Skip to main content

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ১. উদ্ভিদের চলন (Plant Movement)           উদ্ভিদ সাধারণত এক জায়গায় স্থির থাকে, তবে উদ্দীপকের প্রভাবে বা জৈবিক প্রয়োজনে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালিত হয়। একেই চলন বলে। চলন ও গমন: চলনে প্রাণীর মতো সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না (ব্যতিক্রম: ক্ল্যামাইডোমোনাস, ভলবক্স)। গমনে সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান: তিনি প্রমাণ করেন উদ্ভিদের প্রাণ আছে এবং তারা উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। তার আবিষ্কৃত যন্ত্র হলো— ক্রেসকোগ্রাফ (Crescograph) ।

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - গুরুত্বপূর্ণ তথ্য


১. উদ্ভিদের চলন (Plant Movement)

          উদ্ভিদ সাধারণত এক জায়গায় স্থির থাকে, তবে উদ্দীপকের প্রভাবে বা জৈবিক প্রয়োজনে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালিত হয়। একেই চলন বলে।

  • চলন ও গমন: চলনে প্রাণীর মতো সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না (ব্যতিক্রম: ক্ল্যামাইডোমোনাস, ভলবক্স)। গমনে সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়।

  • আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান: তিনি প্রমাণ করেন উদ্ভিদের প্রাণ আছে এবং তারা উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। তার আবিষ্কৃত যন্ত্র হলো— ক্রেসকোগ্রাফ (Crescograph)

২. চলনের প্রকারভেদ (Types of Movement)

          উদ্ভিদের চলন মূলত তিন প্রকার: ট্যাকটিক, ট্রপিক এবং ন্যাস্টিক চলন।

ক. ট্যাকটিক চলন (Tactic Movement)

উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হওয়াকে ট্যাকটিক চলন বলে।

  • ফটোট্যাকটিক চলন: আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে ঘটে (যেমন: শৈবাল)।

খ. ট্রপিক চলন (Tropic Movement)

উদ্দীপকের উৎসের গতিপথ অনুসারে উদ্ভিদের অঙ্গের চলন। একে দিকনির্ণীত চলনও বলে।

  1. ফটোট্রপিক (আলোকবৃত্তি): আলোর দিকে চলন (যেমন: উদ্ভিদের বিটপ)।

    2. হাইড্রোট্রপিক (জলবৃত্তি): জলের উৎসের দিকে চলন (যেমন: উদ্ভিদের মূল)।

    3. জিওট্রপিক (অভিকর্ষবৃত্তি): পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের দিকে চলন (যেমন: উদ্ভিদের মূল অভিকর্ষের অনুকূলে যায়)।

গ. ন্যাস্টিক চলন (Nastic Movement)

উদ্দীপকের তীব্রতা অনুযায়ী উদ্ভিদের চলন। এতে গতিপথের কোনো ভূমিকা নেই।

  1. ফটোন্যাস্টিক: আলোর তীব্রতায় ঘটে (যেমন: সূর্যমুখী ফুল আলোতে ফোটে, পদ্ম ফুল)।

  2. থার্মোন্যাস্টিক: উষ্ণতার তীব্রতায় ঘটে (যেমন: টিউলিপ ফুল বেশি গরমে ফোটে)।

  3. সিসমোন্যাস্টিক: স্পর্শ বা ঘর্ষণের ফলে ঘটে (যেমন: লজ্জাবতী গাছের পাতা ছোঁয়া মাত্রই বুজে যায়)।

    4. কেমোন্যাস্টিক: রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে ঘটে (যেমন: সূর্যশিশির উদ্ভিদের কর্ষিকা পতঙ্গের সংস্পর্শে বাঁকিয়ে যায়)।


৩. ট্যাকটিক, ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলনের পার্থক্য

বৈশিষ্ট্যট্যাকটিক চলনট্রপিক চলনন্যাস্টিক চলন
স্থান পরিবর্তনসামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়।সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না।সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না।
প্রভাবতীব্রতা ও গতিপথ উভয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
অক্সিন হরমোনঅক্সিনের কোনো ভূমিকা নেই।হরমোন (অক্সিন) দ্বারা প্রভাবিত হয়।হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
চলনের প্রকৃতিএটি সামগ্রিক চলন।এটি এক প্রকার বক্র চলন।এটি এক প্রকার বক্র চলন।

