ভারতবর্ষের ওপর হিমালয়ের প্রভাব ঐতিহাসিক K.M. Panikkar তাঁর A Survey of Indian History গ্রন্থে বলেছেন, মিশরীয় সভ্যতাকে যদি 'নীলনদের দান' বলা যেতে পারে, তবে ভারতীয় সভ্যতাকে অবশ্যই 'হিমালয়ের দান' বলা যেতে পারে। ভূগোলবিদ টলেমি হিমালয়কে 'ইমায়োস' বলে উল্লেখ করে বলেন যে, হিমালয় ভারতের উত্তরে বিশাল উঁচু প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থেকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। যেমন-
নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য
| Sl. No. | নদী উপত্যকা | হিমবাহ উপত্যকা |
|---|---|---|
| 1 | মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। | কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। |
| 2 | পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। | হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। |
| 3 | পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। | বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। |
| 4 | নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। | হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। |
| 5 | সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। | হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। |
| 6 | নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। | হিমবাহের সঞ্চয় কাজের ফলে হিমবাহ উপত্যকায় গ্রাবরেখা, ড্রামলিন, টিলা, কেম প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। |
| 7 | নদী উপত্যকা অমসৃণ প্রকৃতির হয়। | হিমবাহ উপত্যকা মসৃণ প্রকৃতির হয়। |
| 8 | নদী উপত্যকায় ক্ষয় কাজের ফলে সৃষ্ট পাথরখণ্ডগুলির আকৃতি গোলাকার ও মসৃণ হয়। | হিমবাহ উপত্যকায় ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট পাথরখণ্ডগুলির কোনো নির্দিষ্ট আকার থাকে না এবং আকৃতিতে এরা এবড়োখেবড়ো হয়। |
| 9 | নদী উপত্যকার পার্শ্ববর্তী স্থান কৃষি, শিল্প ও পরিবহণ ব্যবস্থায় উন্নত হয়। | হিমবাহ উপত্যকার পার্শ্ববর্তী স্থান কৃষি, শিল্প ও পরিবহণ ব্যবস্থায় উন্নত নয়। |
Comments
Post a Comment