Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

আগুনে পুড়ে গেলে কি কি করা দরকার ?

 

আগুনে পুড়ে গেলে কি কি করা দরকার ?



         যে আগুনের আবিষ্কার বিজ্ঞান সহ মানুষের অগ্রগতির প্রথম সোপান। সেই আগুন একটু ভুলভাবে বা অসাবধানে ব্যবহৃত হলে ধ্বংসের ও প্রাণ সংহারের কারণ হয়ে ওঠে। তাই আমাদের সকলেরই উচিত আগুনকে খুব সাবধানে ব্যবহার করা।
  
   জামা-কাপড়, শাড়ীতে কোন কারণে হঠাৎ আগুন ধরে গেলে প্রথম কাজ হচ্ছে তা নিভানো। তার জন্য তাড়াতাড়ি কম্বল, লেপ, তোষক - হাতের কাছে যা পাওয়া যায় (নাইলন, পলিথিন ইত্যাদি বাদে) তাই দিয়ে রোগীকে জড়িয়ে ধরে শুইয়ে দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলতে হবে। আগুন লাগলে কোনো ক্রমে দৌড়াদৌড়ি করা চলবে না। তা করলে আগুন আরো বেড়ে যায়। আগুন জ্বলতে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। কোনো কিছু দিয়ে চাপা দেওয়ার উদ্দেশ্য - অক্সিজেনের যোগান বন্ধ করে দিয়ে আগুন নিভতে বাধ্য করা। পাশাপাশি, আগুন নেভাতে ও আগুনের তাপ দূর করতে এবং রোগীর যন্ত্রনা কমাতে পোড়া জায়গায় জল ঢালতে হবে। 

    এরপর পোড়ার মাত্রা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। 

প্রথম ডিগ্রী পোড়া :

      যে পরিমান পোড়ায় ফোস্কা হয় না, তার যন্ত্রনা কমাতে ঠান্ডা জলে পোড়ার জায়গা ডুবিয়ে দিতে হবে। অন্য চিকিৎসা না হলেও চলবে। বড়োজোর একটু বার্নল লাগিয়ে দিলেই হবে। 

দ্বিতীয় ডিগ্রী পোড়া :

      যে সব পোড়ায় ফোস্কা হয় তাকে সেকেন্ড ডিগ্রী পড়া বলে। ফোস্কা গোলানো চলবে না। পোড়ার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠান্ডা জলে পোড়া জায়গাটি ডুবিয়ে রাখতে হবে। 

      ফোস্কা যদি গলে যায়, সাবান আর ঠান্ডা করা ফোটানো জল দিয়ে আলতো করে জায়গাটা ধুয়ে দিতে হবে। পোড়া জায়গায় পুঁজ বা দুর্গন্ধ হলে পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট জলে গুলি তাকে গরম করে তা দিয়ে দিনে ৩/৪ বার করে সেক দিতে হবে। জায়গাটা খোলা রাখতে হবে অথচ দেখতে হবে যাতে সেখানে ধুলো ময়লা কিছু না পরে এবং মাছি না বসে। এই ধরণের পোড়ায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। 

তৃতীয় ডিগ্রী পোড়া :

     পুড়ে চামড়া নষ্ট হয়ে কাঁচা মাংস বেরিয়ে পড়া বা শরীরের অনেকখানি অংশে ফোস্কা পরে তা গলে গিয়ে বীভৎস এক অবথার সৃষ্টি হওয়ার মতো পড়াকে তৃতীয় ডিগ্র্রী পোড়া বলে। 

      এই রকম রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। সেখানে নিয়ে যাবার আগে পর্যন্ত পোড়া জায়গাটা সাবান আর ঠান্ডা করা ফোটানো জল দিয়ে আলতো করে ধুয়ে বাতাসে রাখতে হবে। দেখতে হবে যেন ধুলো না পড়ে বা মাছি না বসে। থার্ড ডিগ্রী বা তারও বেশি পোড়া রোগীকে ঘন ঘন নুন চিনির শরবত খাওয়াতে হবে যতক্ষণ না পস্রাব হয়। 

       পোড়া জায়গা গুলো শুক্রবার সময় অনেকক্ষেত্রে পরস্পর জুড়ে যায়। তা যাতে কম হয় বা না হয়, তার জন্য সেসব জায়গাগুলোর মাঝে ভেসলিন দেওয়া গজের প্যাড লাগিয়ে রাখতে হবে। ঘা শুকোবার সময় হাত, পা, আঙুল সোজা করে রাখতে হবে। অন্যথায় জুড়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে সেই অঙ্গ ভালোভাবে ব্যবহার করা যাবে না। 

