ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বোঝো? ইতিহাসের উপাদানগুলির শ্রেণিবিভাগ করো। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব বিস্তারিত আলোচনা করো। ১. ইতিহাসের উপাদান ইতিহাস হলো মানব সভ্যতার অগ্রগতির ধারাবাহিক বিবরণ। কিন্তু এই বিবরণ কল্পনাপ্রসূত নয়; এটি নির্ভর করে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ওপর। যে সমস্ত উৎস, সাক্ষ্য বা প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিকরা অতীত দিনের ঘটনাবলী পুনর্গঠন করেন, তাকেই 'ইতিহাসের উপাদান' (Sources of History) বলা হয়। উপাদান ছাড়া ইতিহাস রচনা করা অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার শামিল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ বা আর. সি. মজুমদার সকলেই একমত যে, প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের ক্ষেত্রে উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। ২. ইতিহাসের উপাদানের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Historical Sources) ইতিহাসের উপাদানগুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়— (ক) সাহিত্যিক উপাদান এবং (খ) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। তবে আধুনিক যুগে এর সাথে আরও কিছু বিষয় যুক্ত হয়েছে। নিচে এর বিস্তারিত দেওয়া হলো: ক) সাহিত্যিক উপাদান (Literary Sources):...
করমণ্ডল উপকূল
কৃষ্ণানদীর বদ্বীপের পশ্চিমভাগ থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলভাগকে করমণ্ডল উপকূল বলে। এছাড়া, পুলিকট উপহ্রদ থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলকে তামিলনাড়ু উপকূলও বলা হয়।
তামিলনাড়ু উপকূলের কাবেরী নদী গঠিত বিশাল বদ্বীপ অঞ্চলটি মোহানা থেকে পশ্চিমদিকে দাক্ষিণাত্যের স্থলভাগের মধ্য দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রসারিত হয়েছে। তামিলনাড়ু উপকূলে পুলিকট উপহ্রদ এবং গোদাবরী ও কৃষ্ণার বদ্বীপের মধ্যবর্তী অঞ্চলে কোলারু হ্রদ অবস্থান করছে।
কাবেরী নদীর বদ্বীপ, ক্যালিমিয়ার অন্তরীপ, পাম্বান দ্বীপ ও কুমারিকা অন্তরীপ এই উপকূল সমভূমির উল্লেখযোগ্য অংশ। এ ছাড়া, তামিলনাড়ুর এন্নোর ও মহাবলিপুরমের কাছে দুটি হ্রদ রয়েছে। ক্যালিমিয়ার অন্তরীপ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অবস্থান করছে পকপ্রণালী। চেন্নাই ও তুতিকোরিন এই উপকূলের উল্লেখযোগ্য বন্দর, শহর ও শিল্পকেন্দ্র। কাবেরী বদ্বীপ অঞ্চলে বছরে দুবার বৃষ্টি ও সেখানকার ভূমি পলিগঠিত হওয়ায় প্রচুর ধান উৎপন্ন হয়। তাই এই অঞ্চলকে ‘দক্ষিণ ভারতের শস্যভাণ্ডার’ বলে। এই উপকূলভাগে অবস্থিত বালিয়াড়ির গড় উচ্চতা ৩০–৬০ মিটার। বালিয়াড়িগুলি স্থানীয় ভাষায় ‘থেড়িস্’ নামে পরিচিত।
Comments
Post a Comment