iii) ডিসরাপটিভ সিলেকশন।
প্রশ্ন:৬
ট্রান্সভারশন কাকে বলে ?
উত্তর:
একটি পিউরিন যদি একটি পিরিমিডিন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় বা একটি পিরিমিডিন একটি পিউরিন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় তখন তাকে ট্রান্সভারশন বলে।
প্রশ্ন:৭
সােমাটোজেনিক ও ব্লাস্টোজেনিক ভেরিয়েশনের পার্থক্য লেখাে।
উত্তর:
সােমাটোজেনিক ভেরিয়েশন—
(i) দেহকোশে সীমাবদ্ধ।
(ii) জীবদশায় দেহগঠনের কোশে জেগে ওঠে।
(iii) সাধারণত পরিবেশের প্রভাবে জাগ্রত হয়।
ব্লাস্টোজেনিক ভেরিয়েশন—
(i) জার্মকোশে সীমাবদ্ধ।
(ii) গ্যামেট তৈরি হওয়ার সময়ে গ্যামেটের মধ্যে আসে।
(iii) সাধারণত মিউটেশন বা রিকম্বিনেশনের ফলে আবির্ভূত হয়।
প্রশ্ন:৮
ট্রানজিশন কাকে বলে ?
উত্তর:
পিরিমিডিন বেস (T, C) অপর পিরিমিডিন দিয়ে, আবার পিউরিন বেস (A, G) অপর পিউরিন বেস দিয়ে প্রতিস্থাপনকে বলে ট্রানজিশন।
প্রশ্ন:৯
বনমানুষ ও মানুষের মধ্যে কী পার্থক্য দেখা যায় ?
উত্তর:
বনমানুষের পা-হাতের তুলনায় ছােটো, তাই তারা চার পায়ে দৌড়ায়। মানুষের পা-হাতের তুলনায় বড়ো, তাই তারা দু-পায়ে দৌড়ােতে পারে।
প্রশ্ন:১০
আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষদের নাম কী ?
উত্তর:
আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষদের যে পরিচয় পাওয়া যায়, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তাদের নাম হল–ড্রায়ােপিথেকাস→রামাপিথেকাস→অস্ট্রালােপিথেকাস→পিথেক্যানথ্রোপাস→নিয়ানডারথাল→ক্রোম্যাগনন→মানুষ।
Comments
Post a Comment