নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
স্বাধীন ভারতের সংবিধান এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ
প্রশ্ন:১
সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে কী বলা হয়েছে ?
উত্তর:
সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বলা হয়েছে। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ৪২ তম সংবিধান সংশােধনে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি যুক্ত হয়েছে।
প্রশ্ন:২
সংসদীয় গণতন্ত্রের সাফল্যের দুটি শর্ত উল্লেখ করাে।
উত্তর:
সংসদীয় গণতন্ত্রের সাফল্যের দুটি শর্ত হল—
(১) একক বা জোটবদ্ধ শাসক দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ।
(২) শক্তিশালী বিরােধী দলের অস্তিত্ব।
প্রশ্ন:৩
ভারতবর্ষকে কেন ‘সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ বলা হয় ?
উত্তর:
সংবিধানে ভারতবর্ষকে ‘সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ বলা হয়েছে। কারণ— সার্বভৌম–ভারতরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে বিদেশি প্রভাবমুক্ত। গণতান্ত্রিক–ভারতে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপর শাসনভার ন্যস্ত। প্রজাতন্ত্র–ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানদের পদ বংশানুক্রমিক নয়, নির্বাচনমূলক এবং এখানে রাজা বা রাজতন্ত্রের কোনাে স্থান নেই।
প্রশ্ন:৪
ভারতীয় সংবিধানে সন্নিবদ্ধ মৌলিক অধিকারগুলির মধ্যে যে-কোনাে দুইটি উল্লেখ করাে।
উত্তর:
ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত দুটি মৌলিক অধিকার—
(১) সাম্যের অধিকার–এর দ্বারা ভারতের প্রতিটি নাগরিক আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমমর্যাদা ও সম অধিকার পান।
(২) ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার–এর দ্বারা প্রতিটি নাগরিক স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্মাচরণ করতে পারেন।
প্রশ্ন:৫
স্বাধীন ভারতে কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ? ভারতীয় সংবিধান রচনার প্রধান রূপকার কে ছিলেন ?
উত্তর:
স্বাধীন ভারতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে। ভারতীয় সংবিধানের প্রধান রূপকার হলেন ড.বি.আর.আম্বেদকর।
প্রশ্ন:৬
ভারতীয় সংবিধানে নিদের্শাত্মক নীতির উদ্দেশ্য কী ?
উত্তর:
ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশমূলক নীতির প্রধান উদ্দেশ্য হল ভারতবর্ষকে জনকল্যাণকামী রাষ্ট্রে পরিণত করা। আবার অনেকে বলেন, সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজ গঠনের পথে অগ্রসর হওয়া নির্দেশমূলক নীতির উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন:৭
‘ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র’ কথাটির তাৎপর্য কী ?
উত্তর:
যে রাষ্ট্রে ধর্মীয় ক্ষেত্রে সরকার কোনাে রকম হস্তক্ষেপ করে না, যে যার নিজ নিজ ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার নিয়ে বাস করতে পারে, সেই রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলা যায়।
প্রশ্ন:৮
ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশমূলক নীতি বলতে কী বােঝায় ?
উত্তর:
ভারতীয় সংবিধানের চতুর্থ অংশের ৩৬ থেকে ৫১ নং ধারায় রাষ্ট্র পরিচালনার কিছু নীতি বর্ণিত হয়েছে। সেগুলি ‘নির্দেশমূলক নীতি’ নামে পরিচিত। এই নীতিগুলি (প্রথমে ছিল ১৩ টি পরে বেড়ে হয় ১৭ টি) হল—
(১) কাজের অধিকার,
(২) বার্ধক্য ভাতা, বেকারদের সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার,
(৩) ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার প্রবর্তন,
(৪) অনগ্রসর সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ প্রভৃতি।
প্রশ্ন:৯
ভারতীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের যে-কোনাে দুটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাের নাম লেখাে।
উত্তর:
(১) সুপ্রিমকোর্ট–ভারতের সর্বোচ্চ আপিল আদালত সুপ্রিমকোর্ট ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের নতুন আইন অনুসারে ২৬ জন বিচারক নিয়ে গঠিত।
(২) পার্লামেন্ট–দুইকক্ষ বিশিষ্ট ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হল রাজ্যসভা যা ২৫০ টি আসন নিয়ে গঠিত। আর নিম্নকক্ষ হল লােকসভা, যা ৫৫২ টি আসন নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন:১০
ভারতীয় সংবিধানের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
উত্তর:
ভারতীয় সংবিধানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য—
(১) ভারতীয় সংবিধান হল বিশ্বের বৃহত্তম ও জটিলতম সংবিধান।
(২) ভারতীয় সংবিধানে একটি ‘প্রস্তাবনা’ আছে।
Comments
Post a Comment