বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০০টি বিখ্যাত লাইন ১. "অরণ্য এক বিশাল, স্থির, অতলস্পর্শী নির্জনতা।" ২. "এই নিস্তব্ধতা বড় গভীর, বড় মধুর।" ৩. "প্রকৃতির রূপ ও রসের ভান্ডার অফুরান।" ৪. "আকাশের মেঘগুলি যেন উদাস দুপুরে কার কথা ভাবিতেছে।" ৫. "মানুষের জীবনের সকল আনন্দ ও শান্তিতে প্রকৃতির ছায়া পড়ে।"
জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা, ঠান্ডা লড়াই ও মুক্তি আন্দোলন
প্রশ্ন:১
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য কারা ?
উত্তর:
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য-রাষ্ট্র পাঁচটি। এই দেশগুলি হল—আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন।
প্রশ্ন:২
‘ঠান্ডা লড়াই’ বলতে কী বােঝ ?
উত্তর:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে পুঁজিবাদী আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও সাম্যবাদী সােভিয়েত রাশিয়া যে আদর্শগত সংঘাতে লিপ্ত হয় তা ‘ঠান্ডা লড়াই’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:৩
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তর:
১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২৪ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদ কার্যকরী হয়। ২৪ অক্টোবর সারা বিশ্বে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়ে থাকে।
প্রশ্ন:৪
কোন্ দুই দেশের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধের প্রথম সূত্রপাত হয়েছিল ?
উত্তর:
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও সােভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধের প্রথম সূত্রপাত হয়েছিল।
প্রশ্ন:৫
কবে এবং কোথায় ‘আটলান্টিক সনদ’ রচিত হয় ?
উত্তর:
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ বা রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট নিউফাউন্ডল্যান্ডে আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তি আটলান্টিক সনদ বা আটলান্টিক চার্টার নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:৬
ঠান্ডা লড়াইয়ের দুটি কারণ উল্লেখ করাে।
উত্তর:
ঠান্ডা লড়াইয়ের দুটি কারণ হল—
(১) সােভিয়েত সাম্যবাদ ও মার্কিন পুঁজিবাদ আদর্শগতভাবে দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থিত ছিল।
(২) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে উভয়েই মিত্রশক্তির অন্তর্ভুক্ত হলেও রাশিয়ার প্রতি আমেরিকার কার্যকলাপ সন্দেহজনক ছিল।
প্রশ্ন:৭
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের (U.N.O.) দুটি অধিকারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর:
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের (U.N.O.) দুটি মৌলিক অধিকার হল—
(১) সকল দেশের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার।
(২) আইনের দ্বারা সমভাবে সংরক্ষিত হওয়ার অধিকার।
প্রশ্ন:৮
আটলান্টিক চার্টারের দুটি নীতি উল্লেখ করাে।
উত্তর:
আটলান্টিক চার্টারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হল—
(১) সনদে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রবর্গ সব রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও সমানাধিকার মান্য করবে।
(২) ওই রাষ্ট্রবর্গ যুদ্ধাস্ত্র হ্রাস করে বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে যত্নবান হবে।
প্রশ্ন:৯
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের (U.N.O.) দুটি প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করাে।
উত্তর:
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দুটি প্রধান লক্ষ্য হল—
(১) আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধের সম্ভাবনা দূর করা।
(২) বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনের পথ প্রশস্ত করা ও বিশ্ববাসীর মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন:১০
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠনের নাম কী ? এই নামকরণ কে করেছিলেন ?
উত্তর:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠনটির নাম হল সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ (U.N.O.)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট ইংরেজ কবি বায়রনের ‘চাইল্ড হেরাল্ড’ কবিতার ভিত্তিতে এই নামকরণ করেছিলেন।

Comments
Post a Comment