Skip to main content

Posts

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় (A detailed introduction to the social life of the inhabitants of the Harappan civilization)

🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয়           হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় (A detailed introduction to the social life of the inhabitants of the Harappan civilization)

🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয়           হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:

হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ (Details of the city planning of the Harappan civilization)

🧱 হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ            হরপ্পা সভ্যতা (আনুমানিক ২৬০০ - ১৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), যা সিন্ধু সভ্যতা নামেও পরিচিত, প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম উন্নত এবং সুপরিকল্পিত নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। হরপ্পা, মহেন-জো-দারো, লোথাল, কালিবঙ্গান এবং ধোলাভিরা-এর মতো স্থানগুলিতে খননকার্যের ফলে যে নগর পরিকল্পনা উন্মোচিত হয়েছে, তা এই সভ্যতার প্রকৌশল ও পৌর প্রশাসনের দক্ষতা প্রমাণ করে। এটি সমসাময়িক মিশরীয় বা মেসোপটেমীয় সভ্যতার নগর পরিকল্পনা থেকেও অনেক বেশি সুশৃঙ্খল ও আধুনিক ছিল।

মেহেরগড় সভ্যতার অবস্থান ও কালসীমা (Location and Chronology of the Mehrgarh Civilization)

মেহেরগড় সভ্যতার অবস্থান ও কালসীমা (Location and Chronology of the Mehrgarh Civilization)

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers )

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?          যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়।  প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-  (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ,  (২) মধ্য প্রস্তরযুগ,  (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ:   প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ:   মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ:   এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.

এক নজরে হরপ্পা সভ্যতা - Harappan civilization at a glance

এক নজরে হরপ্পা সভ্যতা - Harappan civilization at a glance   আবিষ্কারের সময় : ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ। আবিষ্কারক : রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দয়ারাম সাহানি। অবস্থান : সিন্ধুনদের উপত্যকায়। সময়কাল : ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।

একনজরে মেহেরগড় সভ্যতা - Mehergarh civilization

এককথায় মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কারের সময়: ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কার। আবিষ্কারক: জেন ফ্রাঁসোয়া জারিজ ও রিচার্ড মিডো। অবস্থান : বোলান গিরিপথের কাছে, কোয়েটা থেকে ১৫০ কি.মি. দূরে কাচ্চির সমতলভূমিতে। সময়কাল : আনুমানিক ৭০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - এক নম্বরের প্রশ্নোত্তর [সমস্ত সরকারি চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ]

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - এক নম্বরের প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষের প্রাচীনতম নগর সভ্যতার নাম লেখো। উঃ। ভারতবর্ষের প্রাচীনতম সভ্যতা হল সিন্ধুসভ্যতা। ২। সিন্ধুসভ্যতা কে, কবে আবিষ্কার করেন? উঃ। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দয়ারাম সাহানি সিন্ধুসভ্যতা আবিষ্কার করেন। এসময় ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধিকর্তা ছিলেন স্যার জন মার্শাল। ৩। 'মহেন-জো-দারো' কথার অর্থ কী? উঃ। মহেন-জো-দারো কথার অর্থ-‘মৃতের স্তূপ’। ৪। সিন্ধুসভ্যতা কোন্ যুগের সভ্যতা? উঃ। সিন্ধুসভ্যতা 'তাম্র-প্রস্তর যুগ’ (Chalcolithic Age)-এর সভ্যতা। ৫। হরপ্পা কোথায় অবস্থিত? উঃ। পাঞ্জাবের মন্টগোমারি-তে হরপ্পা অবস্থিত।

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন(The Evolution of Indian Civilization)

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন: প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত এক মহাকাব্যিক যাত্রা           ভারতীয় সভ্যতা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এবং নিরন্তর প্রবাহমান সভ্যতা। এর বিবর্তন একটি বিশাল মহাকাব্যিক যাত্রা, যা প্রায় দশ হাজার বছর ধরে বহু যুগ, সংস্কৃতি, ধর্ম, সাম্রাজ্য এবং মতাদর্শের উত্থান-পতনের সাক্ষী। এই বিবর্তন শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, বরং মানুষের জীবনযাত্রা, প্রযুক্তি, শিল্পকলা, দর্শন এবং আধ্যাত্মিক চেতনার নিরবচ্ছিন্ন রূপান্তরকেও নির্দেশ করে।

বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য

বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World)                        ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity)                  ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি:                     উত্...

