Skip to main content

Posts

Showing posts with the label ইতিহাস সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

[SAQ]ভারত ইতিহাসের ভৌগলিক উপাদান ও তার প্রভাব, সেট–২

ভারত ইতিহাসের ভৌগলিক উপাদান ও তার প্রভাব প্রশ্ন:১ ভারতবর্ষকে ‘হিমালয়ের দান’ বলা হয় কেন ? উত্তর:  ভারতবর্ষকে হিমালয়ের দান বলার কারণ—  (i) যুগ যুগ ধরে হিমালয় পর্বতমালা বিদেশি আক্রমণ থেকে ভারতবর্ষকে রক্ষা করেছে।  (ii) হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মৌসুমি বায়ু বৃষ্টিরূপে ভারতকে সুজলা-সুফলা শস্যশ্যামলা করেছে।  (iii) হিমালয়ের বুকে গড়ে ওঠা পর্যটনকেন্দ্র ও বাগিচা ক্ষেত্রগুলি ভারতের আর্থিক সমৃদ্ধি এনেছে। প্রশ্ন:২ প্রাচীন ভারত-ইতিহাস রচনার উপাদানগুলিকে প্রধানত কটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে ? ভাগগুলির নাম লেখো। উত্তর:  প্রাচীন ভারত-ইতিহাস রচনার উপাদানগুলিকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ভাগদুটি হল— (i) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান যথ— শিলালিপি, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য, সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ এবং  (ii) সাহিত্য-উপাদান যথা— (a) দেশজ সাহিত্য—ধর্মশাস্ত্র, বৈদিক সাহিত্য, মহাকাব্য, জীবনচরিত, বৌদ্ধ সাহিত্য ইত্যাদি। (b) বিদেশি পর্যটকদের বিবরণ—গ্রিক-রোমান পর্যটকদের বিবরণ, চৈনিক পর্যটকদের বিবরণ, অন্যান্য ঐতিহাসিকদের বিবরণ।

[SAQ]ভারত ইতিহাসের ভৌগলিক উপাদান ও তার প্রভাব, সেট–১

ভারত ইতিহাসের ভৌগলিক উপাদান ও তার প্রভাব প্রশ্ন:১ ফা-হিয়েন কে ছিলেন ? উত্তর:  ফা-হিয়েন ছিলেন একজন চৈনিক পরিব্রাজক। তিনি গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে ভারতে আসেন। তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম ফো-কুয়ো-কিং। প্রশ্ন:২ ‘রামচরিত’ কে রচনা করেন ? ‘রামচরিত মানস’ কার রচনা ? উত্তর:  রামপালের সভাকবি সন্ধ্যাকর নন্দী ‘রামচরিত’ রচনা করেন। ‘রামচরিত মানস’–কবি তুলসিদাসের রচনা। প্রশ্ন:৩ ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী প্রাচীন কালে ভারতের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল ও যমুনা থেকে ব্রহ্মপুত্রের সমভূমি অংশের যে নামকরণ করা হয়েছিল তা উল্লেখ করো। উত্তর:  উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের প্রাচীন নাম—পর্বত-শ্রয়িন। যমুনা থেকে ব্রহ্মপুত্রের সমভূমি অঞ্চলের প্রাচীন নাম—মধ্যদেশ।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা, ঠান্ডা লড়াই ও মুক্তি আন্দোলন, সেট-৪

জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা, ঠান্ডা লড়াই ও মুক্তি আন্দোলন প্রশ্ন:১ ইন্দোনেশিয়া মূলত কোন্ রাষ্ট্রের উপনিবেশ ছিল ? কবে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে ? উত্তর: ইন্দোনেশিয়া মূলত নেদারল্যান্ডস্-এর উপনিবেশ ছিল। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। প্রশ্ন:২ কোন্ কোন্ অঞ্চল নিয়ে ইন্দোচিন গঠিত ছিল ? উত্তর:  লাওস, কম্বােডিয়া, আন্নাম, কোচিন-চিন ও টংকিং—এই পাঁচটি অঞ্চল নিয়ে ইন্দোচিন গঠিত ছিল।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা, ঠান্ডা লড়াই ও মুক্তি আন্দোলন, সেট-৩

জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা, ঠান্ডা লড়াই ও মুক্তি আন্দোলন প্রশ্ন:১ তাসখন্দ চুক্তি কী ? উত্তর:  ভারত-পাক বিরােধে শান্তিপূর্ণ মীমাংসার লক্ষ্যে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি রুশ প্রধানমন্ত্রী কোসিগিনের উপস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আয়ুব খান তাসখন্দে এক চুক্তি সম্পাদিত করেন। প্রশ্ন:২ মার্শাল পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কী ? উত্তর:  মার্শাল পরিকল্পনার দুটি মূল উদ্দেশ্য হল—  (১) যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরােপের দেশগুলিকে অর্থসাহায্য দিয়ে তাদেরকে সােভিয়েত প্রভাব থেকে মুক্ত করা। (২) মার্কিন অর্থ সাহায্যগ্রহণকারী দেশগুলিকে মার্কিন রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের বিদেশ নীতি নির্ধারণে আধিপত্য কায়েম করা।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা, ঠান্ডা লড়াই ও মুক্তি আন্দোলন, সেট-২

জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা, ঠান্ডা লড়াই ও মুক্তি আন্দোলন প্রশ্ন:১ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য কারা ? উত্তর:  নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য-রাষ্ট্র পাঁচটি। এই দেশগুলি হল—আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন। প্রশ্ন:২ ‘ঠান্ডা লড়াই’ বলতে কী বােঝ ? উত্তর:  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে পুঁজিবাদী আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও সাম্যবাদী সােভিয়েত রাশিয়া যে আদর্শগত সংঘাতে লিপ্ত হয় তা ‘ঠান্ডা লড়াই’ নামে পরিচিত।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা, ঠান্ডা লড়াই ও মুক্তি আন্দোলন, সেট-১

জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা, ঠান্ডা লড়াই ও মুক্তি আন্দোলন প্রশ্ন:১ বান্দুং সম্মেলনের গুরুত্ব কী ? উত্তর:  ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮-২৬ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং শহরে এশিয়া ও আফ্রিকার ২৬ টি দেশ মিলিত হয়। এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। প্রশ্ন:২ দক্ষিণ রােডেসিয়ায় কার নেতৃত্বে জাতীয় আন্দোলন পরিচালিত হয় ? এটি কবে স্বাধীনতা লাভ করে ? উত্তর:  দক্ষিণ রােডেসিয়ায় মুগাবের নেতৃত্বে জাতীয় আন্দোলন পরিচালিত হয়। এটি ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা লাভ করে।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।স্বাধীন ভারতের সংবিধান এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ, সেট-৩

স্বাধীন ভারতের সংবিধান এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ প্রশ্ন:১ সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে কী বলা হয়েছে ? উত্তর:  সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বলা হয়েছে। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ৪২ তম সংবিধান সংশােধনে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি যুক্ত হয়েছে। প্রশ্ন:২ সংসদীয় গণতন্ত্রের সাফল্যের দুটি শর্ত উল্লেখ করাে।  উত্তর:  সংসদীয় গণতন্ত্রের সাফল্যের দুটি শর্ত হল—  (১) একক বা জোটবদ্ধ শাসক দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ।  (২) শক্তিশালী বিরােধী দলের অস্তিত্ব।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।স্বাধীন ভারতের সংবিধান এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ, সেট-২

