নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
স্বাধীন ভারতের সংবিধান এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ
প্রশ্ন:১
ভারতের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে নিয়ােজিত হন ?
উত্তর:
ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ (১ নং) ধারা অনুযায়ী লােকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা মাের্চার নেতা বা নেত্রীকেই রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পদে নিয়ােগ করে থাকেন। কিন্তু লােকসভায় কোনাে দল বা মাের্চা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে রাষ্ট্রপতি নিজ মনােনীত ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করতে পারেন। তবে ওই ব্যক্তির পক্ষে লােকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন থাকতে হবে।
প্রশ্ন:২
আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের ভূমিকা কী ?
উত্তর:
আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের ভূমিকা মূলত দুটি। যেমন—
(১) স্বেচ্ছামূলক–বিবদমান পক্ষের সম্মতিতে উত্থাপিত সকল মামলার বিচার।
(২) এক্তিয়ারভুক্ত–(i) কোনাে সন্ধি বা চুক্তির ব্যাখ্যা,
(ii) আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ক প্রশ্ন,
(iii) আন্তর্জাতিক দায়দায়িত্ব লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ও পদ্ধতি নির্ধারণ।
প্রশ্ন:৩
ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হয় ?
উত্তর:
ভারতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের ২৫ অক্টোবর। যা চলে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
প্রশ্ন:৪
ভারতের সাংবিধানিক রাষ্ট্রপ্রধান কে ? তিনি কাদের দ্বারা নির্বাচিত হন ?
উত্তর:
ভারতের সাংবিধানিক রাষ্ট্রপ্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি।
ভারতের রাষ্ট্রপতি সংসদের উভয় সভার সদস্য ও রাজ্য আইনসভার নিম্ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গঠিত এক বিশেষ নির্বাচক মণ্ডলীর দ্বারা নির্বাচিত হন।
প্রশ্ন:৫
ভারতকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বলা হয় কেন ?
উত্তর:
ভারতের জনগণ প্রাপ্তবয়স্ক ভােটাধিকারের ভিত্তিতে যেসব প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করেন, তাদের দ্বারাই দেশের আইনসভা গঠিত হয় বলে ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ভারতে কোনাে বংশানুক্রমিক রাজা বা রানির স্থান নেই, তার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীপরিষদ পরিচালিত শাসনব্যবস্থার জন্যই ভারতকে একটি প্রজাতান্ত্রিক দেশ বলা হয়।
প্রশ্ন:৬
রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থীর কী কী যােগ্যতা থাকা আবশ্যিক ?
উত্তর:
রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থীকে—
(১) ভারতীয় নাগরিক হতে হবে,
(২) বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৩৫ বছর,
(৩) রাষ্ট্রের অধীন কোনাে লাভজনক পদে থাকা চলবে না,
(৪) লােকসভার সদস্য হওয়ার যােগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।
প্রশ্ন:৭
ভারতীয় সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় (ফেডারেশন) ব্যবস্থা কতটা রূপায়িত হয়েছে ?
উত্তর:
ভারতীয় সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, কারণ—
(১) কোনাে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করলে রাষ্ট্রপতি শাসনতান্ত্রিক অচল অবস্থা জারি করে ওই রাজ্যের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন।
(২) কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে ক্ষমতা বণ্টনের ক্ষেত্রে বিরােধ বাঁধলে কেন্দ্রের মত প্রাধান্য পায়।
প্রশ্ন:৮
ভারতের শাসনব্যবস্থার পরামর্শদাতা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকার সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে।
উত্তর:
পরামর্শদান এলাকা অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্ট ভারতের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতিকে কোনাে আইন বা ঘটনার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারে অথবা বিভিন্ন সন্ধি বা চুক্তির ব্যাপারেও রাষ্ট্রপতি চাইলে সুপ্রিমকোর্ট পরামর্শ দিতে পারে।
প্রশ্ন:৯
সাধারণ নির্বাচন ঘটনার গুরুত্ব কী ?
উত্তর:
(১) ভারতের সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভারতবাসী নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রথম প্রয়ােগ করার সুযােগ পায়।
(২) প্রথম সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধানে বর্ণিত সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ প্রক্রিয়ার সূচনা হয়।
প্রশ্ন:১০
ভারতীয় সংবিধান অনুসারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদের ভূমিকা কী ?
উত্তর:
ভারতীয় সংবিধানে কোথাও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদের উল্লেখ না থাকলেও দেশ শাসনের ক্ষেত্রে শাসক দলের মন্ত্রীপরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যথা—শাসননীতি নির্ধারণ, প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের সময়সীমা নির্ধারণ ও তাদের মধ্যে সমন্বয়সাধন এবং পার্লামেন্ট অনুসৃত রীতি মেনে শাসন বিভাগের উপর চূড়ান্ত কর্তৃত্ব স্থাপন।
Comments
Post a Comment