নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
প্রশ্ন:১
হিটলার কোন কোন সংগঠনের মাধ্যমে সকল বিরােধিতা দমন করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তর:
হিটলার নাতসিদলের বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। যথা—
(১) স্টর্ম ট্রুপার্স (আধাসামরিক ঝটিকা বাহিনী),
(২) এলিট গার্ডস, (
৩) গেস্টাপাে (গুপ্ত পুলিশবাহিনী)।
প্রশ্ন:২
ভাইমার প্রজাতন্ত্র কী ?
উত্তর:
জার্মানির সমাজতান্ত্রিক নেতা ফ্রেডারিক ইবার্টের নেতৃত্বে সােশ্যালিস্ট রিপাবলিকান দল সাময়িকভাবে এক প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে। বার্লিনের কাছাকাছি ভাইমার শহরে এই সরকারের কর্মকেন্দ্র স্থাপিত হওয়ায় এই প্রজাতান্ত্রিক সরকার ‘ভাইমার প্রজাতন্ত্র’ নামে পরিচিত হয়।
প্রশ্ন:৩
জাতিসংঘের ব্যর্থতার দুটি কারণ উল্লেখ করাে।
উত্তর:
জাতিসংঘের ব্যর্থতার অন্যতম দুটি কারণ হল—
(১) ইতালিতে ফ্যাসিবাদ এবং জার্মানিতে নাতসিবাদের উত্থান।
(২) জাতিসংঘের নিজস্ব সামরিক শক্তির অনুপস্থিতি।
প্রশ্ন:৪
‘লেবেন শ্রউম তত্ত্ব’ কী ?
উত্তর:
হিটলার ফ্রান্স আক্রমণের জন্য পূর্ব ইউরােপ ও সােভিয়েত রাশিয়া অধিকারের যে পরিকল্পনা নেন তা ‘লেবেন শ্রউম তত্ত্ব’ বা ‘বসবাস ভূমি তত্ত্ব’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:৫
হিটলারের আত্মজীবনীর নাম কী ? হিটলারের বিদেশনীতির একটি উদ্দেশ্য লেখাে।
উত্তর:
হিটলারের আত্মজীবনীর নাম— ‘মেঁই ক্যাম্ফ’ (আমার সংগ্রাম)।
হিটলারের বিদেশনীতির একটি উদ্দেশ্য ছিল বৃহত্তর জার্মান সাম্রাজ্য গঠন করা।
প্রশ্ন:৬
তােষণনীতি কী ?
উত্তর:
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ইউরােপের ইতালি, জার্মানি প্রভৃতি একনায়কতান্ত্রিক দেশের আগ্রাসন প্রতিরােধের পরিবর্তে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স যে আপস নীতির আশ্রয় নেয়, তাকে তোষণনীতি বলে। তােষণনীতির প্রবক্তা ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলেন।
প্রশ্ন:৭
‘হেরেনভক্ তত্ত্ব' কী ?
উত্তর:
বিশ্বে একমাত্র জার্মানরাই বিশুদ্ধ আর্যরক্তের অধিকারী তাই বিশ্বে জাতিগত দিক থেকে তারাই শ্রেষ্ঠ অর্থাৎ প্রভুজাতি বা হেরেনভক্। এই কারণে বিশ্বের অন্যান্য জাতির ওপর শাসন প্রতিষ্ঠা করার অধিকার রয়েছে জার্মানদের। এই তত্ত্ব হেরেনভক্ তত্ত্ব নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:৮
জার্মানির প্রতি কারা তােষণনীতি গ্রহণ করে এবং কেন ?
উত্তর:
জার্মানির প্রতি ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স তােষণনীতি গ্রহণ করে। রাশিয়ার প্রতি সাম্যবাদভীতি এবং ইতালি-জার্মান জোটের আশঙ্কায় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স এই তােষণনীতি গ্রহণ করেছিল।
প্রশ্ন:৯
গণতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের মধ্যে দুটি পার্থক্য উল্লেখ করাে।
উত্তর:
গণতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের মধ্যে দুটি পার্থক্য হল—
(১) জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত শাসনব্যবস্থাই হল গণতন্ত্র, অপরদিকে বিরােধী দলের অস্তিত্ব মুছে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হল ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা।
(২) গণতন্ত্রে বহুদলীয় ব্যবস্থা রয়েছে যা উদারনীতির সমর্থক, অপরদিকে ফ্যাসিবাদ গণতন্ত্র ও সাম্যবাদ বিরােধী।
প্রশ্ন:১০
ডি-ডে কী ?
উত্তর:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইতালি হেরে গেলে মিত্রশক্তি ফ্রান্সে মিলিত হয় ও একযােগে জার্মানিকে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুন এই আক্রমণের দিন স্থির হয়। এই দিনটি ডি-ডে বা ইউরােপ অভিযান দিবস নামে পরিচিত।
★★★
★★★
Comments
Post a Comment