৪. বিশেষ কিছু উদাহরণ

  • বনচাঁড়াল (Desmodium): এর তিনটি পত্রকের পাশের দুটি পত্রক পর্যায়ক্রমে ওঠানামা করে, একে প্রকরণ চলন (Movement of variation) বলে।

  • লজ্জাবতী: এর চলন ঘটে রসস্ফীতি (Turgor pressure) জনিত চাপের পরিবর্তনের কারণে।


Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল      ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ভারতবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করার জন্যই।  জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (১) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন— উদ্দেশ্য ঘোষণা—বোম্বাইয়ের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজ হল জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি., ২৮ ডিসেম্বর) সভাপতির ভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে চারটি মূল উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এগুলি হল—   (i) ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্রে ভরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের দেশপ্রেমীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও একাত্মতা গড়ে তোলা, (ii) সম্প্রীতির দ্বারা জাতি, ধর্ম, প্রাদেশিকতার তুচ্ছ সংকীর্ণতা দূর করে জাতীয় সংহতির পথ প্রশস্ত করা, (iii) শিক্ষিতদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করে সামাজিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ণয় করা, (iv) ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

রামমোহন রায়কে কেন ‘ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ’ মনে করা হয় ?

ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রাজা রামমোহন রায়ই প্রথম আধুনিক যুক্তিবাদী মনন ও ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠন ও সংস্কারমুক্ত ধর্মপ্রচারের কথা বলেন। এ ছাড়া পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি তাঁর সমর্থন ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর রাজনৈতিক বিচার–বিশ্লেষণ তাঁকে ‘প্রথম আধুনিক মানুষ’ অভিধায় ভূষিত করেছে। এ প্রসঙ্গে রামমোহন রায়ের মৃত্যুশতবর্ষে (১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক ইংরেজি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, “রামমোহন তাঁর আমলের বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যে ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সম্পূর্ণরূপে আধুনিক যুগের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন”।  রামমোহন রায়–ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ    (১) সমাজসংস্কারের প্রথম উদ্যোগের জন্য—  ‘সতীদাহ’ প্রথা রোধের লক্ষ্যে রামমোহন রায় সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর সংবলিত এক আবেদনপত্র বড়োলাট উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে পাঠান। বেন্টিঙ্ক রামমোহনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১৭ নং রেগুলেশন (Regulation–XVII) জারি করে সতীদাহ প্রথা রদ করেন। এ ছাড়াও তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলীন্য প্রথা, জাতিভেদ প্রথা, কন্যাপণ, গঙ্গাসাগ...

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। ...

দশম শ্রেণী-ভৌতবিজ্ঞান-পরিবেশের জন্য ভাবনা-ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ-বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন

বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1) UNIT 1. পরিবেশের জন্য ভাবনা 1.1  ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ Q1. গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোন্ গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি? (মাধ্যমিক ২০১৮) (a) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (b) CH4 (মিথেন) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) H₂O বাম্প। Q 2. প্রদত্ত কোনটি ওজোন স্তরকে ক্ষয় করে না?  (মাধ্যমিক ২০২০) (a) NO (নাইট্রোজেন মনোক্সাইড) (b) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন)

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কী ?

          বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–৯৪ খ্রি.) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অগ্রণী ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল স্বদেশ ও দেশপ্রেম। বঙ্কিমচন্দ্রের সৃষ্টি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁর ‘বন্দেমাতরম্’–মন্ত্র ছিল বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র। অরবিন্দ ঘোষ তাই বঙ্কিমকে ‘জাতীয়তাবোধের ঋত্বিক’ বলেছেন।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিরস্মরণীয় কিছু উক্তি

          বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। অগ্নিবীণা হাতে তার প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তার প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি"