🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:
ভাবর অঞ্চল
উত্তর ভারতের সমভূমি অঞ্চলের উত্তর প্রান্তে অর্থাৎ, শিবালিক পর্বতের পাদদেশ বরাবর ১০-১৫ কিমি চওড়া, ঢেউখেলানো উচ্চভূমিকে ভাবর অঞ্চল বলা হয়। হিমালয় থেকে আগত অসংখ্য নদনদীবাহিত ছোটো নুড়ি, বালি, পাথর সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকার উচ্চভূমির সৃষ্টি করে। এইসব উচ্চভূমি ক্রমাগত সঞ্চয়ের ফলে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উঁচুনীচু , ঢেউখেলানো বিস্তীর্ণ ভূমিরূপের সৃষ্টি করে।
বালি ও পাথরের নুড়ি এই অঞ্চলের মৃত্তিকার প্রধান উপাদান, তাই এই অঞ্চলের মৃত্তিকা অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত হয়। এই কারণেই হিমালয় পর্বত থেকে উৎপন্ন হওয়া ছোটো ছোটো নদীগুলো ভাবর অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসার পর ভূগর্ভস্থ হয়ে অসংখ্য ফল্গুধারার সৃষ্টি করেছে। অঞ্চলটি নুড়ি, পাথরে ঢাকা হওয়ায় নদীগুলি ভূপৃষ্ঠের ওপর দিকে প্রবাহিত হয় না। অনেক সময় নদীগুলি অন্তঃসলিলারূপে প্রবাহিত হয়ে দক্ষিণের তরাই অঞ্চলে পুনরায় ভূপৃষ্ঠের ওপরে প্রবাহিত হতে থাকে। এই অঞ্চলই পাঞ্জাবে ভাবর এবং উত্তরবঙ্গ ও অসমে দুয়ার নামে পরিচিত।
Comments
Post a Comment