বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1) UNIT 1. পরিবেশের জন্য ভাবনা 1.1 ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ Q1. গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোন্ গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি? (মাধ্যমিক ২০১৮) (a) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (b) CH4 (মিথেন) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) H₂O বাম্প। Q 2. প্রদত্ত কোনটি ওজোন স্তরকে ক্ষয় করে না? (মাধ্যমিক ২০২০) (a) NO (নাইট্রোজেন মনোক্সাইড) (b) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন)
ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(১) বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে কোমল পাললিক শিলায় ঢেউ-এর মতো ভাঁজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।
(২) প্রধানত সমুদ্রগর্ভ থেকে সৃষ্টি হয় বলে ভঙ্গিল পর্বতে জীবাশ্ম দেখা যায়।
(৩) ভঙ্গিল পর্বতগুলি সাধারণত পাললিক শিলায় গঠিত হলেও অনেক সময় ভঙ্গিল পর্বতে আগ্নেয় এবং রূপান্তরিত শিলার সহাবস্থান চোখে পড়ে (কারণ—ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় শিলাস্তরে ফাটল সৃষ্টি হলে, সেই ফাটল দিয়ে ভূগর্ভের ম্যাগমা লাভারূপে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে যা ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে। এর পর কালক্রমে প্রচণ্ড চাপ ও তাপের ফলে আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলা রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়)
(৪) ভঙ্গিল পর্বতগুলো সাধারণত বহু শৃঙ্গবিশিষ্ট ও ছুঁচালো হয়।
(৫) ভঙ্গিল পর্বতের দুটি ভাঁজের মাঝে নীচু অংশকে ‘অধোভঙ্গ’ এবং উচ্চ অংশকে ‘ঊর্ধ্বভঙ্গ’ বলে।
(৬) ভঙ্গিল পর্বতের ভাঁজগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন–প্রতিসম ভাঁজ, অপ্রতিসম ভাঁজ, একটি ভাঁজের ওপর অন্য একটি এসে পড়া প্রভৃতি।
(৭) প্রতিটি ভঙ্গিল পর্বতই সৃষ্ট মহাদেশগুলির প্রান্তভাগে। যেমন—রকি ও আন্দিজ পর্বত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত।
(৮) ভঙ্গিল পর্বতের গঠন স্থায়ী নয়।
(৯) প্রবল ভূ-আলোড়নের জন্য ভঙ্গিল পর্বতে ভাঁজ ছাড়াও অনেক ফল্ট বা চ্যুতি দেখা যায়।
(১০) ভঙ্গিল পর্বত সাধারণত অন্যান্য পর্বতের তুলনায় দৈর্ঘ্যে বেশি বিস্তৃত হয় যেমন—হিমালয় পর্বত, পূর্ব-পশ্চিমে দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৫০০ কিমি।
(১১) উৎপত্তিকালের তুলনামূলক বিচারে ভঙ্গিল পর্বতকে নবীন (যেমন–হিমালয়) ও প্রাচীন (যেমন–আরাবল্লী) এই দু'ভাগে ভাগ করা যায়।
Comments
Post a Comment