ঐতিহাসিক তথ্য সরবরাহে সাহিত্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় দেশীয় সাহিত্যের অবদান বিস্তারিত আলোচনা করো।

ঐতিহাসিক তথ্য সরবরাহে সাহিত্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় দেশীয় সাহিত্যের অবদান বিস্তারিত আলোচনা করো।           ইতিহাস হলো মানব সভ্যতার অগ্রগতির প্রামাণ্য দলিল। কিন্তু প্রাচীন ভারতে হেরোডোটাস বা থুকিডিডিসের মতো কোনো প্রথাগত ঐতিহাসিক ছিলেন না। এ কারণেই একসময় আল-বিরুনি মন্তব্য করেছিলেন যে, "ভারতীয়দের কোনো ইতিহাস চেতনা নেই।" কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ সত্য নয়। প্রাচীন ভারতের মুনি-ঋষি এবং কবিরা সরাসরি ইতিহাস না লিখলেও, তাঁদের রচিত বিপুল সাহিত্যরাশির মধ্যে ছড়িয়ে আছে ইতিহাসের মহামূল্যবান উপাদান। এই উপাদানগুলিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিশ্লেষণ করলেই প্রাচীন ভারতের লুপ্ত ইতিহাস পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বোঝো? ইতিহাসের উপাদানগুলির শ্রেণিবিভাগ করো। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব বিস্তারিত আলোচনা করো।

ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বোঝো? ইতিহাসের উপাদানগুলির শ্রেণিবিভাগ করো। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব বিস্তারিত আলোচনা করো। ১. ইতিহাসের উপাদান             ইতিহাস হলো মানব সভ্যতার অগ্রগতির ধারাবাহিক বিবরণ। কিন্তু এই বিবরণ কল্পনাপ্রসূত নয়; এটি নির্ভর করে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ওপর। যে সমস্ত উৎস, সাক্ষ্য বা প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিকরা অতীত দিনের ঘটনাবলী পুনর্গঠন করেন, তাকেই 'ইতিহাসের উপাদান' (Sources of History) বলা হয়। উপাদান ছাড়া ইতিহাস রচনা করা অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার শামিল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ বা আর. সি. মজুমদার সকলেই একমত যে, প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের ক্ষেত্রে উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। ২. ইতিহাসের উপাদানের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Historical Sources)           ইতিহাসের উপাদানগুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়—  (ক) সাহিত্যিক উপাদান এবং  (খ) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান।  তবে আধুনিক যুগে এর সাথে আরও কিছু বিষয় যুক্ত হয়েছে। নিচে এর বিস্তারিত দেওয়া হলো: ক) সাহিত্যিক উপাদান (Literary Sources):...

ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বোঝো? প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান কী? প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব আলোচনা করো।

ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বোঝো? প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান কী? প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব আলোচনা করো। ১. ইতিহাসের উপাদান (Definition of Historical Sources)           অতীতের কোনো ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য বা প্রমাণ যেসব উৎস থেকে পাওয়া যায়, তাদের ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। ঐতিহাসিকরা যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এবং যুক্তিনিষ্ঠ বিচার-বিশ্লেষণ করে ইতিহাস রচনা করেন, সেই ভিত্তিগুলিই হলো উপাদান। ২. প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান (Archaeological Sources)           প্রাচীন মানুষের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, ধ্বংসাবশেষ বা মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা যেসব নিদর্শনের বিজ্ঞানসম্মত খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত তথ্যাদি ইতিহাস রচনায় সাহায্য করে, তাদের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান বলা হয়। উদাহরণ: (ক) লিপি বা লেখ, (খ) মুদ্রা, (গ) স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, (ঘ) ধ্বংসাবশেষ (যেমন—হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো)। ৩. প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব           প্রাচীন ভারতের ইতিহাস পুনর্গঠনে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির মধ্যে লিপি বা লেখ (Inscriptions) হলো...

ভারতবর্ষের ভূপ্রকৃতিগত তারতম্য ও বিভাগসমূহ || Geological variations and divisions of India

ভারতবর্ষের ভূপ্রকৃতিগত তারতম্য ও বিভাগসমূহ           ভারতবর্ষ একটি বিশাল এবং বৈচিত্র্যময় দেশ। এর ভূপ্রকৃতিতে পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, মরুভূমি, উপকূল এবং দ্বীপপুঞ্জ—সবকিছুরই সহাবস্থান দেখা যায়। এই প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের তারতম্য অনুযায়ী ভারতবর্ষকে প্রধানত পাঁচটি বা ছয়টি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই এই বিভাগগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতবর্ষের নামকরণ-সংক্রান্ত বিতর্ক

 ভারতবর্ষের নামকরণ-সংক্রান্ত বিতর্ক             আমাদের দেশ 'ভারতবর্ষ' নামে পরিচিত হলেও এই নামকরণের উৎস নিয়ে ঐতিহাসিক ও পণ্ডিতদের মধ্যে যথেষ্ট মতপার্থক্য বা বিতর্ক রয়েছে। প্রধানত পৌরাণিক কাহিনি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ঐতিহাসিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে একাধিক মত প্রচলিত আছে।

প্রাচীন ভারতের জনগোষ্ঠী বা জাতিতত্ত্ব

প্রাচীন ভারতের জনগোষ্ঠী বা জাতিতত্ত্ব           ভারতের বিশাল ভূখণ্ডে যুগে যুগে নানা জাতি ও উপজাতির আগমন ঘটেছে। এই মহামিলনের ফলেই গড়ে উঠেছে ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ (V.A. Smith) তাই যথার্থই ভারতকে 'নৃতত্ত্বের জাদুঘর' (Ethnological Museum) বলে অভিহিত করেছেন।

