Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০০টি বিখ্যাত লাইন

 বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০০টি বিখ্যাত লাইন  ১. "অরণ্য এক বিশাল, স্থির, অতলস্পর্শী নির্জনতা।"  ২. "এই নিস্তব্ধতা বড় গভীর, বড় মধুর।"  ৩. "প্রকৃতির রূপ ও রসের ভান্ডার অফুরান।" ৪. "আকাশের মেঘগুলি যেন উদাস দুপুরে কার কথা ভাবিতেছে।"  ৫. "মানুষের জীবনের সকল আনন্দ ও শান্তিতে প্রকৃতির ছায়া পড়ে।" 

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।। সাম্রাজ্যবাদ—প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, সেট-২

সাম্রাজ্যবাদ—প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন


প্রশ্ন:১
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি দিনটি স্মরণীয় কেন ?

উত্তর: 
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের লাহাের কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। এরপর থেকে স্বাধীনতা লাভের পূর্ব পর্যন্ত প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হত।



প্রশ্ন:২
গান্ধিজি কবে ডান্ডি অভিযান শুরু করেছিলেন ? গান্ধিজি কীভাবে আইন-অমান্য করেন ?

উত্তর: 
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ সবরমতী আশ্রম থেকে গান্ধিজির নেতৃত্বে ডান্ডি অভিযান শুরু হয়েছিল। গান্ধিজি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল ডান্ডির সমুদ্রতীরে পৌঁছে সমুদ্রের জল থেকে লবণ তৈরি করে আইন-অমান্য করেন।



প্রশ্ন:৩
অসহযােগ আন্দোলন প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
চৌরিচৌরায় উত্তেজিত জনতার রােষে ২২ জন পুলিশের মৃত্যু হলে গান্ধিজি অসহযােগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।



প্রশ্ন:৪
খিলাফৎ আন্দোলনের লক্ষ্য কী ছিল ?

উত্তর: 
তুরস্কের খলিফা ছিলেন সমগ্র মুসলিম জগতের ধর্মগুরু। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্ক মিত্রশক্তির বিপক্ষে চলে যাওয়ায় মিত্রশক্তি তুরস্ক দখল করে খলিফাকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করে। খলিফাকে তাঁর পদে পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারতে খিলাফৎ আন্দোলন শুরু হয়।



প্রশ্ন:৫
কংগ্রেসের লাহাের অধিবেশনে (১৯২৯ খ্রি.) যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়, তার যে-কোনাে দুটি লেখাে।

উত্তর: 
কংগ্রেসের লাহাের অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির অন্যতম দুটি ছিল— (১) যতদিন না পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জিত হচ্ছে, ততদিন প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। (২) ওইসময় থেকে জাতীয় আন্দোলনের লক্ষ্য স্থির হয়েছিল পূর্ণ স্বরাজ অর্জন।



প্রশ্ন:৬
‘ডান্ডিযাত্রা’র ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী ?

উত্তর: 
গান্ধিজি লবণ-আইন ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে ডান্ডি যাত্রার সূচনা করেন। ডান্ডিতে লবণ-আইন ভঙ্গ করে তিনি সমস্ত স্তরের মানুষকে আইন-অমান্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে আহ্বান জানান। কারণ লবণ ছিল সব মানুষেরই নিত্য ব্যবহার্য একটি দ্রব্য।



প্রশ্ন:৭
সাইমন কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? কত খ্রিস্টাব্দে এই কমিশন গঠন করা হয় ?

উত্তর: 
সাইমন কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের পর্যালােচনা এবং নতুন নীতি নির্ধারণ। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে সাইমন কমিশন গঠন করা হয়।



প্রশ্ন:৮
গান্ধিজি অসহযােগ আন্দোলনের সঙ্গে খিলাফৎ আন্দোলন যুক্ত করলেন কেন ? গান্ধিজির কাছে চরকা কীসের প্রতীক ছিল ?

উত্তর: 
জাতীয় আন্দোলনে মুসলিম সম্প্রদায়কে শামিল করিয়ে ব্রিটিশ বিরােধিতাকে আরও তীব্র করার লক্ষ্যে গান্ধিজি অসহযােগ আন্দোলনের সঙ্গে খিলাফৎ আন্দোলনকে যুক্ত করেন। গান্ধিজির কাছে চরকা ছিল আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক।



প্রশ্ন:৯
‘সীমান্ত গান্ধি’ কাকে বলা হত এবং কেন ?

উত্তর: 
উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের খান আবদুল গফ্ফর খান সীমান্ত গান্ধি নামে পরিচিত ছিলেন।
গান্ধিজি প্রদর্শিত পথে সম্পূর্ণ অহিংস নীতি মেনে সীমান্ত প্রদেশে আইন-অমান্য আন্দোলন পরিচালনার জন্য তিনি সীমান্ত গান্ধি উপাধিতে ভূষিত হন।



প্রশ্ন:১০
সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের ক্ষোভের প্রধান কারণ কী ছিল ?

উত্তর: 
ভারতবাসীর শাসনতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত হয় সাইমন কমিশন। এই কমিশনে কোনাে ভারতীয় সদস্য না থাকায় ভারতীয়রা একে জাতীয় অমর্যাদা বলে মনে করে।

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল      ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ভারতবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করার জন্যই।  জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (১) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন— উদ্দেশ্য ঘোষণা—বোম্বাইয়ের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজ হল জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি., ২৮ ডিসেম্বর) সভাপতির ভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে চারটি মূল উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এগুলি হল—   (i) ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্রে ভরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের দেশপ্রেমীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও একাত্মতা গড়ে তোলা, (ii) সম্প্রীতির দ্বারা জাতি, ধর্ম, প্রাদেশিকতার তুচ্ছ সংকীর্ণতা দূর করে জাতীয় সংহতির পথ প্রশস্ত করা, (iii) শিক্ষিতদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করে সামাজিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ণয় করা, (iv) ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা ‘মেখলা’ শব্দের মানে হল ‘কোমর বন্ধনী’। অসংখ্য আগ্নেয়গিরি মেখলা বা কোমর বন্ধনীর আকারে কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যখন অবস্থান করে, তখন তাকে ‘আগ্নেয় মেখলা’ বলা হয়। ভূবিজ্ঞানীর মতে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে ও এশীয় মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে পাত সীমায় ফাটল বরাবর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়। 

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে। এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা। 

আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য

  আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য Sl. No. আবহবিকার ক্ষয়ীভবন 1 আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন—উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, জলীয় বাষ্প, তুষারপাত ও বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান দ্বার শিলাসমূহের চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া বা বিয়োজনকে আবহবিকার বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, যেমন—নদী, বায়ু, হিমবাহ, ইত্যাদি দ্বারা আবহবিকারপ্রাপ্ত চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহের অপসারণকে ক্ষয়ীভবন বলে। 2 আবহবিকারের ফলে মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের (গঠন, আকৃতি, খনিজের আণবিক সজ্জা প্রভৃতি) পরিবর্তন ঘটে । ক্ষয়ীভবনের ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধিত হয়। কিন্তু মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। 3 আবহবিকার কোনোভাবে ক্ষয়ীভবনের ওপর নির্ভরশীল নয়। ক্ষয়ীভবন সম্পূর্ণরূপে আবহবিকারের ওপর নির্ভরশীল। আবহবিকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না। 4 আবহবিকারের ফলে চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহ শিলাস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপরেই অবস্থান করে। ক্ষয়ীভবনের ফলে আবহবিকার প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ স্থানান্তরি...