নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন
প্রশ্ন:১
১৯৩৯ সালে বিভিন্ন প্রদেশে কংগ্রেসি মন্ত্রীসভাগুলি ইস্তফা দেয় কেন ?
উত্তর:
মহম্মদ আলি জিন্না দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে অনড় থাকলে লিগ ও কংগ্রেসের মধ্যে মতভেদ চরমে পৌঁছােয়। এই পরিস্থিতিতে ভারত-সচিব জেটল্যান্ড ঘােষণা করেন ভারতে সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধান হলে তবেই সাংবিধানিক সংস্কারসাধন সম্ভব। এই ঘােষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে কংগ্রেস কার্যকরী সমিতির নির্দেশ মেনে প্রাদেশিক সরকারগুলি থেকে কংগ্রেসি মন্ত্রীসভাগুলি ইস্তফা দেয়।
প্রশ্ন:২
কংগ্রেসের হরিপুরা অধিবেশনের গুরুত্ব কী ?
উত্তর:
১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের হরিপুরা অধিবেশনে দক্ষিণপন্থীদের বিরােধিতা সত্ত্বেও সুভাষচন্দ্র জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদে নিযুক্ত হন। সুভাষের জয় বামপন্থীদের জয়কে সূচিত করে।
প্রশ্ন:৩
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ? এর প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?
উত্তর:
১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ অক্টোবর সােভিয়েত ইউনিয়নের তাসখন্দ শহরে ‘ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’ প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬ ডিসেম্বর কানপুরে।
মানবেন্দ্রনাথ রায় তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন:৪
ত্রিপুরি কংগ্রেসে সুভাষচন্দ্র কাদের সমর্থনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ? নির্বাচনে তিনি কাকে পরাস্তকরেছিলেন ?
উত্তর:
কংগ্রেসের বামপন্থী গােষ্ঠীর সমর্থনে সুভাষচন্দ্র বসু ত্রিপুরি কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচনে তিনি পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাস্ত করেছিলেন।
প্রশ্ন:৫
কত খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠিত হয় ? এই দলের সঙ্গে যুক্ত দুজন নেতার নাম করাে।
উত্তর:
১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে ‘কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। জয়প্রকাশ নারায়ণ ও আচার্য নরেন্দ্রদেব এই দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
প্রশ্ন:৬
ত্রিপুরি কংগ্রেস (১৯৩৯ খ্রি.)-এ গান্ধিজি কাকে সভাপতি পদে মনােনীত করেন ? কে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ?
উত্তর:
ত্রিপুরি কংগ্রেসে পট্টভি সীতারামাইয়াকে গান্ধিজি সভাপতি পদে মনােনীত করেন। সুভাষচন্দ্র বসু ত্রিপুরি কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচিত হন।
প্রশ্ন:৭
শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত দুজন বিখ্যাত কংগ্রেসি নেতার নাম উল্লেখ করে।
উত্তর:
শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত দুজন কংগ্রেসি নেতা হলেন সুভাষচন্দ্র বসু ও জওহরলাল নেহরু।
প্রশ্ন:৮
জাতীয় কংগ্রেসের ত্রিপুরি অধিবেশনের (১৯৩৯ খ্রি.) গুরুত্ব কী ছিল ?
উত্তর:
(১) জাতীয় কংগ্রেসের ত্রিপুরি অধিবেশনে গান্ধিজি সমর্থিত প্রার্থীকে হারিয়ে সুভাষচন্দ্রের পুনর্নির্বাচন প্রমাণ করে যে গান্ধিজি কংগ্রেসের একমাত্র নিয়ন্তা নন।
(২) ত্রিপুরি অধিবেশনের পরেই সুভাষচন্দ্র বুঝলেন ভারতে থেকে ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদের লড়াই সম্ভব নয়, তাই তিনি বিদেশি শক্তির সাহায্যে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
প্রশ্ন:৯
র্যাডিক্যাল ডেমােক্রেটিক পার্টি কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তর:
মানবেন্দ্রনাথ রায় র্যাডিক্যাল ডেমােক্রেটিক পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি এই দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রশ্ন:১০
কংগ্রেস সােশ্যালিস্ট দলের দুজন উল্লেখযােগ্য নেতার নাম বলাে।
উত্তর:
কংগ্রেস সােশ্যালিস্ট পার্টি বা কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের দুজন উল্লেখযােগ্য নেতা ছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ এবং ড.রামমনােহর লােহিয়া।
Comments
Post a Comment