স্বাধীন ভারতের সংবিধান এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ প্রশ্ন:১ ভারতের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে নিয়ােজিত হন ? উত্তর:  ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ (১ নং) ধারা অনুযায়ী লােকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা মাের্চার নেতা বা নেত্রীকেই রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পদে নিয়ােগ করে থাকেন। কিন্তু লােকসভায় কোনাে দল বা মাের্চা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে রাষ্ট্রপতি নিজ মনােনীত ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করতে পারেন। তবে ওই ব্যক্তির পক্ষে লােকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন থাকতে হবে। প্রশ্ন:২ আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের ভূমিকা কী ? উত্তর:  আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের ভূমিকা মূলত দুটি। যেমন—  (১) স্বেচ্ছামূলক–বিবদমান পক্ষের সম্মতিতে উত্থাপিত সকল মামলার বিচার। (২) এক্তিয়ারভুক্ত–(i) কোনাে সন্ধি বা চুক্তির ব্যাখ্যা,                               (ii) আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ক প্রশ্ন,                              (iii) আন্তর্জাতিক দায়দায়িত্ব লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ...

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।স্বাধীন ভারতের সংবিধান এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ, সেট-১

স্বাধীন ভারতের সংবিধান এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ প্রশ্ন:১ ইমপিচমেন্ট কী ? উত্তর: ভারতীয় সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধে রাষ্ট্রপতিকে তার মেয়াদ (৫ বছর) শেষ হওয়ার আগেই অপসারণ করা হয় যে পদ্ধতিতে তাকে ইমপিচমেন্ট বলে। এক্ষেত্রে সংসদের উভয় কক্ষের মােট সদস্য সংখ্যার কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশের লিখিত সম্মতি ও অনুমােদন দরকার। প্রশ্ন:২ ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী দেশের শাসনব্যবস্থা এবং আইনসভার মধ্যে মতবিরােধ দেখা গেলে তাকে কীভাবে মীমাংসা করা হয় ? উত্তর:  ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী দেশের শাসনব্যবস্থা এবং আইনসভার মধ্যে মতবিরােধ দেখা গেলে তার মীমাংসা করে থাকে সুপ্রিমকোর্ট। সুপ্রিমকোর্ট সংবিধানের ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে এই মীমাংসা করে থাকে।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন, সেট-৫

বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন প্রশ্ন:১ সুভাষচন্দ্র বসু এবং মানবেন্দ্রনাথ রায় (এম.এন.রায়) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পার্টি দুটির নাম কী ? উত্তর:  সুভাষচন্দ্র বসু প্রতিষ্ঠিত দলের নাম (১৯৩৯ খ্রি. ৩ মে) ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’| মানবেন্দ্রনাথ রায় (এম.এন.রায়) (১৯৪০ খ্রি.) প্রতিষ্ঠিত দলের নাম ‘র‍্যাডিক্যাল ডেমােক্রেটিক পার্টি '। প্রশ্ন:২ আজাদ হিন্দ ফৌজের মহিলা বাহিনীর নাম কী ছিল ? তার নেত্রী কে ছিলেন ? উত্তর:  আজাদ হিন্দ ফৌজের মহিলা বাহিনীর নাম ছিল ঝাঁসির রানি ব্রিগেড। এর নেত্রী ছিলেন শ্রীমতী লক্ষ্মী স্বামীনাথন।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন, সেট-৪

বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন প্রশ্ন:১ মাস্টারদা কাকে বলা হত ? তিনি স্মরণীয় কেন ? উত্তর:  বিপ্লবী সূর্য সেনকে মাস্টারদা বলা হত। তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রশ্ন:২ সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা (১৯৩২ খ্রি.) কী ? উত্তর:  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডােনাল্ড ভারতবাসীর ঐক্যে ভাঙন ধরানাের জন্য ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘােষণা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় আন্দোলনকে দুর্বল করা। এই নীতিতে হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলিম, শিখ, অ্যাংলাে ইন্ডিয়ান প্রভৃতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে যেমন আলাদা নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়, তেমনি অনুন্নত হিন্দুদেরও পৃথক জাতি হিসেবে ঘােষণা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐক্যে ভাঙন ধরানাের চেষ্টা করা হয়। এক কথায় এই ঘােষণায় সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি জটিল হয়।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন, সেট-৩

বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন প্রশ্ন:১ ভারত কবে স্বাধীনতা লাভ করে ? স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম কী ? উত্তর:  ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। প্রশ্ন:২ ভগৎ সিং -কে মনে রাখা হয় কেন ? উত্তর:  ভগৎ সিং ব্রিটিশবিরােধী বিপ্লবী আন্দোলনে শামিল হয়ে দিল্লির কেন্দ্রীয় আইনসভায় বােমা নিক্ষেপ করে সাহসিকতার পরিচয় দেন। লাহাের ষড়যন্ত্র মামলার (১৯২৯ খ্রি.) রায়ে তার ফাঁসি হয় (১৯৩১ খ্রি.)। ভগৎ সিং এই আত্মত্যাগের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন, সেট-২

বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন প্রশ্ন:১ ১৯৩৯ সালে বিভিন্ন প্রদেশে কংগ্রেসি মন্ত্রীসভাগুলি ইস্তফা দেয় কেন ? উত্তর:  মহম্মদ আলি জিন্না দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে অনড় থাকলে লিগ ও কংগ্রেসের মধ্যে মতভেদ চরমে পৌঁছােয়। এই পরিস্থিতিতে ভারত-সচিব জেটল্যান্ড ঘােষণা করেন ভারতে সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধান হলে তবেই সাংবিধানিক সংস্কারসাধন সম্ভব। এই ঘােষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে কংগ্রেস কার্যকরী সমিতির নির্দেশ মেনে প্রাদেশিক সরকারগুলি থেকে কংগ্রেসি মন্ত্রীসভাগুলি ইস্তফা দেয়। প্রশ্ন:২ কংগ্রেসের হরিপুরা অধিবেশনের গুরুত্ব কী ? উত্তর:  ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের হরিপুরা অধিবেশনে দক্ষিণপন্থীদের বিরােধিতা সত্ত্বেও সুভাষচন্দ্র জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদে নিযুক্ত হন। সুভাষের জয় বামপন্থীদের জয়কে সূচিত করে।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন, সেট-১

বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন প্রশ্ন:১ মুসলিম লিগের লাহাের প্রস্তাব (১৯৪০ খ্রি.) সম্পর্কে কী জানো ? উত্তর:  লাহােরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লিগের অধিবেশনে বাংলার প্রধানমন্ত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলিকে নিয়ে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দাবি তােলেন। এটি ‘লাহাের প্রস্তাব’ বা ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ নামে পরিচিত। প্রশ্ন:২ দ্বিজাতিতত্ত্ব বলতে কী বােঝ ? উত্তর:  হিন্দু ও মুসলমান দুটি পৃথক জাতি —এই তত্ত্বকে দ্বিজাতিতত্ত্ব বলা হয়। এই তত্ত্বের প্রবর্তক স্যার সৈয়দ আহমদ খান। মহম্মদ আলি জিন্না এই তত্ত্বের ব্যাপক প্রচার করেন, যার পরিণতিস্বরূপ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।নাতসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সেট-৩

নাতসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রশ্ন:১ মুসােলিনি তাঁর সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করার জন্য কী কী সামরিক অভিযান চালিয়েছিলেন ? উত্তর:  মুসােলিনি তাঁর সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করার জন্য একাধিক সামরিক অভিযান চালিয়েছিলেন। যেমন—গ্রিসের করফু দ্বীপ দখলের অভিযান, আবিসিনিয়া অভিযান, আলবানিয়া অভিযান ইত্যাদি। প্রশ্ন:২ ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২ সেপ্টেম্বর, জাপান মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল কেন ? উত্তর:  জাপানের হিরােশিমা ও নাগাসাকিতে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু বােমার বিস্ফোরণ ঘটালে জাপানের বিদেশমন্ত্রী সিগেসিৎসু মার্কিন সেনাপতি ম্যাক আর্থারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।নাতসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সেট-২

নাতসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রশ্ন:১ নাতসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের মধ্যে মিল কোথায় ? উত্তর:  জার্মানির নাতসিবাদ ও ইতালির ফ্যাসিবাদ ছিল গণতন্ত্র বিরােধী এবং একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী। উভয় মতবাদই উগ্র জাতীয়তাবাদ ও রাষ্ট্রের চূড়ান্ত ক্ষমতায় বিশ্বাস করত। প্রশ্ন:২ রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ? কে কে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ? উত্তর:  ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্ট্যালিন এবং জার্মানির হিটলার ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।।নাতসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সেট-১

নাতসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রশ্ন:১ হিটলার কোন কোন সংগঠনের মাধ্যমে সকল বিরােধিতা দমন করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন ? উত্তর:  হিটলার নাতসিদলের বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। যথা—  (১) স্টর্ম ট্রুপার্স (আধাসামরিক ঝটিকা বাহিনী),  (২) এলিট গার্ডস, ( ৩) গেস্টাপাে (গুপ্ত পুলিশবাহিনী)। প্রশ্ন:২ ভাইমার প্রজাতন্ত্র কী ? উত্তর:  জার্মানির সমাজতান্ত্রিক নেতা ফ্রেডারিক ইবার্টের নেতৃত্বে সােশ্যালিস্ট রিপাবলিকান দল সাময়িকভাবে এক প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে। বার্লিনের কাছাকাছি ভাইমার শহরে এই সরকারের কর্মকেন্দ্র স্থাপিত হওয়ায় এই প্রজাতান্ত্রিক সরকার ‘ভাইমার প্রজাতন্ত্র’ নামে পরিচিত হয়।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।। সাম্রাজ্যবাদ—প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, সেট-৪

সাম্রাজ্যবাদ—প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন প্রশ্ন:১ নেহরু রিপাের্ট কী ?  উত্তর:  ভারত-সচিব বার্কেনহেড ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন সংবিধান রচনা করার যােগ্যতা ভারতীয়দের নেই। তার প্রত্যুত্তরে মতিলাল নেহরুর নেতৃত্বে এক সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। লক্ষৌ অধিবেশনে মতিলাল সংবিধানের যে খসড়া পেশ করেন তা নেহরু রিপাের্ট নামে পরিচিত। প্রশ্ন:২ গান্ধিজির সত্যাগ্রহের মূল আদর্শ কী ছিল ? উত্তর:  গান্ধিজির সত্যাগ্রহের মূল আদর্শ হল—  (১) সত্যের প্রতি একান্ত অনুরাগ,  (২) অহিংস উপায়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তােলা এবং প্রতিপক্ষের হৃদয় জয় করা। গান্ধিজি মনে করতেন, এটি একটি নৈতিক শক্তি, যা সহজেই শত্রুকে জয় করতে পারে।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।। সাম্রাজ্যবাদ—প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, সেট-৩

সাম্রাজ্যবাদ—প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন প্রশ্ন:১ কবে ‘গান্ধি-আরউইন চুক্তি’ ও ‘পুনা চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয় ? উত্তর:  ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ গান্ধি-আরউইন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ সেপ্টেম্বর পুনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রশ্ন:২ ‘চোদ্দো দফা শর্ত’ কে কবে প্রচার করেন ? উত্তর:  আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে ‘চোদ্দো দফা শর্ত’ প্রচার করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এই ঘােষণা করেছিলেন।

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।। সাম্রাজ্যবাদ—প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, সেট-২

সাম্রাজ্যবাদ—প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন প্রশ্ন:১ ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি দিনটি স্মরণীয় কেন ? উত্তর:  ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের লাহাের কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। এরপর থেকে স্বাধীনতা লাভের পূর্ব পর্যন্ত প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হত। প্রশ্ন:২ গান্ধিজি কবে ডান্ডি অভিযান শুরু করেছিলেন ? গান্ধিজি কীভাবে আইন-অমান্য করেন ? উত্তর:  ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ সবরমতী আশ্রম থেকে গান্ধিজির নেতৃত্বে ডান্ডি অভিযান শুরু হয়েছিল। গান্ধিজি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল ডান্ডির সমুদ্রতীরে পৌঁছে সমুদ্রের জল থেকে লবণ তৈরি করে আইন-অমান্য করেন।