ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বোঝো? ইতিহাসের উপাদানগুলির শ্রেণিবিভাগ করো। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব বিস্তারিত আলোচনা করো। ১. ইতিহাসের উপাদান ইতিহাস হলো মানব সভ্যতার অগ্রগতির ধারাবাহিক বিবরণ। কিন্তু এই বিবরণ কল্পনাপ্রসূত নয়; এটি নির্ভর করে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ওপর। যে সমস্ত উৎস, সাক্ষ্য বা প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিকরা অতীত দিনের ঘটনাবলী পুনর্গঠন করেন, তাকেই 'ইতিহাসের উপাদান' (Sources of History) বলা হয়। উপাদান ছাড়া ইতিহাস রচনা করা অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার শামিল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ বা আর. সি. মজুমদার সকলেই একমত যে, প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের ক্ষেত্রে উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। ২. ইতিহাসের উপাদানের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Historical Sources) ইতিহাসের উপাদানগুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়— (ক) সাহিত্যিক উপাদান এবং (খ) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। তবে আধুনিক যুগে এর সাথে আরও কিছু বিষয় যুক্ত হয়েছে। নিচে এর বিস্তারিত দেওয়া হলো: ক) সাহিত্যিক উপাদান (Literary Sources):...
কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা
জলের আর এক নাম জীবন, কিন্তু মাঝে মাঝে এই জলই আমাদের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নৌকাডুবি, লঞ্চডুবি, জলের ঘূর্ণিতে পড়া, সাঁতার কাটতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে, বন্যা, চোরাবালি ইত্যাদি কারণে জলে ডোবার ঘটনা ঘটে থাকে।
জলে ডুবলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসে জল ঢুকে যায় এবং তার শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হলে তার গড় আয়ু মাত্র ৪ মিনিট। এইটুকু সময়ের মধ্যে যা করার তা অতি দ্রুত করতে হবে।
যদি অসম্ভব না হয়, লোকটিকে জল থেকে তুলে আনার আগেই জলের গভীরতা যখন দাঁড়াবার মতো হবে, তখনি তার মুখে মুখ দিয়ে শ্বাস দেওয়া যেতে পারে।
যদি তার ফুসফুসে বাতাস ঢোকাতে না পারা যায়, তাকে দ্রুত পাড়ে এনে মাথাটা রেখে উপুড় করে শুইয়ে দিতে হবে। তারপর তার জিভ মুখের একদিকে রেখে রোগীর পিঠের দুইপাশে পাঁজরে চাপ দিয়ে দিয়ে পর্যায়ক্রমে জল বার করে দিতে হবে। পেটটা টেনে উপরে তুলে ও পিঠে চাপ দিয়ে পর্যায়ক্রমে এ কাজদুটি করে জল বার করে দিতে হবে। তারপরই রোগীকে মুখে মুখ দিয়ে শ্বাস দিতে থাকতে হবে। সর্বমোট সময় ৪ মিনিট এটা মাথায় রেখেই সমস্ত কাজ অতি দ্রুত করতে হবে। শ্বাসকার্য চালু হবার পর তাকে ডাক্তারখানা বা হাসপাতাল নিয়ে যেতে হবে।
যদি অল্প মেহনতে শ্বাসক্রিয়া চালু হয়ে যায় এবং রোগী নিজেকে সুস্থ বোধ করে তাহলে আর তাকে ডাক্তার না দেখালেও চলবে।

Comments
Post a Comment