দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - সত্য মিথ্যা
নিচের বাক্যগুলি সত্য অথবা মিথ্যা নিরুপন করো :
বিভাগ ১: সাধারণ ধারণা ও বিজ্ঞানীর অবদান
১. উদ্দীপক প্রয়োগে জীবদেহের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতাকে সংবেদনশীলতা বলে। (সত্য)
২. উদ্ভিদের গমনে সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না। (মিথ্যা - গমনে স্থান পরিবর্তন হয়)
৩. বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু প্রমাণ করেন যে উদ্ভিদের প্রাণ আছে। (সত্য)
৪. ক্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদের চলন পরিমাপ করা হয়। (সত্য)
৫. প্রাণীদের মতো উদ্ভিদেরও উন্নত স্নায়ুতন্ত্র থাকে। (মিথ্যা - উদ্ভিদের স্নায়ুতন্ত্র নেই)
৬. প্রোটোপ্লাজমের রোটেশন বা সারকুলেশন চলন পাতাশ্যাওলার কোশে দেখা যায়। (সত্য)
বিভাগ ২: ট্যাকটিক চলন (Tactic Movement)
৭. ট্যাকটিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়। (সত্য)
৮. ফটোট্যাকটিক চলন কেবল আলোর তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। (মিথ্যা - তীব্রতা ও গতিপথ উভয়ের ওপর নির্ভর করে)
৯. ক্ল্যামাইডোমোনাস নামক শৈবালে ট্যাকটিক চলন দেখা যায়। (সত্য)
১০. ট্যাকটিক চলন এক প্রকার বক্র চলন। (মিথ্যা - এটি সামগ্রিক চলন)
১১. ট্যাকটিক চলন অক্সিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (মিথ্যা)
বিভাগ ৩: ট্রপিক চলন (Tropic Movement)
১২. উদ্দীপকের উৎসের গতিপথ অনুসারে ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রিত হয়। (সত্য)
১৩. উদ্ভিদের বিটপ অংশ প্রতিকূল আলোকবর্তী চলন দেখায়। (মিথ্যা - অনুকূল আলোকবর্তী)
১৪. উদ্ভিদের মূল হলো অনুকূল অভিকর্ষবর্তী। (সত্য)
১৫. সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল অনুকূল জিওট্রপিক চলন দেখায়। (মিথ্যা - প্রতিকূল জিওট্রপিক)
১৬. ট্রপিক চলন অক্সিন হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়। (সত্য)
১৭. মূল সর্বদা আলোর উৎসের বিপরীত দিকে যায়, তাই মূল প্রতিকূল আলোকবর্তী। (সত্য)
১৮. ট্রপিক চলনকে দিকনির্ণীত চলনও বলা হয়। (সত্য)
১৯. কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখা আলোক রশ্মির সঙ্গে সমান্তরালভাবে বৃদ্ধি পায়। (সত্য)
২০. মূল অভিকর্ষের বিপরীতে চললে তাকে পজিটিভ জিওট্রপিক বলে। (মিথ্যা - এটি নেগেটিভ জিওট্রপিক)
বিভাগ ৪: ন্যাস্টিক চলন (Nastic Movement)
২১. ন্যাস্টিক চলন উদ্দীপকের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। (সত্য)
২২. ন্যাস্টিক চলনে উদ্দীপকের গতিপথের কোনো ভূমিকা নেই। (সত্য)
২৩. লজ্জাবতী লতার পাতা স্পর্শ করলে বুজে যাওয়া একটি থার্মোন্যাস্টিক চলন। (মিথ্যা - এটি সিসমোন্যাস্টিক)
২৪. সূর্যমুখী ফুল আলোতে ফোটে এটি ফটোন্যাস্টিক চলন। (সত্য)
২৫. টিউলিপ ফুল বেশি উষ্ণতায় ফোটে এটি থার্মোন্যাস্টিক চলন। (সত্য)
২৬. ন্যাস্টিক চলন অক্সিন হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয় না। (সত্য)
২৭. সূর্যশিশির উদ্ভিদে কেমোন্যাস্টিক চলন দেখা যায়। (সত্য)
২৮. পদ্ম ফুল কম আলোয় মুদে যায় এটি একটি থার্মোন্যাস্টিক চলন। (মিথ্যা - এটি ফটোন্যাস্টিক)
২৯. সিসমোন্যাস্টিক চলন রসস্ফীতি চাপের পরিবর্তনের ফলে ঘটে। (সত্য)
বিভাগ ৫: বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণমূলক প্রশ্ন
৩০. বনচাঁড়ালের প্রকরণ চলন এক প্রকার ট্যাকটিক চলন। (মিথ্যা - এটি এক প্রকার স্বতঃস্ফূর্ত বক্র চলন)
৩১. ট্যাকটিক, ট্রপিক ও ন্যাস্টিক—তিনটিই উদ্দীপকের প্রভাবে ঘটে। (সত্য)
৩২. বনচাঁড়ালের পাশের দুটি পত্রক পর্যায়ক্রমে ওঠানামা করে। (সত্য)
৩৩. লজ্জাবতীর পত্রমূলের স্ফীত অংশকে পালভিনাস বলে। (সত্য)
৩৪. ফটোট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি আলোর উৎসের দিকে হয়। (সত্য)
৩৫. হাইড্রোট্রপিক চলন অভিকর্ষ বলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (মিথ্যা - এটি জলের উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত)
৩৬. উদ্ভিদের চলন প্রধানত ৩ প্রকার। (সত্য)
৩৭. ডায়াটম নামক শৈবালে সিলিয়া সঞ্চালনের মাধ্যমে স্থান পরিবর্তন ঘটে। (সত্য)
৩৮. ন্যাস্টিক চলন এক প্রকার সামগ্রিক চলন। (মিথ্যা - এটি বক্র চলন)
৩৯. কুমড়ো গাছের কাণ্ডের রোমে সারকুলেশন গতি দেখা যায়। (সত্য)
৪০. উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা প্রমাণে জগদীশচন্দ্র বসু 'ইলেকট্রিক প্রোব' ব্যবহার করেছিলেন। (সত্য)

Comments
Post a Comment