অ্যাসিড বা রাসায়নিক দ্রব্যে পোড়াতে প্রথমে জল ঢেলে ঢেলে রাসায়নিক দ্রব্য সম্পূর্ণ ধুয়ে ফেলতে হবে। ওই দ্রব্যে পুড়ে চামড়া ছেড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।  



Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

[MCQ]রোম, মিশর এবং ভারতের দাস অর্থনীতি ও ক্রীতদাস প্রথা। সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি, বানিজ্য।।সেট-৩

 রোম, মিশর এবং ভারতের দাস অর্থনীতি ও ক্রীতদাস প্রথা।।সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি, বানিজ্য   প্রশ্ন:১ রােমের ক্রীতদাস প্রথার অন্যতম ফল ছিল— (a) সেখানকার কৃষি উৎপাদন হ্রাস (b) সেখানকার খনিজ উৎপাদন হ্রাস (c) সেখানকার শিল্পোৎপাদন হ্রাস (d) সেখানকার সামরিক দক্ষতা হ্রাস

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

[MCQ]রাজনীতির বিবর্তন - শাসনতান্ত্রিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা।।সেট ৬

রাজনীতির বিবর্তন - শাসনতান্ত্রিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা ⮞ ⮞ ⮞ ⮞ প্রশ্ন:১ রামায়ণে কয়টি জনপদের উল্লেখ আছে ? (a) ১৬ টি (b) ১৮ টি (c) ২৫ টি (d) ২৭ টি

[MCQ]রোম, মিশর এবং ভারতের দাস অর্থনীতি ও ক্রীতদাস প্রথা। সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি, বানিজ্য।।সেট-৭

 রোম, মিশর এবং ভারতের দাস অর্থনীতি ও ক্রীতদাস প্রথা।।সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি, বানিজ্য প্রশ্ন:১ রােমের ক্রীতদাসদের প্রধান কাজকর্ম ছিল— (a) নিজের পুঁজি বিনিয়ােগ করে ব্যাবসা করা (b) যুদ্ধবন্দিদের ক্রয় করা (c) প্রভুর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ব্যাবসা করা (d) প্রভূর জমিতে চাষবাস করা

[MCQ]ইতিহাসের প্রাকৃতিক উপাদান, প্রকৃতি, কাঠামো, ঐতিহ্য এবং যুগ বিভাজন।।সেট-১

ইতিহাসের প্রাকৃতিক উপাদান, প্রকৃতি, কাঠামো, ঐতিহ্য এবং যুগ বিভাজন ➤ ➤ ➤ ➤ প্রশ্ন:১ ডাইনােসর জাতীয় বৃহদাকার প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছিল— (a) প্রায়-ঐতিহাসিক যুগে (b) প্রাগৈতিহাসিক যুগে (c) ঐতিহাসিক যুগে (d) আধুনিক যুগে

[MCQ]রাষ্ট্রের প্রকৃতি-ভারত ও ইউরোপীয় প্রসঙ্গ।।সেট-১

রাষ্ট্রের প্রকৃতি-ভারত ও ইউরোপীয় প্রসঙ্গ ⮞ ⮞ ⮞ ⮞ প্রশ্ন:১ সিসেরাের রাষ্ট্রচিন্তায় এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল— (a) যুক্তি (b) স্বাধীনতা (c) সাম্য (d) ন্যায়

[MCQ]Environment।।Man & Environment।।মানুষ ও পরিবেশ।।সেট ১

মানুষ ও পরিবেশ ➤ প্রশ্ন:১ W.T.O. সম্পূর্ণ নাম হলাে— (a) World Transport Organization. (b) World Tobacco Organization. (c) World Trade Organization.

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

হিমানী সম্প্ৰপাত

হিমানী সম্প্ৰপাত           পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পার্বত্য অঞ্চলে তুষারক্ষেত্রের জমাট বাঁধা বরফ অত্যন্ত ধীরগতিতে পর্বতের ঢাল বেয়ে নীচের দিকে নেমে আসতে থাকে। সময় সময় পাহাড়ের ঢালে চলমান এইরকম হিমবাহ থেকে বিশাল বরফের স্তূপ ভেঙে বিপুলবেগে নীচের দিকে পড়তে দেখা যায়, একে হিমানী সম্প্রপাত বলে।  

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...