নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
বিশ শতকের প্রথমার্ধে জাতীয় আন্দোলন
প্রশ্ন:১
মাস্টারদা কাকে বলা হত ? তিনি স্মরণীয় কেন ?
উত্তর:
বিপ্লবী সূর্য সেনকে মাস্টারদা বলা হত। তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন:২
সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা (১৯৩২ খ্রি.) কী ?
উত্তর:
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডােনাল্ড ভারতবাসীর ঐক্যে ভাঙন ধরানাের জন্য ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘােষণা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় আন্দোলনকে দুর্বল করা। এই নীতিতে হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলিম, শিখ, অ্যাংলাে ইন্ডিয়ান প্রভৃতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে যেমন আলাদা নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়, তেমনি অনুন্নত হিন্দুদেরও পৃথক জাতি হিসেবে ঘােষণা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐক্যে ভাঙন ধরানাের চেষ্টা করা হয়। এক কথায় এই ঘােষণায় সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি জটিল হয়।
প্রশ্ন:৩
‘অলিন্দ যুদ্ধ’ কাকে বলে ?
উত্তর:
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর বাংলার তিন তরুণ বিপ্লৰী বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত ‘ব্রিটিশ শাসনের কেন্দ্র রাইটার্স বিল্ডিং’ অভিযান করেন। এখানে তাঁরা ইনস্পেকটর জেনারেল সিম্পসনকে হত্যা করেন। এই ঘটনা ‘অলিন্দ যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:৪
ক্রিপস্ মিশনের উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উত্তর:
ক্রিপস্ মিশনের উদ্দেশ্য ছিল—
(১) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র পক্ষকে শক্তিশালী করার জন্য ভারতবাসীর কাছ থেকে অর্থনৈতিক ও সামারিক সাহায্য আদায় করা।
২) ভারতীয়দের সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়ে আলােচনা করা।
প্রশ্ন:৫
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ত্রিপুরি অধিবেশনে কী কী ঘটনাক্রম ঘটে ?
উত্তর:
(১) জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির পদে মনােনীত হন সুভাষচন্দ্র বসু কিন্তু গান্ধিজি এই মনােনয়ন মেনে না নিয়ে সুভাষের বিপরীতে পট্টভি সীতারামাইয়াকে দাঁড় করান।
(২) সুভাষ সীতারামাইয়াকে ২০৩ ভােটে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের জন্য জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির পদে নির্বাচিত হন।
(৩) গান্ধিজির নির্দেশ মেনে কংগ্রেস কার্যকরী সমিতির ১২ জন সদস্য পদত্যাগ করলে সুভাষচন্দ্রও জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন।
প্রশ্ন:৬
ক্রিপস্ কে ছিলেন ? কত সালে ক্রিপস মিশন ভারতে আসে ?
উত্তর:
স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস্ ছিলেন ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার সদস্য। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ ক্রিপস্ মিশন ভারতে আসে।
প্রশ্ন:৭
কে, কবে ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ নীতি ঘােষণা করেন ?
উত্তর:
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডােনাল্ড ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ নীতি ঘােষণা করেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট তিনি এই নীতি ঘােষণা করেছিলেন।
প্রশ্ন:৮
সুভাষচন্দ্র কেন জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদ ত্যাগ করেছিলেন ?
উত্তর:
জাতীয় আন্দোলনের অভিমুখ নিয়ে গান্ধিজি ও সুভাষচন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য ছিল। এই অবস্থায় হরিপুরা ও ত্রিপুরি অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র পরপর দুবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। দ্বিতীয়বার সুভাষচন্দ্রের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর গান্ধিজির নির্দেশে কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতির ১২ জন সদস্য পদত্যাগ করলে সুভাষচন্দ্রও সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন।
প্রশ্ন:৯
অলিন্দ যুদ্ধ কবে এবং কাদের নেতৃত্বে সংঘটিত হয় ?
উত্তর:
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর অলিন্দ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তরুণ বিপ্লবীত্রয় বিনয় বসু, বাদল (সুবীর) গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্তের নেতৃত্বে অলিন্দ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
প্রশ্ন:১০
কখন ও কার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠিত হয় ?
উত্তর:
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেন।
Comments
Post a Comment