নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
নাতসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
প্রশ্ন:১
নাতসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের মধ্যে মিল কোথায় ?
উত্তর:
জার্মানির নাতসিবাদ ও ইতালির ফ্যাসিবাদ ছিল গণতন্ত্র বিরােধী এবং একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী। উভয় মতবাদই উগ্র জাতীয়তাবাদ ও রাষ্ট্রের চূড়ান্ত ক্ষমতায় বিশ্বাস করত।
প্রশ্ন:২
রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ? কে কে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ?
উত্তর:
১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্ট্যালিন এবং জার্মানির হিটলার ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
প্রশ্ন:৩
মিউনিখ চুক্তির (১৯৩৮ খ্রি.) তাৎপর্য উল্লেখ করা।
উত্তর:
মিউনিখ চুক্তি (১৯৩৮ খ্রি.)-র পরে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স জার্মান তােষণ আরও বাড়িয়ে দেয়। এরূপ পরিস্থিতিতে শঙ্কিত রাশিয়া জার্মানির সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি (১৯৩৯ খ্রি.) স্বাক্ষর করে। এককথায় মিউনিখ চুক্তি হিটলারের রাজ্যজয়ের ক্ষুধাকে বাড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীকে আরও একটি বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়।
প্রশ্ন:৪
কে ফ্যাসিস্ট দল গঠন করেন ? কত খ্রিস্টাব্দে ফ্যাসিস্ট দল গঠিত হয় ?
উত্তর:
মুসােলিনি ফ্যাসিস্ট দল গঠন করেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ফ্যাসিস্ট দল গঠিত হয়।
প্রশ্ন:৫
.0
‘মেঁই ক্যাম্ফ’ (Mein Kampf) গ্রন্থের রচয়িতা কে ? কত খ্রিস্টাব্দে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ?
উত্তর:
‘মেঁই ক্যাম্ফ’ গ্রন্থের রচয়িতা হিটলার। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ‘মেঁই ক্যাম্ফ’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন:৬
রুশ জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি (১৯৩৯ খ্রি.) স্বাক্ষরিত হল কী উদ্দেশ্য নিয়ে ?
উত্তর:
১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ আগস্ট সােভিয়েতের পক্ষে বিদেশমন্ত্রী মলােটভ ও জার্মানির পক্ষে বিদেশমন্ত্রী রিভেনট্রপ দশ বছর মেয়াদি এই অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। রাশিয়ার অফুরন্ত কাঁচামাল অধিকারের লােভে এবং পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তের লড়াইয়ে রাশিয়ার সাহায্য পাওয়ার আশায় জার্মানি এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। অপরদিকে জাপানি আক্রমণ প্রতিরােধ এবং আগে থেকে হিটলারের রাশিয়া আক্রমণকে আটকানাের জন্য রাশিয়াও এই চুক্তিতে আগ্রহী ছিল। শেষপর্যন্ত হিটলার এই চুক্তির শর্তগুলিকে লঙ্ঘন করে রাশিয়া আক্রমণ করেন এবং জার্মান সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংসসাধন ঘটান।
প্রশ্ন:৭
নাতসিদলের কর্মসূচি কী ছিল ?
উত্তর:
নাতসিদলের অন্যতম কর্মসূচি ছিল—
(১) ভার্সাই সন্ধি বাতিল করে এক শক্তিশালী জার্মান রাষ্ট্র গঠন করা এবং ইহুদি, ক্যাথােলিক, কমিউনিস্ট ইত্যাদির বিরােধিতা।
(২) বেকার সমস্যার সমাধান, ভূমিসংস্কার, শিশু ও নারীকল্যাণ।
প্রশ্ন:৮
রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির একটি শর্ত উল্লেখ করাে।
উত্তর:
১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দশ বছর সােভিয়েত রাশিয়া ও জার্মানি পরস্পরকে আক্রমণ থেকে বিরত থাকবে।
প্রশ্ন:৯
রােম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ? কারা স্বাক্ষর করেছিল ?
উত্তর:
১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে রােম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ইতালি, জার্মানি ও জাপান অক্ষচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।
প্রশ্ন:১০
মিউনিখ চুক্তি কবে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ?
উত্তর:
১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানির মধ্যে ‘মিউনিখ চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। মুসসালিনির মধ্যস্থতায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
★★★
★★★
Comments
Post a Comment