নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন
প্রশ্ন:১
ভারত কবে স্বাধীনতা লাভ করে ? স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম কী ?
উত্তর:
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।
প্রশ্ন:২
ভগৎ সিং-কে মনে রাখা হয় কেন ?
উত্তর:
ভগৎ সিং ব্রিটিশবিরােধী বিপ্লবী আন্দোলনে শামিল হয়ে দিল্লির কেন্দ্রীয় আইনসভায় বােমা নিক্ষেপ করে সাহসিকতার পরিচয় দেন। লাহাের ষড়যন্ত্র মামলার (১৯২৯ খ্রি.) রায়ে তার ফাঁসি হয় (১৯৩১ খ্রি.)। ভগৎ সিং এই আত্মত্যাগের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।
প্রশ্ন:৩
মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা কী ?
উত্তর:
লর্ড মাউন্টব্যাটেন ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুন ভারত বিভাগের পরিকল্পনা ঘােষণা করেন। এতে বলা হয়—
(১) ভারতবর্ষকে দ্বিখণ্ডিত করে ‘ভারত’ ও ‘পাকিস্তান’ নামে দুটি পৃথক ডােমিনিয়ন গঠন করা হবে এবং
(২) মুসলিম-প্রধান অঞ্চলগুলিকে নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হবে। এটি ‘মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা’ নামে খ্যাত।
প্রশ্ন:৪
গান্ধিজি কবে এবং কেন ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ এই ডাক দিয়েছেন ?
উত্তর:
গান্ধিজি ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ এই ডাক দেন ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট। গান্ধিজি জীবনের বিনিময়েও ব্রিটিশের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশের জন্য এই ডাক দেন।
প্রশ্ন:৫
সি.আর.ফমুর্লা কী ?
উত্তর:
মহম্মদ আলি জিন্নার পৃথক পাকিস্তান দাবির অনড় মনােভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে চক্রবর্তী রাজাগােপালাচারির সমাধান সূত্র ‘সি.আর.ফর্মুলা’ নামে পরিচিত। এতে বলা হয় যে, মুসলিম লিগ জাতীয় সরকার গঠনে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাক, স্বাধীনতা লাভের পর গণভােটের মাধ্যমে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি বিবেচিত হবে।
প্রশ্ন:৬
ভগৎ সিং কে ছিলেন ? কোন্ মামলায় তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ?
উত্তর:
ভগৎ সিং ছিলেন পাঞ্জাবের একজন বিখ্যাত বিপ্লবী এবং নওজওয়ান ভারতসভার প্রতিষ্ঠাতা।লাহাের ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন:৭
ভারতবর্ষের জাতীয় জীবনে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট এবং ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি—এই দুইটি দিন স্মরণীয় কেন ?
উত্তর:
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান কার্যকারী হয়।
প্রশ্ন:৮
‘ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের’ দুটি ধারা উল্লেখ করাে।
উত্তর:
(১) ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি পৃথক ডােমিনিয়ন গঠিত হবে।
(২) দেশীয় রাজ্যগুলি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে যে-কোনো একটি ডােমিনিয়নে যােগদান করতে পারবে।
প্রশ্ন:৯
ভারতের প্রথম ও শেষ ভাইসরয়ের নাম কী ?
উত্তর:
ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন লর্ড ক্যানিং। ভারতের শেষ ভাইসরয় ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
প্রশ্ন:১০
‘ভারতীয় স্বাধীনতা আইন’ কবে উত্থাপিত হয় ? কোন্ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব পেশ করেন ?
উত্তর:
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই ভারতীয় স্বাধীনতা আইন উত্থাপিত হয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলি এই প্রস্তাব পেশ করেন।
Comments
Post a Comment