Gandhi–Irwin Pact||গান্ধি আরউইন চুক্তি।

গান্ধি আরউইন চুক্তি পটভূমিঃ  গান্ধিজির নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন দমন করার জন্য ব্রিটিশ সরকার বিভিন্ন রকম নির্মম পন্থা অবলম্বন করেছিল । যেমন সত্যাগ্রহীদের উপর গুলিবর্ষন, আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ দের গ্রেফতার প্রভৃতি।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০০টি বিখ্যাত লাইন

 বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০০টি বিখ্যাত লাইন  ১. "অরণ্য এক বিশাল, স্থির, অতলস্পর্শী নির্জনতা।"  ২. "এই নিস্তব্ধতা বড় গভীর, বড় মধুর।"  ৩. "প্রকৃতির রূপ ও রসের ভান্ডার অফুরান।" ৪. "আকাশের মেঘগুলি যেন উদাস দুপুরে কার কথা ভাবিতেছে।"  ৫. "মানুষের জীবনের সকল আনন্দ ও শান্তিতে প্রকৃতির ছায়া পড়ে।" 

নব্যবঙ্গ আন্দোলন দ্রুত ভেঙে পড়ল কেন ?

নব্যবঙ্গ আন্দোলনের সূচনা ও উদ্দেশ্য -              হিন্দু কলেজের অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর নেতৃত্বে নব্যবঙ্গীয়রা সমাজকে কুসংস্কারমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। তবে এই কাজ করতে গিয়ে বেশকিছু বাড়াবাড়ি করে ফেলায় তাঁদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।  নব্যবঙ্গ আন্দোলন দ্রুত ভেঙে পড়ার কারণ—               সহজাত কিছু ত্রুটির জন্য নব্যবঙ্গ আন্দোলন দ্রুত স্তিমিত হয়ে পড়ে। এখানে কয়েকটি ত্রুটি তুলে ধরা হলো —

ভারতের ইতিহাসে বিন্ধ্যপর্বতের প্রভাব আলোচনা করো।

ভারতের ইতিহাসে বিন্ধ্যপর্বতের প্রভাব          ভারতের ইতিহাসে এবং ভূগোলে বিন্ধ্যপর্বত কেবল একটি পর্বতমালা নয়, বরং এটি উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মধ্যে একটি প্রাকৃতিক প্রাচীর বা বিভাজিকা হিসেবে কাজ করেছে। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে এর প্রভাব অপরিসীম। নিচে ভারতের ইতিহাসে বিন্ধ্যপর্বতের প্রভাব আলোচনা করা হলো: ১. ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বিভাজিকা বিন্ধ্যপর্বত ভারতকে প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে: আর্যাবর্ত (উত্তর ভারত):  বিন্ধ্যের উত্তরাংশ, যা সিন্ধু-গঙ্গা সমভূমি ও হিমালয় অঞ্চল নিয়ে গঠিত। দাক্ষিণাত্য (দক্ষিণ ভারত):  বিন্ধ্যের দক্ষিণাংশ, যা উপদ্বীপীয় ভারত নামে পরিচিত।        প্রাচীন ও মধ্যযুগে এই পর্বতমালা উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্যে বাধা সৃষ্টি করেছিল। উত্তর ভারতের কোনো সম্রাটের পক্ষে (যেমন—মৌর্য, গুপ্ত বা মোগল) বিন্ধ্য অতিক্রম করে দীর্ঘকাল দক্ষিণ ভারত শাসন করা কঠিন ছিল। একইভাবে, দক্ষিণ ভারতের রাজশক্তিগুলোর (যেমন—রাষ্ট্রকূট বা চোল) পক্ষেও উত্তরে দীর্ঘস্থায়ী আধিপত্য বিস্তার করা সহজ ছিল না। ২. সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষা বিন্ধ...

ভারত-ইতিহাসে সমুদ্রের প্রভাব আলোচনা করো।

ভারত-ইতিহাসে সমুদ্রের প্রভাব           ভারত-ইতিহাসে সমুদ্রের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সুদূরপ্রসারী। সমুদ্র ভারতের কেবল ভৌগোলিক সীমানাই নির্ধারণ করেনি, বরং এর সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং বিশ্ব-সম্পর্কের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। ভারতবর্ষের তিনদিক সমুদ্রবেষ্টিত। তাই, ভারত-ইতিহাসে সমুদ্রের প্রভাব থাকাটাই স্বাভাবিক ঘটনা।  (১) তিনদিক সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় তিন দিকের সীমান্ত বেশ সুরক্ষিত।  (২) আবার এই সমুদ্রপথ ধরেই আমাদের দেশের সঙ্গে চিন, রোম, মালয়, সুমাত্রা, জাভা, সিংহল ও পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।  (৩) এমনকি এই জলপথের মাধ্যমেই রাজনৈতিক প্রাধান্য স্থাপিত হয়েছে।