নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
সাম্রাজ্যবাদ—প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন
প্রশ্ন:১
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি দিনটি স্মরণীয় কেন ?
উত্তর:
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের লাহাের কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। এরপর থেকে স্বাধীনতা লাভের পূর্ব পর্যন্ত প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হত।
প্রশ্ন:২
গান্ধিজি কবে ডান্ডি অভিযান শুরু করেছিলেন ? গান্ধিজি কীভাবে আইন-অমান্য করেন ?
উত্তর:
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ সবরমতী আশ্রম থেকে গান্ধিজির নেতৃত্বে ডান্ডি অভিযান শুরু হয়েছিল। গান্ধিজি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল ডান্ডির সমুদ্রতীরে পৌঁছে সমুদ্রের জল থেকে লবণ তৈরি করে আইন-অমান্য করেন।
প্রশ্ন:৩
অসহযােগ আন্দোলন প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ করাে।
উত্তর:
চৌরিচৌরায় উত্তেজিত জনতার রােষে ২২ জন পুলিশের মৃত্যু হলে গান্ধিজি অসহযােগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
প্রশ্ন:৪
খিলাফৎ আন্দোলনের লক্ষ্য কী ছিল ?
উত্তর:
তুরস্কের খলিফা ছিলেন সমগ্র মুসলিম জগতের ধর্মগুরু। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্ক মিত্রশক্তির বিপক্ষে চলে যাওয়ায় মিত্রশক্তি তুরস্ক দখল করে খলিফাকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করে। খলিফাকে তাঁর পদে পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারতে খিলাফৎ আন্দোলন শুরু হয়।
প্রশ্ন:৫
কংগ্রেসের লাহাের অধিবেশনে (১৯২৯ খ্রি.) যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়, তার যে-কোনাে দুটি লেখাে।
উত্তর:
কংগ্রেসের লাহাের অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির অন্যতম দুটি ছিল— (১) যতদিন না পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জিত হচ্ছে, ততদিন প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। (২) ওইসময় থেকে জাতীয় আন্দোলনের লক্ষ্য স্থির হয়েছিল পূর্ণ স্বরাজ অর্জন।
প্রশ্ন:৬
‘ডান্ডিযাত্রা’র ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী ?
উত্তর:
গান্ধিজি লবণ-আইন ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে ডান্ডি যাত্রার সূচনা করেন। ডান্ডিতে লবণ-আইন ভঙ্গ করে তিনি সমস্ত স্তরের মানুষকে আইন-অমান্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে আহ্বান জানান। কারণ লবণ ছিল সব মানুষেরই নিত্য ব্যবহার্য একটি দ্রব্য।
প্রশ্ন:৭
সাইমন কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? কত খ্রিস্টাব্দে এই কমিশন গঠন করা হয় ?
উত্তর:
সাইমন কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের পর্যালােচনা এবং নতুন নীতি নির্ধারণ। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে সাইমন কমিশন গঠন করা হয়।
প্রশ্ন:৮
গান্ধিজি অসহযােগ আন্দোলনের সঙ্গে খিলাফৎ আন্দোলন যুক্ত করলেন কেন ? গান্ধিজির কাছে চরকা কীসের প্রতীক ছিল ?
উত্তর:
জাতীয় আন্দোলনে মুসলিম সম্প্রদায়কে শামিল করিয়ে ব্রিটিশ বিরােধিতাকে আরও তীব্র করার লক্ষ্যে গান্ধিজি অসহযােগ আন্দোলনের সঙ্গে খিলাফৎ আন্দোলনকে যুক্ত করেন। গান্ধিজির কাছে চরকা ছিল আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক।
প্রশ্ন:৯
‘সীমান্ত গান্ধি’ কাকে বলা হত এবং কেন ?
উত্তর:
উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের খান আবদুল গফ্ফর খান সীমান্ত গান্ধি নামে পরিচিত ছিলেন।
গান্ধিজি প্রদর্শিত পথে সম্পূর্ণ অহিংস নীতি মেনে সীমান্ত প্রদেশে আইন-অমান্য আন্দোলন পরিচালনার জন্য তিনি সীমান্ত গান্ধি উপাধিতে ভূষিত হন।
প্রশ্ন:১০
সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের ক্ষোভের প্রধান কারণ কী ছিল ?
উত্তর:
ভারতবাসীর শাসনতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত হয় সাইমন কমিশন। এই কমিশনে কোনাে ভারতীয় সদস্য না থাকায় ভারতীয়রা একে জাতীয় অমর্যাদা বলে মনে করে।
Comments
Post a Comment